বাংলাদেশের
শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও আইটি পণ্যের প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার
পরিদর্শন করেছেন এশিয়ান ট্রেড প্রোমোশন ফোরাম (এটিপিএফ) এর সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সিইওদের
প্রতিনিধিদল। তারা ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের গবেষণা ও উদ্ভাবন, অত্যাধুনিক ম্যানুফ্যাকচারিং
প্ল্যান্ট, বিশ্বমানের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক মান, রপ্তানি সাফল্য দেখে অভিভূত
হয়েছেন। ইলেকট্রনিক্স শিল্পে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, এটিপিএফ
হলো এশিয়া অঞ্চলের ট্রেড প্রোমোশন অর্গানাইজেশন (টিপিও) এর একটি সম্মেলন। এটিপিএফের
উদ্দেশ্য হলো তথ্য বিনিময়, যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্ক
শক্তিশালী করার মাধ্যমে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ
২৩টি দেশের সদস্যদের নিয়ে গত ১৮-২০ অক্টোবর ঢাকায় এটিপিএফের ৩৫তম সিইও সভা অনুষ্ঠিত
হয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’র (ইপিবি) আয়োজনে এই সম্মেলনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিট প্রোগ্রামের অংশ
হিসেবে এটিপিএফের প্রতিনিধিদল ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন করেন।
ইপিবির ভাইস-চেয়ারম্যান
এএইচএম আহসানের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (অক্টোবর ২০, ২০২২) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন
হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনে যান এটিপিএফ-এর প্রতিনিধিদল। হেডকোয়ার্টার প্রাঙ্গনে অতিথিদের
স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি.’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হুমায়ূন কবীর, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর
এস এম জাহিদ হাসান ও ইয়াসির আল ইমরান।
প্রতিনিধিদলে
ছিলেন জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেএটিও) ও এটিপিএফ সেক্রেটারিয়েট ইন্ডাস্ট্রি
অ্যান্ড বিজনেস ডেভলপমেন্ট সাপোর্ট ডিভিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর ইয়োতা ইচিনোজ, জেএটিও
এবং এটিপিএফ সেক্রেটারিয়েটের রিপ্রেজেনটেটিভ রায়ো তাকাহমা ও ইয়ো কানেকো, জেএটিও ঢাকা
অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার ইওয়া উসুকি, ভারতের ট্রেড প্রোমোশন অর্গানাইজেশনের
সিনিয়র ম্যানেজার ক্রিশান কুমার ও ম্যানেজার প্রফুল নায়ের, এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুরের
রিজিওনাল ডিরেক্টর ইলিন লি, কম্বোডিয়ার জেনারেল ডিরেক্টরেট অব ট্রেড প্রোমোশনের ডিরেক্টর
জেনারেল কোসাল কাও, কম্বোডিয়ার ট্রেড পলিসি ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর সেইচানলি তিথ,
মালয়েশিয়া এক্সটারনাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের ডেপুটি চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার
শারিমাহতোন মাত সালেহ এবং পাকিস্তান ট্রেড ডেভেলপমেন্ট অথরিটির সেক্রেটারি আহসান আলি
মাঙ্গী, ইপিবি’র ডিরেক্টর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, সেক্রেটারি মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী,
অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, ইনভেস্টিগেটর মো. মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ।
হেডকোয়ার্টারে
পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ার ওপর নির্মিত ভিডিও
ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। এরপর তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার
ঘুরে দেখেন। পরে তারা ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টসহ
বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে
জাপানের ইওয়া উসুকি বলেন, ওয়ালটন শুধু ইলেকট্রনিক্স পণ্যই উৎপাদন করছে না বরং আনুষঙ্গিক
যন্ত্রাংশও তৈরি করছে। ওয়ালটনের মতো উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের শিল্পখাতের বহুমুখীকরনে
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী হাই-টেক
পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি।
ভারতের ক্রিশান
কুমার বলেন, ওয়ালটনের ফ্যাসিলিটি, প্রযুক্তির উন্নতি, ভার্টিক্যাল ও ব্যাকওয়ার্ড ইন্টিগ্রেশন
খুবই বিষ্ময়কর। ওয়ালটন অসংখ্য ধরণের পণ্য তৈরি করছে। বাংলাদেশ এখন বিভিন্ন দেশে ইলেকট্রনিক্স
পণ্য রপ্তানি করছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
অগ্রগতি।
পাকিস্তানের
আহসান আলি মাঙ্গী বলেন, ওয়ালটন শুধু বাংলাদেশেরই নয় বরং অন্যান্য আঞ্চলিক দেশগুলোর
জন্যও সাফল্যের উজ্জ্বল উদাহরণ। ওয়ালটনের কম্প্রেসর তৈরির উদ্যোগ দেশের বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং
খাতের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সিঙ্গাপুরের
ইলিন লি বলেন, ওয়ালটন হেডকোয়ার্টারের মান, আকার ও অত্যাধুনিক উৎপাদন প্ল্যান্ট খুবই
অসাধারণ। আমরা দেখতে পেলাম- তাদের শক্তিশালী গবেষণা ও উন্নয়ন টিম এবং অভিজ্ঞ সব প্রকৌশলী রয়েছে। ওয়ালটন প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী পণ্য তৈরি করছে।