আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর উত্তরায় লেকের পানি থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৪ মে) উত্তরা ১৬ নং সেক্টরের লেক থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঢাকা জোন-৩ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, উত্তরা ১৬ নং সেক্টরের লেকে ১০ নং ব্রিজের কাছে গোসল করতে নেমে দুজন নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে টঙ্গি ফায়ার স্টেশনের একটি ডুবুরি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুপুর ২টা ৫৩ মিনিটে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় আত্মীয়-স্বজনদের বরাতে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, মিরপুরের শহীদ স্মৃতি স্কুলের নবম শ্রেণির মোট পাঁচজন সহপাঠী এই লেকে গোসল করতে এসেছিল। তাদের মধ্যে দুজন বেশি দূরে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ তুরাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তুরাগ থানার ওসি শেখ সাদী জানান, দুজন শিক্ষার্থী নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর তুরাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের নাম আশরাফুল ইসলাম, আরেকজনের নাম এখনো জানতে পারিনি। নিহত আশরাফুল বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তরা ১১ নং সেক্টরে থাকতো।

ঘটনার প্রাথমিক বিবরণ দিয়ে ওসি বলেন, ওরা পাঁচ সহপাঠী লেকে গোসল করতে এসেছিল। গোসল করতে করতে দুজন বেশি দূরে চলে যায়। এক নারী সেটি দেখে চিৎকার শুরু করেন। বাকি তিনজন ডুবতে থাকা দুজনকে উদ্ধারে চেষ্টা করেও পারেনি। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া নিহত অপরজনের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে। 

নিউজ ট্যাগ: মরদেহ উদ্ধার

আরও খবর



ভারতে পাচার হচ্ছে রাজধানীর নিম্নবিত্ত মানুষের কিডনি (ভিডিও)

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

কিডনি কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত আন্তঃদেশীয় দালালচক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। শনিবার (১১ মে) রাজধানী ধানমন্ডি ২/এ রোডের ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (১২ মে) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ক্রাইম এবং অপারেশন বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজু হাওলাদার (৩২), শাহেদ উদ্দীন (২২) ও আতাউর হোসেন বাপ্পী (২৮)।

রবিন খান নামে এক ভুক্তভোগীর দেওয়া এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে মিরপুর-১০ নম্বরের শাহ আলী মার্কেটের পেছনে বসে এক বন্ধুর সঙ্গে চা খেতে খেতে সাংসারিক অভাব-অনটন নিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। তাদের পাশে বসে থাকা মাছুম এসব কথা শুনে জানান, তিনি সাহায্য করতে পারবেন। ভারতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫ দিন রবিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ রেখে তাকে ভারত যেতে রাজি করান সে।

পরবর্তীতে রবিনকে ধানমণ্ডির ল্যাবএইডে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান মাছুম। সেখানে মামলার গ্রেপ্তার হওয়া অন্য আসামি রাজু, শাহেদ ও আতাউরের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। পাসপোর্ট-ভিসা কার্যক্রম শেষে গত বছর ২২ ডিসেম্বর রবিন ইন্ডিগো এয়ারলাইনের একটি বিমানে ভারতের দিল্লি পৌঁছান। সেখনে একই চক্রের দুই সদস্য শাহীন ও মোস্তফা রবিনকে দিল্লির ফরিদাবাদে নিয়ে যান। সেখানে একটি বাসায় ২০-২৫ দিন আটকে রেখে কিডনি বিক্রির জন্য রবিনের ওপর নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন তারা।

রবিনকে তারা বোঝান, মানুষ একটি লিভার, একটি হার্ট দিয়ে বাঁচতে পারলে একইভাবে একটি কিডনি দিয়েও বাঁচতে পারে। একদিকে মানসিক চাপ, অন্যদিকে টাকা-পয়সার প্রলোভন দেখিয়ে অবশেষে এক রকমের বাধ্য করে ভারতের গুজরাটের মুক্তিনগরের একটি হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে স্থানীয় ডাক্তারের সাহায্যে রবিনের কিডনি বিক্রি করে দেয় চক্রটি।

এর চারদিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে রবিন জানতে পারে তার কিডনি ৫০ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে চক্রটি। প্রায় অর্ধকোটি টাকায় কিডনি বিক্রি করলেও রবিনকে দেয়া হয় মাত্র ৩ লাখ টাকা। পরে দেশে ফিরে রবিন জানতে পারে, একই চক্রটি তার পরিচিত একজনকে এভাবে ফুসলিয়ে ভারত নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। নিজের যে ক্ষতি হয়েছে, তা যেন অন্য কারও না হয় সেজন্য রবিন ধানমন্ডি থানায় চক্রটির বিরুদ্ধে মামলা করে।

বর্তমানে কিডনি হারিয়ে কর্মক্ষমতাহীন অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছেন রবিন। কিডনি অপারেশনের ফলে তার পেটে ৫ ইঞ্চি পরিমাণ একটি কাটা দাগ আছে। একটি কিডনি হারিয়ে বর্তমানে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় দিন কাটছে তার।

কালোবাজারে কিডনির দাম প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে- যখন যেমন দাম পায় তার ওপরেই ভিত্তি করে বেচাকেনা হয়। তবে বর্তমানে এক একটি কিডনির সর্বনিম্ন মূল্য ২৫ লাখ টাকা। অনেক ক্ষেত্রে প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে এ দাম ৫০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত উঠানামা করে।

কারা কিডনি পাচারের শিকার হোন এমন প্রশ্নে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষ এ চক্রটির প্রধান টার্গেট। এদের লাখখানেক টাকা দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এ চক্রটি। এটি একটি আন্তঃদেশীয় দালালচক্র। ভারতের কলকাতা ও গুজরাটে এদের সংঘবদ্ধ সদস্যরা আছে।

কিডনি বিক্রির এ চক্রটির সঙ্গে হাসপাতালের কর্মকর্তা ও ডাক্তার জড়িত কি-না এ নিয়ে এখন পর্যন্ত তদন্ত চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ চক্রের বিস্তার বহুদূর বলে জানায় পুলিশ।

ডিএমপির পক্ষ থেকে জানা যায়, পাচার হওয়া কিডনি ভারতীয় আইন অনুযায়ী ভারতের কোনো নাগরিককে দেওয়া হয় না। এসব কিডনি বাংলাদেশ থেকে যারা ভারতে চিকিৎসা নিতে যান, তাদের শরীরেই প্রতিস্থাপিত হয়।


আরও খবর



সোনার দাম ভরিতে বাড়ল ৪৫০০ টাকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রতি ভরি সোনার দাম সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। যা আগামীকাল বুধবার থেকে কার্যকর হবে। 

মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৮ হাজার ৯০ টাকায় বিক্রি হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

আজ (মঙ্গলবার) ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকায় বিক্রি হয়।


আরও খবর



চীনের মহাসড়কে ধস, নিহত অন্তত ১৯

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে গভীর রাতে একটি মহাসড়কের একাংশ ধসে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। বুধবার (১ মে) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার স্থানীয় সময় রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মেইঝো শহর এবং ডাবু কাউন্টির মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী এস১২ হাইওয়ের ১৭.৯ মিটার (৫৮.৭ ফুট) প্রসারিত অংশ ধসে পড়ে। এতে ১৮টি গাড়িতে কয়েক ডজন লোক সেখানে আটকা পড়ে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং ৩০ জনকে হাসপাতালে জরুরি সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের জীবন বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে নেই।

এদিকে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য কর্তৃপক্ষ প্রায় ৫০০ জনকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে মহাসড়কটি ধসে পড়েছে তা এখনো স্পষ্ট না।


আরও খবর



ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট দেয়ায় সাংবাদিক গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের নেছারাবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিকৃত কার্টুন সম্বলিত ছবি পোষ্টের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে দেবাশীষ মন্ডল আশিষ নামের এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মনিন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে দেবাশীষ মন্ডল দৈনিক কালাবেলা পত্রিকার নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি।

রবিবার দুপুরে গ্রেফতার দেবাশীষকে পিরোজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে শনিবার বিকেলে দেবাশীষকে স্বরূপকাঠি পৌরসভা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার দেবাশীষ শনিবার তার (দেবাশীষ মন্ডল-দৈনিক কালবেলা) নামক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে বিকৃত কার্টুন সম্বলিত ছবি দিয়ে একটি স্টাটাস পোষ্ট দেয়। মুহুর্তের মধ্যে ওই পোস্টের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ এলাকায় ব্যপক নিন্দা শুরু হয়। এক পর্যায়ে এলাকার আলেম সমাজ ওই পোস্টের প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে জাতীয় ইমাম সমিতি নেছারাবাদ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামী ফাউন্ডেশন নেছারাবাদ শাখার তত্ত্বাবধায়ক মোঃ মাসুম বিল্লাহ জানান, ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গকরে ফেসবুকে এমন কটুক্তি ও উসকানি মূলক স্টাটাসের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আইনের মাধ্যমে দোষীর শাস্তি দাবী করছি।

নেছারাবাদ থানার ওসি মো. গোলাম সরোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতার দেবাশীষকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে রবিবার দুপুরে পিরোজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।


আরও খবর



সাভারে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ যুবলীগ নেতা আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর বিশেষ অভিযানে ইয়াবা ও নারী সহযোগীসহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গ্রেফতার। অভিযানের সময় স্বপন নামে তাদের আরও এক সহযোগী পালিয়ে গেছে বলে জানায় পুলিশ ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করে এদিন সকালেই আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার (১৩ মে) সাভারের বিরুলিয়ার খনিজনগর এলাকার স্বপনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন, বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের মো. আব্দুল ওহাবের ছেলে মো. আব্দুল হামিদ ও একই ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকার মৃত হানিফ মিয়ার মেয়ে মোসা. পপি আক্তার (২০)।

এ ঘটনায় পপি আক্তারের স্বামী মাদক ব্যবসায়ী স্বপন পলাতক আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই যুবলীগ নেতা এই যুবলীগ নেতা ওই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে শীর্ষ মাদক কারবারি স্বপনের সঙ্গে যৌথভাবে মাদক কারবার শুরু করেন। এছাড়াও ২০১৫ সালে অস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এই যুবলীগ নেতা।

ডিবি পুলিশ জানায়, সাভার পৌর এলাকায় এক সময় মাদক কারবার করতেন স্বপন। পরে বিরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতার সঙ্গে যৌথভাবে মাদক কারবার শুরু করেন। খবর পেয়ে বিরুলিয়ার খনিজনগর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম। এ সময় মাদক কারবারি পপি ও আব্দুল হামিদের কাছ থেকে ৩০০টি ইায়াবা ট্যাবলেট পাওয়ায় তাদের আটক করা হয়।

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, গ্রেপ্তার দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাদক সংগ্রহ করে সাভার ও বিরুলিয়ায় সরবরাহ করতেন বলে স্বীকার করেছেন।


আরও খবর