আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু এখন আরও শক্তিশালী

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ড. আনোয়ার খসরু পারভেজ

বছর ঘুরে আবারও এসেছে আগস্ট। আগস্টকে আমরা শোকের মাস বলি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমরা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হারিয়েছি। আমরা একই সঙ্গে হারিয়েছি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকেও। সেই সময়ে আমরা আরও হারিয়েছি বঙ্গবন্ধুর পুত্র, পুত্রবধূ এবং তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ স্বজনদেরও। তাই আগস্ট আমাদের কাছে শোকাবহ। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর প্রিয় দুই কন্যা পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা ও নিজস্ব ভূখণ্ড দিয়েছেন। বাংলাদেশ, বাঙালি ও বঙ্গবন্ধু- একটির সঙ্গে অপরটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ও অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধুর জীবনের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যেমন অবিচ্ছেদ্য, তেমনি বিশ্বের নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষেরও তিনি ছিলেন অনুপ্রেরণা। বিশ্বের হাতেগোনা যে কজন নেতা সম্মোহনী নেতৃত্বের অধিকারী বলে প্রসিদ্ধ ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের অন্যতম।

জনসাধারণের কাছ থেকে এমন অকুণ্ঠ ভালোবাসা, সম্মান ও শ্রদ্ধা বিশ্বের কম নেতার ভাগ্যেই জুটেছে। প্রিয় নেতাকে বিরল এ ভালোবাসা দিয়ে আমরা সম্মানিত হয়েছি। প্রিয় নেতাকে সপরিবারে হত্যা করার পর দেশবাসী বাকরুদ্ধ হয়েছে। আমাদের দুর্ভাগ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমরা ইতিহাসের মহানায়ককে হারিয়ে ফেলেছি। এ কথা এখন আর অজানা নয় যে, এই হত্যাকাণ্ড শুধু কতিপয় দুষ্কৃতকারী সেনা অফিসার দ্বারা সংঘটিত হয়নি, এতে পরাজিত শক্তির মদদও ছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু মাত্র তিন বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মনোনিবেশ করেছিলেন যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশকে পুনর্গঠনে। কিন্তু রাতের আঁধারে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর খুনিদের সামান্যতম অনুশোচনাও হয়নি। তারা বীরদর্পে বাংলাদেশ বেতারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে বলে ক্রমাগত ঘোষণা দিয়েছে। এই দম্ভের কারণ খুনিরা ভেবেছিল, এদেশ থেকে স্বাধীনতার পক্ষের রাজনীতি অর্থাৎ আওয়ামী লীগের রাজনীতি চিরদিনের জন্য শেষ হয়ে গেল। কিন্তু ইতিহাস তাদের সেই ধারণাকে ভ্রান্ত বলে প্রমাণ করেছে। বাস্তব যে কখনও কখনও কারও জন্য কঠিন হয়ে আসে, বাঙালি তা-ই লক্ষ করেছে। খুনিরা নিজেরাই ইতিহাসে খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। লোকান্তরিত বঙ্গবন্ধু এখন আরও শক্তিশালী। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন। মনের গভীরে যিনি স্থান পান, তাকে সে স্থানচ্যুত করার শক্তি ও সামর্থ্য কারও থাকে না। বঙ্গবন্ধু এজন্যই জাতির কাছে অমর ও চিরঞ্জীব।

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দানকারী সরকারের সময়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানি ভাবধারাকে পুনরুজ্জীবিত করার অপচেষ্টা চলেছে। যে জয়বাংলা স্লোগানে মুক্তি-সংগ্রামে জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, ৭৫-পরবর্তী সময়ে সেই জয় বাংলা আওয়ামী লীগের স্লোগান হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা চলে। বাংলাদেশ বেতার রেডিও পাকিস্তানের মতো রেডিও বাংলাদেশ হয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধকালে বাঙালি ধর্মনিরপেক্ষতার যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল, তা ম্লান হতে থাকে। মানুষ পেয়েও হারায়। বাঙালি হিসেবে আমরা পরম সৌভাগ্যের অধিকারী যে, বঙ্গবন্ধুর মতো মহানায়ককে আমরা পেয়েছিলাম। আমাদের চরম দুর্ভাগ্য যে, আমরা তাকে পেয়েও হারিয়েছি।

১৫ আগস্টের ঘাতকদের বিচার হওয়ায় দেশবাসী কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ইনডেমনিটি আইন করে খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু জোর করে চাপানো আইন বেশিদিন টেকে না। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাঙালি কখনোই নীরব থাকেনি। খুনিদের বিচারের দাবি মানুষের মন থেকে কখনোই উবে যায়নি। পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুধাবন করে বাঙালি জেগে উঠতে জানে। বঙ্গবন্ধু মানুষকে সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। রাজনীতির নানা ঘটনা প্রবাহে আমরা থমকে দাঁড়িয়েছি বটে, তবে এখন আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলার দ্বারপ্রান্তে। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা বিনির্মাণের কাজ অব্যাহত রয়েছে। বিগত শতকের আশির দশকে বঙ্গবন্ধুকন্যা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর আওয়ামী লীগের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শেখ হাসিনার আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়। মানুষ আস্থা ও ভালোবাসায় শেখ হাসিনাকে গ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব গ্রহণ করে জনসাধারণের সেবক হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার ব্রত নিয়ে শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করছেন। আমরা লক্ষ করছি যে, এক্ষেত্রেও শেখ হাসিনা অন্ধকারের কুশীলবদের হামলার নিশানায় পরিণত হয়েছেন। তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে অতীতে তার ওপর একাধিকবার হামলা করা হয়েছে। আগস্ট মাসেরই ২১ তারিখে শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। খুনিদের নিশানা থেকে সেদিন তিনি বেঁচে গেলেও আমরা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমানসহ স্বনামধন্য অনেক নেতানেত্রীকে হারিয়েছি। এ গ্রেনেড হামলায় জিল্লুর রহমান প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি মারাত্মক আহত হন।

আমরা মনে করি, অন্ধকারের শক্তিরা পরাজিত হয়ে পিছু হটেছে মাত্র। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী সংগ্রামী নেতারা সরকার পরিচালনায় যুক্ত হয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার রূপকল্প বাস্তবায়নের পথে। কৃষক, শ্রমিক, চাকরিজীবী মেহনতি- সব মানুষ শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমরা এখন লক্ষ্য অর্জনের দ্বারপ্রান্তে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশকে ২০৪১ সালে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। এখন আমরা সেদিকে ধাবমান। আমরা আগস্টকে মনে রেখে নতুন লক্ষ্যমাত্রার কথা উচ্চারণ করছি এ জন্য যে, এই আগস্ট মাসেই বারবার বাঙালি জাতির স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তারা সুযোগ পেলেই মরণ কামড় দিতে দ্বিধা করবে না। এজন্য আমাদের সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।

লেখক: অধ্যাপক


আরও খবর



ত্রিশালে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় যুবলীগ নেতা নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোমিন তালুকদার, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ)

Image

ময়মনসিংহের ত্রিশালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যুবলীগ নেতা শামীম পারভেজ (৩৫) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নুরুর দোকান নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয় সাথে প্রাইভেটকারটি। পরে স্থানীয়রা গাড়ি থেকে দুইজনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তবে গাড়ির চালক যুবলীগ নেতা শামীম পারভেজ ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তার সঙ্গে থাকা নজরুল ইসলাম দীপক গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুর্ঘটনার পরে তাদের গাড়ি থেকে বের করার পর গাড়ীতে আগুন ধরে যায়।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের বাইপাস এলাকায় যুবলীগ নেতা শামীম পারভেজ নিজের ফিসারীর পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি করে ত্রিশাল আসার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি নিজের গাড়ী নিজেই চালিয়ে আসছিলেন।

নিহত শামীম পারভেজ ত্রিশাল পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজহারুল ইসলামের বড় ছেলে। সে উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর সকালে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের নুরুর দোকান নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত ও অপর একজন আহত হয়। নিহতের পরিবার থেকে কোন আপত্তি না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



খেলাপি ঋণ না কমায় আইএমএফের অসন্তোষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী খেলাপি ঋণের উন্নতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংস্থাটির সফররত প্রতিনিধি দল। একই সঙ্গে তারা সামাজিক নিরাপত্তা খাতে যেসব লিকেজ রয়েছে তা দূর করতে পদক্ষেপ নিতে বলেছে। গতকাল (২৫ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রলণালয়ে আইএমএফের সঙ্গে পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওইসব সভায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। অপর সভায় নেতৃত্ব দেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী। আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কার্যক্রমের কর্মসূচি চলমান। এরই মধ্যে বাংলাদেশ দুটি কিস্তি পেয়েছে, এখন তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বিভিন্ন বাস্তবতা সামনে রেখে বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণের ৩৮টি শর্ত পূরণের কাজ পর্যালোচনা বা রিভিউ করতে আইএমএফের একটি দল অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ আলোচনায় দলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-সহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। প্রতিবছর বাজেটের আগে আইএমএফের একটি দল এ সময় ঢাকায় আসে। সভা সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক মার্জার করায় প্রতিনিধি দল বাংলাদেশকে স্বাগতম জানালেও খেলাপি ঋণের উন্নতি করতে পারেনি সরকার। আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্তের একটি ছিল খেলাপি ঋণ কমানো। ২০২৪ সালের মধ্যে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে বলেছে সংস্থাটি।

এর মধ্যে সরকারি ব্যাংকে ১০ শতাংশের নিচে এবং বেসরকারি ব্যাংকে ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার শর্ত ছিল। সরকার তা করতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক এ সংস্থার প্রতিনিধি দল। সূত্র আরও বলছে, ব্যাংক খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবে বেশ কিছু আইন তৈরি ও সংশোধনের প্রস্তাব ছিল আইএমএফের। এর মধ্যে সরকার ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন এবং আর্থিক কোম্পানি আইন এবং অফশোর ব্যাংক আইন পাস করেছে। তবে এখনো বৈদেশিক মুদ্রা ও বিনিয়োগ আইন এবং দেউলিয়া-বিষয়ক আইনসহ অন্যান্য আইন সংস্কার ও তৈরি এখনো হয়নি। এসব আইন দ্রুত পাস করার জন্য বলা হয়েছে। আইএমএফের শর্ত পূরণের অংশ হিসেবে ঋণ ও আমানতের সুদহারে ৯ ও ৬ শতাংশ সুদহার বজায় রাখা থেকে সরে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বদলে সুদহারের নতুন নিয়ম চালু করা হয় সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল’ (স্মার্ট) পদ্ধতি। গত বছরের জুলাই থেকেই তা কার্যকর করা হয়। সে অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক ট্রেজারি বিল ও বন্ডের ছয় মাসের গড় সুদহার বিবেচনা করে প্রতি মাসে একটি দর নির্ধারণ করে। এর সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ সুদ যুক্ত করতে পারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। আইএমএফ প্রতিনিধি দল এই সুদ হার বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে আরও স্বাধীনতা দিয়ে বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছে।


আরও খবর



যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে: সিইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যে কোনো মূল্যে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। এবার প্রতিটি জেলায় চারটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটা নতুন মাত্রা হলো জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সমন্বিতভাবে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখতে পারবেন। মোতায়েন সহজ হবে, যেহেতু চারটি পর্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আবেগ-অনুভূতির কারণে দেশে নির্বাচনে অনেক সময় কিছুটা উচ্ছৃঙ্খলতা হয়ে থাকতে পারে, সহিংসতাও হতে পরে। এগুলো যেন না হয়, সেই দিকটাও আমাদের দেখতে হবে। নির্বাচনটা যাতে অবাধ হয়। যারা ভোটার, তারা যেন এসে নির্বিঘ্নে ভোট প্রদান করে আবার নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যেতে পারেন।

সিইসি বলেন, যদি এ ক্ষেত্রে আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের গণতন্ত্রের যে অগ্রযাত্রা, যেটার দৃষ্টান্ত আপনারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে; সেটাও ক্ষুণ্ন হয়ে যেতে পারে। আমরা আশা করব, আগামীতে আমাদের প্রত্যেকটা নির্বাচন সুন্দর-সুষ্ঠু হবে।


আরও খবর



ঈদের আনন্দ থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়: রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিদেরকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপ্রধান বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে দেশবাসীকে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে ঈদের আনন্দ মিলেমিশে উপভোগের অনুরোধ জানান।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিনি দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। এই ঈদের মধ্যেও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছেন উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি ফিলিস্তিনের নির্মমতার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, একজন মানুষ হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো। তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করা।

মনে রাখতে হবে দুঃখ একলা ভোগ করা যায়, কিন্তু আনন্দ একলা ভোগ করা যায় না-সকলকে নিয়ে আনন্দ করতে হয়, বলেন রাষ্ট্রপতি।

মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, ঈদ সবার মধ্যে গড়ে তুলুক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ঐক্যের বন্ধন। ঈদুল ফিতরের শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক, গড়ে উঠুক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম উল্লেখ করে রাষ্ট্র প্রধান বলেন, মানবিক মূল্যবোধ, সাম্য, পারস্পরিক সহাবস্থান ও সহযোগিতা- ইসলামের এই সুমহান বার্তা ও আদর্শ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঈদের আনন্দ থেকে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার ও তাগিদ দেন।

তিনি ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্মাট বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। এর আগে রাষ্ট্রপতি এবং তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বঙ্গভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

রাষ্ট্রপতি রাজনীতিবিদ, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, কূটনৈতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিচারক, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় চিত্র নায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম সাইফুল ইসলামের আদালতে এ আবেদন করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল। শুনানি শেষে আদালত আদেশ পরে দেবেন বলে জানান।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল এ তথ্য জানান।

সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই ঢাকা জেলার পরিদর্শক মো. মনির হোসেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরীমনি ও তার কস্টিউম ডিজাইনার জুনায়েদ বোগদাদী জিমি ওরফে জিমের বিরুদ্ধে মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে আরেক আসামি ফাতেমা তুজ জান্নাত বনির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

২০২২ সালের ৬ জুলাই আদালতে মামলাটি করেন নাসির উদ্দিন। মামলার এজাহারে বলা হয়, পরীমনি ও তার সহযোগীরা অ্যালকোহলসেবী। সুযোগ বুঝে তারা বিভিন্ন নামিদামি ক্লাবে ঢুকে অ্যালকোহল পান করেন এবং পার্সেল নিয়ে মূল্য পরিশোধ করেন না। পরীমনি তার পরিচিত পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির ভয় দেখান। ২০২১ সালের ৯ জুন রাত ১২টার পর আসামিরা সাভারের বোট ক্লাবে ঢুকে দ্বিতীয়তলার ওয়াশরুম ব্যবহার করেন।

পরে তারা ক্লাবের ভেতরে বসে অ্যালকোহল পান করেন। বাদী ও তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম রাত সোয়া ১টার দিকে যখন ক্লাব ত্যাগ করছিলেন, তখন পরীমনি ব্লু লেবেল অ্যালকোহলের বোতল বিনামূল্যে পার্সেল দেওয়ার জন্য বাদীকে চাপ দেন। বাদী এতে রাজি না হওয়ায় পরীমনি বাদীকে গালমন্দ করেন। বাদী এবং আসামিদের মধ্যে বাদানুবাদের একপর্যায়ে পরীমনি বাদীর দিকে একটি সারভিং গ্লাস ছুড়ে মারেন এবং হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিও ছুড়ে মারেন। এতে নাসির উদ্দিন মাথায় এবং বুকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরীমনি ও তার সহযোগীরা নাসির উদ্দিনকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়েছেন ও ভাঙচুর করেছেন।

এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমনি সাভার থানায় বাদীসহ দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করেন।


আরও খবর