আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

বাবা ও ভাইকে দেখতে আসার পথে গণধর্ষণের শিকার তরুণী

প্রকাশিত:শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পারিবারিক মামলায় কারাগারে থাকা বাবা ও ভাইকে দেখতে আসছিল ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়নের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী। পথিমধ্যে পাচঁ-ছয় জন যুবক তার গলায় ছুরি ধরে ও চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে তাকে গণধর্ষণ করেছে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে তরুণীর মেডিকেল টেস্ট করা হয় এবং বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী ঠাকুরগাঁও কারাগারে থাকা তার বাবা ও ভাইকে দেখেতে পাগলু (থ্রী হুইলার) যোগে বালিয়াডাঙ্গী থেকে ঠাকুরগাঁও শহরে আসছিল। এ সময় একই এলাকার ৫-৬ যুবক মেয়েটির গলায় ছুরি ঠেকিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হলে মেয়েটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।

এলাকাবাসী শুক্রবার রাত ১১টায় জেলা সদরের শ্রী কৃষ্টপুর ইক্ষু খামার এলাকায় রাস্তার ধারে মুখ বাধা অবস্থায় মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী জানায়, বাড়ি থেকে বালিয়াডাঙ্গী পাগলু স্ট্যান্ড থেকে একটি পাগলুতে উঠে বাবা ও ভাইকে দেখতে আসার সময় বাবলু, তালেব ও আসলামসহ মোট ৬ জন ওই গাড়িতে ওঠে আমার গলায় ছুরি ধরে। পরে মাথায় আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফিরলে সে দেখে একটি ঘরে তারা ছয় জন তাকে ঘিরে ধরে আছে। পরে তার উপর নির্যাতন করা হলে সে আবার অজ্ঞান হয়ে যায়। তারপরে জ্ঞান ফিরলে সে নিজেকে সদর হাসপাতালে দেখতে পায়।

ধর্ষণের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) জানান, মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে এবং হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, ৯৯৯-এ কলের মাধ্যমে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।


আরও খবর



হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

তরুণদের আস্থা আর বয়োজ্যেষ্ঠদের নির্ভরতার প্রতীক সাদ্দাম হোসেন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের অনুষ্ঠিত মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে হাটবাজারে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে তরুণ প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। 

হরিরামপুর উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে তরুণ থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ সবারই আলোচনার বিষয়ে এখন মো. সাদ্দাম হোসেন। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিপদে-আপদে যখন কোন প্রয়োজন হয়েছে ঘরের ছেলের মতে এগিয়ে এসেছে সাদ্দাম হোসেন। 

বয়োজ্যেষ্ঠ বাদল মন্ডল জানান, যখনই কোন প্রয়োজনে সাদ্দাম হোসেনের কাছে গিয়েছি সে তার সাধ্যমত উপকার করার চেষ্টা করছে। আমাদের মত বয়স্ক মানুষ যারাই সাদ্দামের কাছে গেছে তারাই ভালো ব্যবহার পেয়েছে। এই নির্বাচনে জয়-টা তার প্রাপ্য, আমি চাই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হয়ে সাদ্দাম যেন এই এলাকার সেবা করতে পারে।

চায়ের দোকানে বসে কথা হয় আসিকুজ্জামান নামে একজনের সাথে। আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা খেলাধুলা করতে পছন্দ করি, একারণে একবার সাদ্দাম ভাইয়ের কাছে ক্রীড়া সামগ্রী চেয়েছিলাম, তিনি আমাদের যা দিয়েছিলেন তা ছিল চাহিদারও বেশি। আমার মত তরুণরা চায় সাদ্দাম ভাই উপজেলা পরিষদে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করুক। তরুণ সমাজ জোট বেঁধেছে তারা সাদ্দাম ভাইকেই ভোট দিবে।

কলেজ পড়ুয়া সাথী আক্তার জানান, সাদ্দাম ভাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক, দীর্ঘদিন ধরে বিপধগামী জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। এবার প্রথমবারের মত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিব, আর সেটা হবে সাদ্দাম ভাইয়ের জন্য।


নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মো. সাদ্দাম হোসেন জানান, আমি খুব ছোটবেলা থেকেই ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। স্কুল কলেজের মাঠ চুকিয়ে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ভর্তি হই, তখন থেকেই সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেন, সেখানে আমি কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পাই। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্ব পাই।

তিনি বলেন, আসলে রাজনীতি মানেই হলো মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে পথ চলতে হবে। আমি নিজে ভাল থাকব আর আমার পাশের মানুষেরা কষ্টে থাকবে, আমি আসলে সেই ধারায় বিশ্বাসী না। মানুষের সেবা করার সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম হলো রাজনীতি। আর রাজনীতির পরিপূর্ণতাই হলো জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করা। সেই লক্ষেই আমার এই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করা। আমি আশা করি, আপামর সাধারণ জনগণ ও তরুণ সমাজ আমার পাশে থাকবে এবং আমাকে জনগণ তাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।


প্রসঙ্গত, এ উপজেলার ৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও ১৭ এপ্রিল যাচাই বাছাইয়ে বৈধতা পান ৮ জন প্রার্থী। এর মধ্যে এবারের নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থীদের তালিকার মধ্যে নির্বাচনী মাঠে প্রথম বারের মতো চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোট যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ে প্রার্থীতা বৈধতা পেয়েই পুরোদমে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন সাদ্দাম হোসেন। তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে গণসংযোগ শুরু করেছেন।

এছাড়াও বৈধতা পাওয়া অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হাসান রাজিব, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সামছুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান মো. আজিম খাঁন, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তামজিদ উল্লা প্রধান লিল্টু, বিএনপি পন্থি একমাত্র প্রার্থী উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ও বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার ও নির্দলীয় প্রার্থী রাকিব হাসান। মনোনয়ন বাতিল হওয়া একমাত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিম মোল্লা আপিল করেছেন বলেও জানা যায়।


আরও খবর



দেশজুড়ে বিজ্ঞান জাদুঘরের পৃষ্ঠপোষকতায় বিজ্ঞান মেলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের অর্থায়নে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের ৬৪ জেলায় শুরু হয়েছে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা-২০২৪। গত ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিয়ে নবীন শিক্ষার্থী ও ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা তাদের উদ্ভাবিত বিজ্ঞানের নানা প্রকল্প উপস্থাপন করছে। বিজ্ঞান মেলায় জুনিয়র, সিনিয়র এবং বিশেষ- এ ৩টি গ্রুপে প্রকল্পগুলো উপস্থাপিত হচ্ছে। মূলত: ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলার বিজয়ী ও সেরা প্রকল্পগুলোই উপস্থাপিত হচ্ছে জেলা পর্যায়ের বিজ্ঞান মেলায়।

আজ (৮ মে) পর্যন্ত মোট ২৮টি জেলায় এ বিজ্ঞান মেলা সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রায় ৮ শতাধিক বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন প্রকল্প উপস্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, রোবটিক্সের আধুনিক ব্যবহার, সৌর বিদ্যুতের বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহার, বাসাবাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব নগরায়ন, অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহারসহ বিভিন্ন প্রকল্প। বিজ্ঞান মেলা ছাড়াও অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ এবং বিজ্ঞান বিষয়ক সভা-সেমিনার।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, তরুণ প্রজন্মকে সামাজিক অবক্ষয় থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় সম্পৃক্ত রেখে তাদের মনস্তাত্বিক উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী চেতনার বিকাশ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক বিজ্ঞানবান্ধব রাষ্ট্রে রূপান্তরের মহৎ লক্ষ্য নিয়ে বিজ্ঞান জাদুঘর কাজ করছে। বিজ্ঞান মেলা শুধু আনুষ্ঠানিক প্রদর্শনী নয়, মেলায় উদ্ভাবিত প্রকল্পগুলো বিভিন্ন সেক্টরে প্রয়োগ করে জনগণের জীবনমান উন্নত এবং নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করার অন্যতম লক্ষ্য। এখন বছরে কেবল নির্ধারিত সময়ে নয়, সারা বছরই তৃণমূল পর্যায়ে ছোট ছোট বিজ্ঞান মেলা আয়োজনের মাধ্যমে বিজ্ঞানের মহাসমুদ্রে তরুণ প্রজন্মকে অবগাহন করাতে বিজ্ঞান জাদুঘর পরিকল্পনা করছে।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজ সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র দাবদাহে ভোগানোর পর কয়েক দিন মাঝেমধ্যে ঝড়-বৃষ্টির কারণে রাজধানী ঢাকার বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুরে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১০৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৯ নম্বরে রয়েছে ঢাকা। এদিন ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৬০ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি শহর; ১৫৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনসাসা, ১৫৬ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ভারতের দিল্লি। এ ছাড়া ১৫৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। ১১৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ইসরাইলের তেল আবিব।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল গতকাল মঙ্গলবার। তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে হুট করে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নবনির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাসের সভাপতি রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু।

মানববন্ধনে অবিলম্বে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা। এর সঙ্গে জড়িত অভিনেতা জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বো-কে সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ অন্যান্য শাস্তির দাবিও জানান।

বক্তরা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদেরকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?

এদিকে ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

১০ জনের তদন্ত কমিটিতে আছেন সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না।


আরও খবর



আরও ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে অংশ নেওয়া ৬১ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো শোকজের চিঠিতে তাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে বা কেউ জবাব না দিলে তাদের দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হবে। চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ভোটের মাঠে রয়েছেন এসব শোকজ পাওয়া নেতা।  এর আগে প্রথম দফার ভোটে যাওয়া ৮০ নেতাকে বহিষ্কার করে দলটি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপে শোকজ করা ৬১ নেতার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ২০ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ১৬ জন রয়েছেন। এছাড়া এ ধাপের ভোটে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন ১২ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে ৪ জন।  জানা গেছে, দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে কমসংখ্যক নেতা ভোটে অংশ নিয়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, শোকজ করার কারণ হলো তাদেরকে আরেকটি সুযোগ দিতে চায় দল। এর মধ্যেও যদি কেউ ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সই করা শোকজ চিঠিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএনপির নেতা হিসাবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর