আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির পথে হাঁটছে না ইইউ : রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) হাঁটছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত সংস্থাটির রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি কথা জানান।

চালর্স হোয়াইটলি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের নীতি গ্রহণ করে সেটি ঘোষণা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতি ভিন্ন। আমরা নির্বাচনী পূর্ব মিশনে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমার বিশ্বাস, রাজনৈতিক দলগুলো জানে নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা।

জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে ইউরোপের বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধার দুয়ার খুলতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়, তবে তা দারুণ ইতিবাচক সিগন্যাল দেবে যে বাংলাদেশ জিএসপি প্লাসের জন্য প্রস্তুত। কারণ নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ওপর আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী সবার ন্যূনতম নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার থাকতে হবে।

আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই : কৃষিমন্ত্রী

১৩ দিনের মিশনে বাংলাদেশে আসছে ইইউর নির্বাচনপূর্ব পর্যবেক্ষক দল। তারা সবার সঙ্গে বৈঠক করবেন উল্লেখ করে হোয়াইটলি বলেন, নির্বাচনপূর্ব পর্যবেক্ষক দল ৮ জুলাই বাংলাদেশে আসবে, থাকবে ২১ জুলাই পর্যন্ত। এ সময়ে তারা রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ সবার সঙ্গে কথা বলবেন। এখানের নির্বাচনী পরিবেশ ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবেন।

গত ২৪ মে রাতে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণার বিষয়টি জানানো হয়। এতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিকে ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে বলে জানানো হয়।

ভিসানীতি ঘোষণার পর ২৫ মে এ নিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

এ নিয়ে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজেও একটি পোস্টে বলা হয়, আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সমর্থন করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন ব্যক্তিদের ভিসা সীমিত করার এ নতুন ভিসানীতি সবার জন্য প্রযোজ্য। রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ বিষয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।


আরও খবর



যুবলীগকে দেখলে ভয়ে শয়তানও পালিয়ে যায়: মায়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা কাদের ভয় দেখায়? ওদের কি কোনো আক্কেল নেই? বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করার জন্য যুবলীগই যথেষ্ট। যুবলীগকে দেখলে ভয়ে শয়তানও পালিয়ে যায়, আবার আপনাদের মতো শয়তানরা এক দফার ভয় দেখান!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশে (কেআইবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৭৫-এর খুনি ও ২১ আগস্টের খুনিরা সব এক। জিয়াউর রহমান ২১ বার সেনাবাহিনীতে ক্যু করেছেন। এই দলটি খুনির দল। বঙ্গবন্ধু ও জেলখানায় জাতীয় ৪ নেতার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী জিয়াউর রহমান। হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র হলো বিএনপি-জামায়াতের মূল লক্ষ্য। তারা জানে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তারা ভোট ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। দেশকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আসতে হবে।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। কীভাবে মানুষের অধিকার আদায় করতে হয় সেই দীক্ষা শেখ হাসিনা দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার প্রতিষ্ঠিত অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল বাংলাদেশকে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা ধ্বংস করতে চায়। ৭৫-এর ঘাতক চক্র ও ২০০৪ সালের খুনিরা এক ও অভিন্ন। শেখ হাসিনা আমাদের প্রেরণার উৎস, আমাদের বাতিঘর। সেই ঘাতক চক্র আবারও, ষড়যন্ত্র করছে দেশের বিরুদ্ধে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, বাংলাদেশকে পাকিস্তান করার ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে আমরা দেশ ছেড়ে দিতে পারি না। দেশকে যারা ধ্বংস করতে চায় তাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা, শেখ হাসিনার সৈনিকরা বসতে পারে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, বাংলাদেশের মর্যাদাকে যিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুপরিচিত করেছেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাই।

তিনি যুবলীগের উদ্দেশে বলেন, সামনে যে নির্বাচন, এই নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের উন্নয়নমূলক কাজ ও তথ্য বহুল চিত্র যদি তুলে ধরতে পারেন তাহলে মানুষের মনোজগতে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসা যাবে। স্লোগানের পাশাপাশি বিপ্লবী পরিবর্তনের পাশাপাশি, তথ্য বহুল বক্তব্যই হবে আমাদের আগামী দিনের হাতিয়ার।

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।


আরও খবর



জলবায়ু ও পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: বাবর

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেছেন, পৃথিবী আজ জলবায়ু ও পরিবেশ দূষণের শিকার। তার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত পরিবেশ বিষয়ক কর্মসূচি আমরা যথাযথভাবে পালন করলে ধ্বংসাত্মক পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা পাবো এবং সবুজ বেষ্টিত বাংলাদেশকে রক্ষা করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, গাছ লাগানো এবং পরিবেশ বাঁচানো আমাদের দায়িত্ব এবং নৈতিক কর্তব্য। প্রতিটি মানুষ যেন দুটি করে গাছ রোপন করে। হেলাল আকবর বাবর বলেন, দেশকে রক্ষা করতে হলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের এই সোনার বাংলাকে সত্যিকারের সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে সর্বদিকে পরিবেশের ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে হবে এবং দেশের সকল নাগরিককে পরিবেশবান্ধব হতে হবে।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে পরিবেশবাদী সংগঠন এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ আয়োজিত এক পরিবেশ ও জলবায়ু সম্মেলন চট্টগ্রাম স্টেশন রোডস্থ মোটেল সৈকত অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন হাজারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামীলীগ নেতা ও এ্যাড ভিশন বাংলাদেশের প্রধান পৃষ্টপোষক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসচিব, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সংগঠক মো: কামাল উদ্দিন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা শেখ নওশেদ সরোয়ার পিল্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: আব্দুল আজিজ, চট্টগ্রাম মহানগর যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহানারা সাবের, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক স্টেট অফিসার মো: জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি ও সাংস্কৃতিক সংগঠক নাছির বাঙালী, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সাহিত্য চর্চা পরিষদের সভাপতি এম. নুরুল হুদা চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মো: হাসান মুরাদ, সহ সভাপতি মো: ইউসুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মৌসুমী চৌধুরী, স্বপ্নযাত্রার সভাপতি সাজমিন কনিকা। সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স ম জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিবেশ সংগঠক মাসুদ রানা। অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন পাহাড়তলী থানা আওয়ামী লীগ নেতা মুমিনুল হক মুমিন, আকবর আলী,চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো: দেলোয়ার, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার পলাশ, কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ইয়াছির আরফাত রিকু, যুব মহিলা লীগ নেত্রী আয়েশা সিদ্দিকা, শিল্পী শিউলী আকতার, মো: মোস্তফা, আবুল হাশেম, সাংবাদিক আমিনুল হক শাহীন, রফিকুল ইসলাম, সীমা চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রুবেল দে।

সভার প্রধান আলোচক মো: কামাল উদ্দিন বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। প্রতিনিয়ত শব্দ দূষণ ও গাড়ি কালো ধোঁয়ায় এবং হাইড্রোলিক হরণের কারণে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মস্তিষ্ক ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

প্রধান বক্তা শেখ নওশেদ সরোয়ার পিল্টু বলেন, চট্টগ্রাম নদী, সমুদ্র ও পাহাড় বেষ্টিত নানন্দিক নগরী। এই নগরীকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে রক্ষা করতে আমাদের সকলকে আরও বেশি সচেতন ও দায়িত্ববোধ হতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, পরিবেশবাদী সামাজিক সংগঠন এ্যাড ভিশন চট্টগ্রামের পরিবেশ রক্ষায় ও সচেতনতা সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এই সংগঠনকে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে এলে চট্টগ্রামের রক্ষার আন্দোলন আরও বেগবান হবে।


আরও খবর



শাহজালালে কাস্টমস কর্মকর্তাদের মোবাইল ব্যবহারে কড়াকড়ি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে সম্প্রতি ৫৫ দশমিক ৫১ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সংস্থাটি। এবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম-কমিশনার (হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত) মিনহাজ উদ্দিনের সই করা এক অফিস আদেশে এ বিষয় বলা হয়। এতে বিমানবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বকালীন অফিসিয়াল ওয়াকিটকি ও শিফট ইনচার্জের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন শিফটে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময়ে মাত্রাতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। ফলে বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের যাত্রীসেবায় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে এবং দাপ্তরিক শৃঙ্খলা বিনষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায়, যাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রীসেবা দিতে বিভিন্ন শিফটে দায়িত্ব পালনরত বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তঃযোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে মোবাইল ফোনের পরিবর্তে অফিসিয়াল ওয়াকিটকি ব্যবহার করতে বলা হলো।

এতে আরও বলা হয়েছে, তবে শিফট ইনচার্জ ও প্রটোকলের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা (মাইক ১৪) তাদের অফিসিয়াল মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। অপরদিকে, দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কেবলমাত্র অতি জরুরি প্রয়োজনে প্রটোকল অফিসার এবং শিফট ইনচার্জের অফিসিয়াল মোবাইল ফোন থেকে যোগাযোগ করতে পারবেন।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ১১ জেলায় তীব্র ঝড়ের পূর্বাভাস

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ১১ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আজ রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর
ঢাকাসহ ১৪ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




‘মৎস্য খাতে ই-সার্টিফিকেশন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন অধ্যায়ের সূচনা’

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মৎস্য আমদানি-রপ্তানিতে ই-সার্টিফিকেশন চালু স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নতুন অধ্যায়ের সূচনা বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে মৎস্য অধিদপ্তরের আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত ই-সার্টিফিকেশন এবং ল্যাবরেটরি তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। মৎস্য অধিদপ্তর এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)-এর অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্প যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের ই-সার্টিফিকেশন এবং ল্যাবরেটরি তথ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি বাংলাদেশের মৎস্য খাতে একটি নতুন অধ্যায়ের সংযোজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের জন্য আমাদের সব খাতকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের মৎস্য খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ খাত থেকে খাবারের একটি বড় অংশের চাহিদা মেটে। মানুষের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যে উপাদান দরকার তার একটি অংশ মাছে রয়েছে। মাছ বিদেশে রপ্তানি করে ব্যাপক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয় যা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পাশাপাশি বিশ্বের ৫২ টি দেশের মাছ রপ্তানির মাধ্যমে রপ্তানিকৃত দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের চমৎকার উন্নয়ন হচ্ছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতকে গতানুগতিক রেখে সনাতনী পদ্ধতিতে পরিচালনা করলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যয় বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, যেসব দেশের সাথে আমাদের মাছ আমদানি ও রপ্তানির সম্পৃক্ততা রয়েছে তাদের চাহিদা পূরণ যথাযথভাবে করতে গেলে ই-সার্টিফিকেশনের স্মার্ট পদ্ধতি আমাদের জন্য খুবই সহায়ক হবে। এর মাধ্যমে মূহুর্তের ভেতর ঝামেলাহীনভাবে সেবা প্রদান করে গুণগত মান যেমন নিশ্চিত করা যাবে, অনুরূপভাবে সময়ের অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে। এ পদ্ধতির মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানির সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্তরা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে। একইসাথে এ খাতে দেশে ও দেশের বাইরে সংশ্লিষ্ট সবাইকে একই প্লাটফর্মে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।

তিনি আরও যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে বাংলাদেশ শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, বরং অনেক দেশের কাছে শিক্ষণীয়। সে জন্য দেশের প্রতিটি খাতকে স্মার্ট খাত হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। এ লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের একটি অংশ হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং মৎস অধিদপ্তর কাজ করছে।

তিনি যোগ করেন, দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটিয়ে মাছ বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে যা দেশের জিডিপিতে অবদান রাখছে। এজন্য রপ্তানি সংশ্লিষ্ট অটোমেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের মনে রাখতে হবে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক মৎস্য সেক্টর তৈরির জন্য নতুন অধ্যায়ের শুভ সূচনা হলো। এক্ষেত্রে মৎস্য উৎপাদন, বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে সম্পৃক্তদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রসঙ্গ টেনে এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন সবসময় সবার ভালো লাগেনা। যখনই বাংলাদেশ উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলে, তখন একটি শ্রেণি আছে যারা ক্ষমতার হালুয়া রুটি ভাগ করার জন্য বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তখন তারা অগ্নি সন্ত্রাস, পেট্রোল সন্ত্রাস করে অথবা অবৈধ উপায়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা যায় কিনা, সে প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়। কিন্তু বাংলাদেশ এখন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। এখন হুট করে অনির্বাচিত কেউ ক্ষমতা দখল করতে পারে না। মানুষের ভোটে রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। সে প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ প্রক্রিয়া যারা ধ্বংস করতে চায় তারা দেশের হোক বা দেশের বাইরের হোক তা বাংলাদেশের শান্তিকামী সাধারণ মানুষ কখনোই মেনে নেবে না।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এগ্রিকালচারাল অ্যাটাচে সারাহ গিলেস্কি। অনুষ্ঠানের কো-চেয়ার ছিলেন ইউএসডিএ-এর অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মাইকেল জে. পার।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মৎস্য এবং মৎস্যজাত পণ্যের আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজিকরণের লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পের কারিগরি সহায়তায় ই-সার্টিফিকেশন সিস্টেম ও ল্যাবরেটরী ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মৎস্য ও মৎস্যজাত উপকরণের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজ করতে ২০ টি লাইসেন্স ও সার্টিফিকেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদান করা হবে। ফলে মৎস্য অধিদপ্তরের মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাগারের কর্মপদ্ধতি এবং প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। পাশাপাশি খাদ্যের গুণগত মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এই উদ্যোগ মৎস্য ও মৎস্যজাত উপকরণের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ব্যয় সংকোচন এবং স্বচ্ছতা ও গতি বৃদ্ধিতে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।


আরও খবর