ক্রমবর্ধমান চাহিদা মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন নেই বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত এ রোগে ১ হাজার ৮০০ জনের বেশি আক্রান্ত হয়েছে। যদিও আক্রান্তের এ সংখ্যা কম বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) পরিচালক রোচেল ওয়ালেনস্কি বলেন, এ রোগ প্রতিরোধে এই মুহুর্তে আমাদের যে পরিমাণ ভ্যাকসিন প্রয়োজন তা এখন নেই। মোট ক্রয় করা ৭০ লাখ ভ্যাকসিনের মধ্যে এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৭০ হাজার হাতে পেয়েছে সরকার। কিন্ত লাখ লাখ ভ্যাকসিন আগামী বছরের মধ্যেও পৌঁছবে কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়েছে। সাড়ে ১২ হাজারের বেশি মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস বিভাগ অনুসারে, দেশটিতে মাঙ্কিপক্স যে হারে ছড়িয়ে পড়ছে তা উদ্বেগজনক। বিশেষ করে নিউইর্য়ক শহরে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ার মাত্রা বেশি। এখন পর্যন্ত দেশব্যাপী এক লাখ ৫৬ হাজার ভ্যাকসিন বন্টন করা হয়েছে। এবং আগামী সোমবার থেকে আরো এক লাখ ৩০ হাজার ডোজের শিপিং শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার নিউইর্য়ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস শহরটির জন্য আরো বেশি ভ্যাকসিন বরাদ্দের জন্য বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেছেন। এর আগে গত সপ্তাহের শুরুতে নিউইর্য়ক সিটির মাঙ্কিপক্সের ভ্যাকসিনেশন ওয়েবসাইটে গোলযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। একই সময়ে হাজার হাজার মানুষ ভ্যাকসিনের জন্য আবেদন করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। সাময়িক অসুবিধার জন্য পরে অবশ্য দুঃখ প্রকাশ করেন শহরটির স্বাস্থ্য কমিশনার অশ্বিন ভাসান।
ত্বকে ক্ষত সৃষ্টিকারী এ রোগটি সাধারণত নিজ থেকেই সেরে যায়। তবে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত বেশিরভাগ নিশ্চিত হওয়া কেসগুলো এসেছে সমকামী পুরুষদের থেকে। তবে যে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মাঙ্কিপক্স নতুন কোনো রোগ নয়। ১৯৫৮ সালে প্রথম এ রোগ সম্পর্কে জানা যায়। তখন এটি বানরের মধ্যে দেখা যেত। ১৯৭০ সালে আফ্রিকা মহাদেশের কঙ্গো রিপাবলিকে প্রথম মানুষের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা যায়।