আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

শেখ হাসিনা: বিশ্ব নেতৃত্বে এক অনবদ্য অনুপ্রেরণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
শ ম রেজাউল করিম

Image

বর্তমান বিশ্বে সৎ, সাহসী, দৃঢ়চেতা, আত্মবিশ্বাসী, পরিশ্রমী ও অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা কে? এমন প্রশ্নের উত্তর খোঁজা বোধ করি আজ আর কোনো জটিল বিষয় নয়। সম্ভবত এর বিকল্প কোনো উত্তরও নেই। এ প্রশ্নের একমাত্র উত্তর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্ত ও আদর্শের সুযোগ্য উত্তরসূরি, একটানা তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই অকাট্য স্বীকারোক্তি আজ শুধু বাংলাদেশিদেরই নয় বরং বিশ্ব নেতৃত্বই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রতিনিয়ত অভিহিত করছেন প্রশংসাসূচক নানা অভিধায়। একনিষ্ঠ দেশপ্রেমের আভিজাত্যে, রাজনৈতিক সৌকর্যে, রাষ্ট্র পরিচালনার মুন্সিয়ানায়, বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলার দূরদর্শিতায়, মানবিক ঔদার্যে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বারবার। তিনি একজন সফল রাষ্ট্র নায়ক, একজন সফল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক বিশ্ব নেতা।

গত ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর তাঁর অর্জনে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যগাথার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন বিশ্বের প্রভাবশালী দেশের সরকার প্রধান এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা প্রধানরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যাজিকাল নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে বিশ্বে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে সে কথাগুলোও বিশ্ব নেতারা স্মরণ করেছেন অকপটে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সফরটি অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা অভিমত দিয়েছেন।

সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য সফরকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেন, আপনি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। তিনি এও বলেছেন, আমি আপনাকে অনেক বছর ধরে অনুসরণ করছি। আপনি একজন সফল অর্থনৈতিক নেতা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এটাও বলেছেন, তাঁর দুই মেয়ে ও স্ত্রী তাঁর (শেখ হাসিনা) বড় ভক্ত। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাঁর মেয়েরা শেখ হাসিনার মতো মহান নেতা হবেন এই কামনা করেছেন এবং এও বলেছেন, আপনি আমার দুই মেয়ের জন্য মহান অনুপ্রেরণা।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, ভূমিহীন ও গৃহহীন বাংলাদেশের জনগণকে সরকারি খরচে বাড়ি দেওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তাঁর গৌরবময় ভূমিকার প্রশংসা করেন। করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে ৬ শতাংশের অধিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার কথা উল্লেখ করে ঋষি সুনাক আরো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য।

আরও পড়ুন >> শেখ হাসিনা ও ঋষি সুনাকের প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বর্ণনা করেন। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে যেমন অনুপ্রেরণা বলছেন, ২০২১ সালের ২২ মার্চ বাংলাদেশ সফরে এসে নেপালের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছিলেন, আপনি বিশ্বের দারুণ এক অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা। আমি আপনার অনুরাগী।

অপরদিকে বিশ্বের অন্যতম ক্যারিশমাটিক নেতা শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক জাপান সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরো উচ্চপর্যায়ে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি করেছে। জেগেছে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও। বাংলাদেশে জাপানের সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের বিনিয়োগসহ এই সফরে হওয়া চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক দুই দেশের অংশীদারিত্বে নবযুগের সূচনা করতে যাচ্ছে। অতীতের যে কোনো সফরের চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফর বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

৩০ বিলিয়ন ইয়েনের বাজেট সহায়তা ছাড়াও কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তাসহ আটটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষর হয়েছে জাপান সরকারের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত পনেরো বছরের ধারাবাহিক শাসনামলে জাপানি বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল দেশ এবং একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।

জাপান সফর শেষে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের বিশেষ আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন। ২০১২ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ঋণ নিয়ে ভিত্তিহীন ও কথিত অভিযোগের প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের বড় ধরনের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। আত্মমর্যাদার প্রশ্নে দৃঢ়চেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঋণ প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়। সৎ, সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করেন পদ্মা সেতু।

এ যেন বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক। একইসাথে বাংলাদেশের সাথে করা অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ। তাই বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পদ্মা সেতুর ছবি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টেকে উপহার হিসেবে তুলে দেওয়ার ছবিটি ভিন্ন মাত্রা পায়। রাতারাতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখা যায় বাংলাদেশের মাথা না নোয়ানোর প্রতীক বনে যাওয়া এ ছবিটি। তবে বাংলাদেশকে দেওয়া বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তার অঙ্গীকার এ বছর ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি। এখন বিশ্বব্যাংক মনে করে পৃথিবীর অনেক দেশই দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনের বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্ভাবনী ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করতে পারে।

অতিসম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এবং বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও করপোরেট সেক্রেটারি মার্সি টেমবন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নকেও অনুকরণীয় বলে অভিবাদন জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের এই দুই শীর্ষ কর্তা। তারা উভয়েই নিজ টুইট বার্তায় বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রীর সাফল্যের গল্প তুলে ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি টুইট করেছেন। নিজের টুইট বার্তায় টেমবন লিখেছেন, বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই বিশ্বের অন্যতম সেরা উন্নয়নমূলক দেশ হিসেবে সাফল্যের গল্প তৈরি করেছে। দেশটির অনেক ভালো উদাহরণ রয়েছে, যা ব্যাপকভাবে অনুকরণ করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন>> নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে কমনওয়েলথের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস তার টুইটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে প্রদর্শনী উদ্বোধনের ছবি টুইট করে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ও বাংলাদেশের সাথে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের অংশীদারিত্বের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করতে পেরে আনন্দিত। দারিদ্র্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বাংলাদেশের উদ্ভাবনী পদ্ধতি থেকে অনেক দেশ শিক্ষা নিতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরকালে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, সকল বাধাবিপত্তি মোকাবিলা করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন। বাংলাদেশ বিশ্বে একটি রোল মডেল। শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন অর্জন করেছে। হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব কোভিড-১৯-এর পরও বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল রেখেছে। ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সুসংযোগ স্থাপন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

বিশ্ব নেতৃত্ব যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়নের প্রশংসা করছেন সে বিষয়ে আরেকটি উদাহরণ না দিলেই নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছরের মাইলফলক পালন উপলক্ষ্যে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লিখেছিলেন, বর্তমানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে বাংলাদেশিদের কর্মশক্তি, উর্বর মস্তিষ্ক ও উদ্ভাবন অবশিষ্ট বিশ্বের কাছে একটি মডেল হিসেবে কাজ করে।

ওই চিঠিতে তিনি আরো লেখেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমাদের অংশীদারিত্ব আগামী ৫০ বছর এবং তার পরও বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে একই চিঠিতে বাইডেন লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে সহমর্মিতা ও মহানুভবতা প্রকাশের উদাহরণ তৈরি করেছেন।

একজন দূরদর্শী রাজনীতিক শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে কোথায় পৌঁছে দিয়েছেন তা পাকিস্তানের সাথে তুলনা করলে সহজেই অনুমান করা যায়। পকিস্তানের বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনীতির নানা সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ এখন অনেক দেশের কাছে অনুকরণীয়।

মাথাপিছু আয়, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। পাঁচ বছর আগেই মাথাপিছু আয়ে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ। রপ্তানি আয় পাকিস্তানের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি। রিজার্ভ পৌনে ছয় গুণ বেশি। পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতিও বাংলাদেশের কয়েকগুণ। পাকিস্তান এখন বাংলাদেশ হতে চায়। এটিই ক্যারিশম্যাটিক লিডার শেখ হাসিনার অনবদ্য সাফল্য।

স্বাধীনতার পর ৫২ বছরের পথচলায় গত একযুগে বাংলাদেশ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করেছে। এ সময়ে দেশ পরিচালনা করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যার দূরদর্শী রাষ্ট্রপরিচালনায় বাংলাদেশ আজ বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে রোল মডেল। বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি, যার মাথাপিছু জিডিপি তার আঞ্চলিক প্রতিবেশীর চেয়ে অনেক বেশি।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৯ বিলিয়ন থেকে ৪৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, গড় আয়ু ৪৭ বছর থেকে বেড়েছে ৭৩ বছরে এবং সাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন, দারিদ্র্য হ্রাস, উন্নত স্বাস্থ্য, শিক্ষা-নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ প্রশমনসহ আর্থ-সামাজিক খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে যে ধরনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে এবং বিভিন্নভাবে এই অঞ্চলে বাংলাদেশ একটা শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও বিশ্ব নেতৃত্বের আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে।

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর অত্যন্ত গুরুত্ববহ। এ সফর থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুপ্রেরণাদায়ী, অনুসরণীয় বিশ্ব নেতা হিসেবে নতুন করে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি পেয়েছেন, আলোচিত হয়েছেন। একইসাথে বাংলাদেশে এবং বিশ্বপরিমন্ডলে তাঁর অনিবার্যতা প্রমাণিত হয়েছে আরেকবার।

লেখক: মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

সূত্র: জাগো নিউজ


আরও খবর



মারাকানায় ফের ব্রাজিলকে হারালো আর্জেন্টিনা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

উত্তাপ ছড়ানো সুপার ক্লাসিকোয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারাল আর্জেন্টিনা। দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন নিকোলাস ওতামেন্দি।

বাংলাদেশ সময় (২২ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৬টায় রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পর সকাল ৭টায় বল মাঠে গড়ায়।

খেলার প্রথমার্ধে একটি বলও জালে জড়াতে পারেনি কোনো দল। ফলে প্রথমার্ধে গোল ছাড়াই বিরতিতে যায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে শুরুটা ছিল ব্রাজিলেরই। একাধিকবার গোলপোস্টের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে স্বাগতিকরা। তবে ঘরের মাঠে দর্শকদের আনন্দ দেওয়া হয়নি সেলেসাওদের। খেলার ধারার বিপরীতেই ম্যাচের প্রথম গোল করে বসে আর্জেন্টিনা।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ম্যাচটিতে ৬৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কর্নার থেকে জিওভানো লো সেলসোর শটে হেড দিয়ে জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস ওটামেন্ডি। ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে আসার পর অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে উঠিয়ে আনহেল ডি মারিয়াকে নামান আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি।

আরও পড়ুন>> বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা

৮১তম মিনিটে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পলকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ব্রাজিলের জোয়েলিংটন।

এই হারে বিশ্বকাপ বাছাই আরো কঠিন হয়ে গেলো ব্রাজিলের জন্য। ৬ ম্যাচে ২ জয়, ৩ হার এবং ১ ড্রয়ে লাতিন আমেরিকার বাছাই টেবিলের ছয়ে সেলেসাওরা। ৬ ম্যাচে ৫ জয় এবং ১ ড্রয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্জেন্টিনা।

এদিন খেলা শুরু হওয়ার আগেই গ্যালারিতে দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে তুমুল মারামারি শুরু হয়ে যায়। ঘটনার সূত্রপাত মূলত পতাকা রাখা নিয়ে। আর্জেন্টিনার পতাকা দেখে দুয়ো দিতে শুরু করে ব্রাজিল সমর্থকরা। এর প্রতিবাদ জানায় আর্জেন্টিনা সমর্থকরা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এ অবস্থায় আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি সমর্থকদের শান্ত করতে সদলবলে এগিয়ে যান গ্যালারির দিকে; কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আর্জেন্টিনা দল মাঠ ছেড়ে উঠে যায়। তারা অশান্ত অবস্থায় খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে ম্যাচ কর্মকর্তা, ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন কর্মকর্তা ও নিরাপত্তাকর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বল মাঠে গড়ায়।


আরও খবর



বরগুনায় সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনার তালতলী উপজেলা বন্দর সড়ক এর বাসিন্দা রফিক মুন্সির ছেলে তালতলী বাজারের ব্যবসায়ী শাখাওয়াত (২৮)নামের একজন যুবক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল আনুমানিক ৪ টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে বরগুনা থেকে তালতলী আসার পথে ঠাকুর পাড়া (মঠখোলা) স্থানে এঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরগুনা থেকে আসার পথে বিকেল আনুমানিক ৪ টার দিকে ঠাকুর পাড়া (মঠখোলা) স্থানে পরে থাকতে দেখে জনৈক একজন তার অভিভাবক দের খবর দিলে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ হাড়িয়েই এক্সিডেনটি ঘটেছে। মরদেহটি তার নিজ বাড়িতে রয়েছে। তবে এখনো আমাদের আইনি কার্যক্রম চলছে।


আরও খবর



মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দিয়ে ইরানি তেল কেনায় চীনের রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের কাছ থেকে চীনের জ্বালানি তেল কেনা রেকর্ড পর্যায়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ইরানের তেল উৎপাদন বাড়ছে; সেই সঙ্গে বাড়ছে চীনের কাছে তেল বিক্রি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির কারণে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস বাহিনীর হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা ইরানের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে আসছেন। ফিলিস্তিনের হামাস দীর্ঘদিন ধরে ইরানের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছেএটাই অভিযোগ। তবে ইরান হামাস বাহিনীর সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আসছে।

এ পরিস্থিতিতে ইরানের তেল ব্যবসার লাগাম টানতে যুক্তরাষ্ট্র নতুন ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে। সেটা হলো, বিশ্বের যেসব বন্দর ও পরিশোধনাগার ইরানের তেল প্রক্রিয়াজাত করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র নতুন আইন প্রণয়নের চিন্তা করছে।

বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল আমদানিকারী দেশ হচ্ছে চীন। বছরের প্রথম ১০ মাসে, অর্থাৎ ২০২৩ সালের জানুয়ারি-অক্টোবর সময়ে চীন ইরানের কাছ থেকে দৈনিক গড়ে ১০ লাখ ৫ হাজার ব্যারেল তেল আমদানি করেছে। তারাই ইরানের তেলের সবচেয়ে বড় গ্রাহক। ২০১৭ সালে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আসার আগের সময়ের চেয়ে যা ৬০ শতাংশ বেশি।

চলতি বছর তেহরান তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে বড় ধরনের ছাড়ে তেল বিক্রি করছে। সে জন্যও ইরানের কাছ থেকে চীনের তেল কেনা বেড়েছে।

অক্টোবরে ইরানের দৈনিক তেল উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল। রয়টার্সের এক জরিপে জানা গেছে, ২০১৮ সালের পর এটাই সর্বোচ্চ।

এদিকে জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ভরটেক্সার তথ্যানুসারে, অক্টোবরে ইরান থেকে চীন দৈনিক গড়ে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল তেল আমদানি করেছে। মাসিক ভিত্তিতে দেখা যায়, চীন কখনোই ইরানের কাছ থেকে আগে এতটা তেল কেনেনি।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, চীন কীভাবে ইরানের কাছ থেকে তেল কেনে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর ও ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে দুই কার্গো তেল কেনা ছাড়া ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের পর চীন ইরানের কাছ থেকে আর কোনো তেল কেনেনি বলে কাগজপত্রে দেখা যায়। তবে ইরানের যত তেল চীনে প্রবেশ করে, তার প্রায় সবই মালয়েশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আসে বলে দেখানো হয়।

নামগোত্রহীন ডার্ক ফ্লিটে এসব তেলে পরিবহন করা হয়। ইরানের বন্দর থেকে তেল ভরার সময় তাদের যেন চিহ্নিত করা না যায়, সে জন্য তারা ট্রান্সপন্ডার বন্ধ রাখে।

এ ছাড়া এসব জাহাজ নিজেদের অবস্থান লুকিয়ে বা নির্ধারিত স্থানের বাইরে আরেক জাহাজে তেল তুলে দেয় বা এমনকি প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও তেল পরিবহন করে। সে জন্য অনেক দেশের মধ্যেই সংশয়, পাছে যেন দূষণ না হয়।

চীন ইরান থেকে যত তেল কেনে, তার ৯৫ শতাংশই যায় সব ছোট ছোট তেল পরিশোধনাগারগুলোতে। ইরানের তেল বিশ্ববাজারের চেয়ে ব্যারেলপ্রতি ১০-১২ ডলার ছাড়ে পাওয়া যায়, যেখানে রাশিয়ার তেলে ছাড় পাওয়া পায় ব্যারেলে পাঁচ ডলার। নিষেধাজ্ঞার কবল থেকে বাঁচতে চীনের এই ছোট পরিশোধনাগারগুলো চীনা মুদ্রায় লেনদেন করে, ডলারে নয়। এ কৌশলের মধ্য দিয়ে ইরান নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তেল কেনাবেচা করতে পারছে।

এ ছাড়া চীন মার্কিন নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত দেশ রাশিয়া ও ভেনেজুয়েলা থেকেও তেল কেনে। তাদের অবস্থান হলো, কোনো দেশ আরেক দেশের ওপর একপাক্ষিকভাবে নিষেধাজ্ঞা দিলে সেটা তারা মানবে না।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালের পর থেকে ইরানের পেট্রোলিয়ামের সঙ্গে সম্পৃক্ত ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, চলাচল নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ৪০টি জাহাজে।


আরও খবর
২৪ ঘণ্টায় ৭ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




নির্বাচনের আগে

নতুন প্রকল্পে অর্থছাড় এবং ত্রাণ-অনুদান বিতরণ স্থগিতের নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন করে কোনো প্রকল্প গ্রহণ, অর্থ অবমুক্ত ও অনুদান না দিতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত এ নির্দেশনা বহাল থাকবে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর ইসির উপ-সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ইসি জানায়, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ (সংলগ্নী-২) অনুযায়ী, নির্বাচনের আগে, অর্থাৎ তফসিল ঘোষণার দিন থেকে নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত এ নির্দেশনা চলমান থাকবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, সরকারি বা আধা-সরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অথবা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে অনুদান ঘোষণা বা বরাদ্দ ও অর্থ অবমুক্ত করতে পারবেন না। এ বিধান লঙ্ঘন দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আচরণ বিধিমালার বিধি-১৮ অনুযায়ী দণ্ডনীয় হবেন।

চিঠিতে ইসি আরও জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থী সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি তথা অফিস, যানবাহন, মোবাইল, টেলিফোন, ওয়াকিটকি বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। এমনকি মাশুল প্রদান করেও এসব ব্যবহার করা যাবে না।

এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কোনো প্রার্থী সরকারি অর্থে ক্রয়কার্য সংক্রান্ত দরপত্র আহ্বান, গ্রহণ কিংবা বাতিলের বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না। সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি-৩ অনুসারে নির্বাচনের আগে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাবে না।

ইসি আরও জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত, নির্বাচনী এলাকায় অনুদান, ত্রাণ বিতরণ বা উন্নয়নমূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এর আগে অনুমোদিত প্রকল্পে অর্থ অবমুক্ত বা প্রদান করা আবশ্যক হলে জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের সম্মতি গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।


আরও খবর



বুকার পুরস্কার পেলেন আইরিশ লেখক পল লিঞ্চ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

উপন্যাস প্রফেট গানর জন্য ২০২৩ সালের বুকার পুরস্কার জিতেছেন আইরিশ লেখক পল লিঞ্চ। আয়ারল্যান্ডের ওপর নেমে আসা অত্যাচার নিয়ে লেখা এটি একটি কাল্পনিক উপন্যাস।

সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা পাঁচজনকে পেছনে ফেলে লিঞ্চ মর্যাদাবান পুরষ্কারটি জিতে নিয়েছেন। লন্ডনে রোববার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে লিঞ্চ বলেছেন, বইটি লেখা এতো সহজ ছিল না। এর আগে তিনি ছাড়া আরও চারজন আইরিশ লেখক পুরষ্কারটি পেয়েছিলেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সালমান রুশদি, মার্গারেট অ্যাটউড এবং হিলারি ম্যান্টেল।

পল লিঞ্চ বলেছেন, আমার যুক্তিবাদী সত্ত্বা বিশ্বাস করছিল যে, আমি এই উপন্যাসটি লিখে আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস করছি। যদিও আমাকে বইটি লিখতে হয়েছিল। এই ধরনের বিষয়ে আমাদের কোন বিকল্প কিছু করার থাকে না।

উপন্যাসে আয়ারল্যান্ডকে একটি নব্য ফ্যাসিবাদী জাতীয়তাবাদী সরকারের শাসনের অধীনে কল্পনা করা হয়েছে। অস্থির সময়কালের প্রেক্ষাপটের এ গল্পে ইউনিয়ন নেতা ও শাসনের অনুভূত শত্রুদের রহস্যজনকভাবে অদৃশ্য হয়ে যেতে দেখা যায়। এর ফলে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি হয়। সঙ্গে অর্থনৈতিক পতন। এর মূল অংশে ডাবলিনে চার সন্তানের এক মা কীভাবে তার পরিবারকে এরকম অস্থির সময়কালে সর্বগ্রাসীবাদ থেকে রক্ষা করে তাই চিত্রিত হয়েছে। 

আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রে তিন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীকে গুলি

উপন্যাসটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য এতে কোন অনুচ্ছেদের বিরতি নেই। এটি লিঞ্চের পঞ্চম উপন্যাস।

পাঁচজন বিচারক প্যানেলের সভাপতি কানাডিয়ান ঔপন্যাসিক ইসি এডুগিয়ান বলেছেন, এটি আবেগ প্রবণ এবং সাহসী গল্প

বিশ্ব সাহিত্যের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত বুকার যে কোন দেশের কথা সাহিত্যেকের জন্য উন্মুক্ত। প্রতি বছর ইংরেজি ভাষার শ্রেষ্ঠ উপন্যাসটিকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।


আরও খবর
২৪ ঘণ্টায় ৭ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩