আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার মধ্যদিয়ে
ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান ফিরে পেল পাকিস্তান। এক নম্বরে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে
পেছনে ফেলে এক নম্বর এখন বাবর আজমের দল।
শনিবার (২৬ আগস্ট) আফগানদের বিপক্ষে শ্রীলংকার
কলম্বোতে আগে ব্যাট করতে নেমে ধীরস্থির শুরু করেছিলেন বাবর-রিজওয়ান। পাকিস্তানকে বিপর্যয়
থেকে টেনে তুলেছেন এ দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারই। ঠিক বিপর্যয় নয়, ৫২ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে
কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল এশিয়া কাপের আয়োজক দেশটি। এর পর অধিনায়ক বাবরকে নিয়ে সেখান
থেকে পালটা লড়াই চালান মোহাম্মদ রিজওয়ান।
এর আগে পেসার গুলবাদিন নাইব ফখর জামান
(২৭) ও ইমাম-উল হককে (১৩) প্যাভিলিয়নে পাঠিয়ে শুরুটা ভালোই করেছিল আফগানিস্তান। কিন্তু
এর পরেই দৃঢ়চেতা জুটি গড়েন বাবর-রিজওয়ান। ১১০ রানের সেই জুটি ভাঙে বাবরের বিদায়ে। রশিদ
খানের বলে উইকেটের পেছনে থাকা রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাবর। তবে তার
আগে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তিনি চারটি চার ও এক ছয়ে ৮৬ বলে ৬০ রান করেন।
এর পরই নড়বড়ে হয়ে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং
লাইনআপ। দুই উইকেটে ১৬২ রান করা দলটি ১৮৯ রানেই ষষ্ঠ উইকেট হারায়। রিজওয়ান ৭৯ বলে ৬
চার ও ১ ছয়ে ইনিংসসেরা ৬৭ রান করেন। তবে রিজওয়ানের বিদায়ে শেষ দিকে বড় সংগ্রহের শঙ্কা
ছিল পাকিস্তানের। সেই শঙ্কা কমিয়ে দেয় আগা সালমান ও মোহাম্মদ নওয়াজের ৬১ রানের জুটি।
নওয়াজ ৩০ রানে বিদায় নিলেও ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন আগা। যার ওপর ভর করে নির্ধারিত ওভার
শেষে ৮ উইকেটে পাকিস্তান ২৬৮ রান সংগ্রহ করে।
আফগানিস্তানের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন
গুলবাদিন ও ফরিদ আহমদ। এ ছাড়া ফজলহক ফারুকি, রশিদ খান ও মুজিব-উর রহমান একটি করে শিকার
করেন।
রান তাড়ায় কিছু সময় পর পর উইকেট হারান
আফগানরা। আগের ম্যাচে দেড়শ রান করা ওপেনার গুরবাজ দলীয় ১৭ রানেই ফিরে যান। ফাহিম আশরাফের
বলে এলবিডব্লুউ হওয়ার আগে করেন মাত্র ৫ রান। বাবরের দলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে এর পর
একশ রান ছোঁয়ার আগেই প্রতিপক্ষ দলটি ৭ উইকেট হারিয়ে বসে। তখন ধবলধোলাই ঠেকানো দূরে
থাক, তারা কেবল হারের ব্যবধান কমানোরই আশা দেখছিল।
এর পর তাণ্ডব চালান স্পিন-অলরাউন্ডার মুজিব।
মাত্র ২৬ বলেই তিনি ফিফটি তুলে নিয়েছেন। তার চেয়ে এক বল (২৭) বেশি খেলে এতদিন ওয়ানডেতে
আফগান ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটি ছিল রশিদের, যা ভেঙে দিয়েছেন মুজিব। শহিদুল্লাহকে
সঙ্গে নিয়ে তিনি ৫৭ রানের জুটি গড়েন। তবে শাহিন আফ্রিদির বল ফ্লিক করতে গিয়ে পা লেগে
স্টাম্প ভাঙে মুজিবের। হিটআউট হওয়ার আগে তিনি ফরিদের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন। ৩৭
বলে ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে মুজিবে পাঁচটি করে চার ও ছয়ের বাউন্ডারি খেলেছেন। শহীদুল্লাহ
করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান।
পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন
শাদাব। এ ছাড়া আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নওয়াজ দুটি করে শিকার করেন।