আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

ভালোবাসার জন্য একটা জীবন যথেষ্ট নয়: পরীমনি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরীমনির প্রেম-ভালোবাসার অনুভূতি উপচে পড়ছে। এ অভিনেত্রীর ভাষ্য ভালোবাসার জন্য একটা জীবন যথেষ্ট নয়। স্বামী শরিফুল রাজকে হৃদয় নিংড়িয়ে সবটুকু ভালোবাসা দিতে এ জীবন ফুরিয়ে যাবে। কিন্তু ভালোবাসা শেষ হবে না। ঠিক যেন বিখ্যাত ওই গানটির মতো  ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয় 

মূলত মা হলে চলার প্রতিটি মুহূর্ত দারুণভাবে অনুভব করছেন পরীমনি। প্রতিটা মুহূর্তই তার কাছে ঐশ্বরিক লাগছে। আর সেসব অনুভূতিতে পাশে পাচ্ছেন রাজকে। অভিনয়, ডাবিং, অনুষ্ঠানে যাওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজ বন্ধ রেখে শুধু অনাগত সন্তানের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন পরী।  যেখানে স্বামী রাজ হয়ে উঠেছেন নিরাপদ স্থল। তাই তো পরীর আক্ষেপ রাজের সঙ্গে কেন ছোটবেলায় দেখা হলো না তার!

এক ভারতীয় গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে সে আক্ষেপের কথাই জানালেন এ চিত্রনায়িকা। রাজের বিষয়ে বললেন, ছোটবেলায় দেখা হলে আরও বেশি করে পেতাম মানুষটাকে। ভালোবাসার জন্য এই এক জীবন কখনও কখনও যথেষ্ট মনে হয় না। মন আরও চায়। আমার আর রাজের প্রেম জমে গেছে। সারাক্ষণ রাজ যত্ন নিচ্ছে আমার। পছন্দের নানা ধরনের ডিশ নিয়মিতই রান্না করে খাওয়াচ্ছে। রাজ বাসায় থাকলে কিছুক্ষণ পর পরই আমার পেটে হাত দিয়ে বাবা,বাবা বলে ডাকে। আমার সন্তান হয়তো বুঝতে পারে। কারণ রাজ ডাকলেই পেটের মধ্যে নড়াচড়া টের পাই। অনাগত সন্তানের কথা মনে করে মাঝে মাঝেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই। এ যেন এক ভীষণ সুখের সময় পার করছি আমরা দুজনে।


শুধু গণমাধ্যমকেই নয়; রাজকে ঘিরে পরীমনি তার ফেসবুকে সয়লাব। পরীমনির ফেসবুক পেজ কিংবা অ্যাকাউন্টে সব খানে নিজের অনাগত সন্তান আর রাজকে নিয়ে চর্চা। রাজকে উদ্দেশ্য করে তার ভালোবাসার বন্দনা থাকে প্রায় সব পোস্টেই। এ নিয়ে নায়িকা বলেন, রাজের প্রতি আমার আবেগ একদম খাঁটি। ব্যক্তিগত জীবনের সব আবেগের কথাই ফেসবুকে ফুটিয়ে তোলেন পরীমনি।  অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরটাও ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করতে গিয়ে আবেগী হয়ে পড়েন এ নায়িকা। মা হতে চলার খবর শুনে ওই মুহূর্তের অনুভূতির কথা জানিয়ে পরীমনি বলেন, তখন মনে হচ্ছিল আমার দুটো ডানা গজিয়েছে। আমি সত্যি সত্যি পরী হয়ে গেছি। আমি উড়ে যাচ্ছি সাদা মেঘের পালের সঙ্গে। পৃথিবীটাকে এক টুকরো স্বর্গ মনে হচ্ছিল তখন!

প্রসঙ্গত, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরও দুটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন পরীমনি। এগুলো হলো মাকাগজের বউ। এ ছাড়া তার হাতে রয়েছে প্রীতিলতা সিনেমার কাজ। সন্তান হওয়ার পর এই সিনেমাটি সম্পন্ন করবেন নায়িকা।


আরও খবর



অতিতীব্র তাপদাহে ফের তিন দিনের হিট অ্যালার্ট

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র হতে অতিতীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। পুড়ছে পুরো দেশ, বিপর্যস্ত জনজীবন। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় পঞ্চম দফায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। যা আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হয়েছে।

আবহাওয়া ও ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. শামীম হাসান মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে এ দফায় বাদ পড়ছে সিলেট অঞ্চল। কারণ সেখানে প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টির আভাস থাকছে।

সর্বশেষ ২৫ এপ্রিল ৭২ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল, যার মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল। কিন্তু গরমের তীব্রতা না কমায় আজ থেকে ৫ম দফায় নতুন করে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট শুরু হয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দিন দিন এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ বাড়ছে আর কমছে বজ্রঝড়ের সংখ্যা। চলতি এপ্রিল মাসে গত ৭৬ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, প্রতি বছর এপ্রিল মাসে ৭-৮টি কালবৈশাখী-বজ্রঝড় হয়। কিন্তু এই বছর হয়েছে মাত্র একটি। এবার এ ঝড়ের সংখ্যা সামান্য। যা হয়েছে সিলেট বিভাগেই।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চূয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৪১ দশমিক ৫, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৫, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে ৪০ দশমিক ৪, যশোরে ৪১ দশমিক ৬, কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।


আরও খবর



ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম কাতারের কোনও আমির ঢাকা এলেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দি‌কে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। পরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমিরকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির সহকারী প্রেস সচিব এস এম রাহাত হাসনাত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশ থেকে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে উচ্চ পর্যায়ের সফরে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির। আমিরের সফ‌রে দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হ‌বে, এর মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি এমওইউ রয়েছে। তার সফরে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে অগ্রাধিকার পাওয়ার পাশাপাশি ইরান-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহে বেশ গুরত্ব সহকারে আলোচনা হবে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি।

সফরের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন কাতারের আমির। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে ১১টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হ‌বে।

কাতারের আমিরের সফর উপলক্ষ্যে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ১১টির মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। চুক্তিগুলো হচ্ছে, দ্বৈতকর পরিহার, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা, সাগরপথে পণ্য পরিবহন, বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর ও যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি। সমঝোতা স্মারকের মধ্যে রয়েছে শ্রমশক্তি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ সহযোগিতা।

আমিরের সফরের তাৎপর্যপূর্ণ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার, সেখানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। এছাড়া, বিপুল পরিমাণ সার্বভৌম তহবিল রয়েছে কাতারের। বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হতে পারে ওই তহবিল। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস কাতার।

আমিরের সফরে মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে আলোচনার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাত ও গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। কাতার এ বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে। হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরে স্বাভাবিকভাবে এ বিষয়ে আলোচনা আসতে পারে।

কাতারের আমির মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনের সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ও রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজনে অংশ নেবেন। এ দিন সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করবেন আমির।


আরও খবর



জিবুতি উপকূলে নৌকাডুবি, ৩৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্ব আফ্রিকার দেশ জিবুতির উপকূলে নৌকাডুবিতে ৩৮ অভিবাসনপ্রত্যাশী ও শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এরই মধ্যে ভুক্তভোগীদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এক এক্স বার্তায় সংস্থাটি জানায়, এখনো ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাছাড়া উদ্ধার হওয়া ২২ জনকে সহযোগিতা করছে সংস্থার সদস্যরা।

আইওএম জানিয়েছে, ২০১৪ সালের পর পূর্বাঞ্চলীয় ওই পথে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।

এর আগে রবিবার (৭ এপ্রিল) তিউনিশিয়ার উপকূল থেকে ১৩ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করে দেশটির কোস্টগার্ড। উপকূলের কাছে ভূমধ্যসাগরে বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

উত্তর আফ্রিকার দেশ তিউনিশিয়া থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টায় অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হতাহতের ঘটনা নতুন নয়।

গ্রীষ্ম শুরুর এই সময়ে সাগরে অনুকূল পরিস্থিতির সুযোগে ইউরোপ মুখে যাত্রা করা নৌকার সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে তিউনিশিয়ার ন্যাশনাল গার্ড।


আরও খবর



মূল্যবান খনিজ জমিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে শি জিনপিং প্রশাসন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর ডংগিংয়ে গতবছর নতুন জ্বালানি তেলের একটি ডিপো নির্মাণের কাজ শেষ করেছে চীন। আর চলতি বছরের শুরু থেকেই সেখানে নজরে আসছে তেলবাহী ট্যাংকারগুলোর ব্যস্ততা। কৌশলগত জ্বালানি মজুত হিসেবে অভিহিত ডংগিংয়ের এ বিশাল তেলের ডিপোর ধারণ ক্ষমতা ৩ কোটি ১৫ লাখ ব্যারেল। মূলত রাশিয়া থেকে ভর্তি হয়ে আসা ট্যাংকারগুলোই এখানে খালাস করছে তাদের তেল। দ্রুত খালাস করেই নতুন চালান ভরতে চীনা ট্যাংকারগুলো ফের ছুটছে রাশিয়ার বন্দরগুলোর উদ্দেশ্যে।

যেভাবে তেলের মজুত বাড়াচ্ছে চীন

দিন দিন রাশিয়া থেকে চীনের এ জ্বালানি আমদানি বেড়েই চলেছে। বর্তমানে দিনে গড়ে ২১ লাখ ব্যারেল তেল মস্কো থেকে আমদানি করছে বেইজিং। টানা দুবছর ধরে বেইজিংয়ের জ্বালানি সরবরাহের প্রধান উৎস মস্কো। এতো বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল কেনার মাধ্যমে চীনের কৌশলগত জ্বালানি তেলের মজুত বর্তমানে উঠানামা করছে ২৮ কোটি থেকে ৪০ কোটি ব্যারেলের মধ্যে।

যেখানে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত জ্বালানি মজুতের পরিমাণ ৩৬ কোটি ব্যারেলের আশপাশে। শান্তিপূর্ণ সময়ে চীনের দৈনিক জ্বালানি চাহিদার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ব্যারেল। এ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী প্রায় ছয় মাসেরও বেশি সময়ের তেলের মজুত নিজের হাতে ধরে রেখেছে চীন।

চীনের তেলের মজুত গড়ে তোলার এ পরিসংখ্যানই পশ্চিমা রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক মহলকে উদ্বিগ্ন করে তোলার জন্য যথেষ্ট। তাদের ধারণা, সামনে বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা আঁটছেন চীনের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এর অংশ হিসেবেই দ্রুত ডংগিংয়ের মতো এসব ডিপোকে তেলে ভর্তি করছে বেইজিং।

অন্যান্য খনিজের মজুতও বাড়াচ্ছে চীন

শুধু জ্বালানি তেলই নয়, অত্যন্ত দ্রুতগতিতে কৌশলগত প্রায় সব শিল্প কাঁচামালের মজুত গড়ে তুলছে বেইজিং। পশ্চিমা মহলের ধারণা, ভবিষ্যতে কোন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি কিংবা সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে চীনা কর্তৃপক্ষ। তাইওয়ানে চীনের সম্ভাব্য সামরিক অভিযানকেই এর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে মনে করছেন তারা।

তবে ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাও বেইজিংকে সুযোগ করে দিচ্ছে ডিসকাউন্ট দরে মস্কো থেকে তেলসহ অন্যান্য কাঁচামাল কেনার ব্যাপারে। জ্বালানি তেলের পাশাপাশি অনেক সস্তায় মস্কো থেকে নিকেল, অ্যালুমিনিয়াম ও তামার মতো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ কিনতে সক্ষম হচ্ছে চীনা কোম্পানিগুলো। আর চীনের এ মূল্যবান ধাতু কিনে মজুত করার প্রবণতার গতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে রাশিয়ার নিকেল, অ্যালুমিনিয়াম ও তামার ওপর আরোপ করা সর্বশেষ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা।

বিশ্বব্যাপী লিথিয়ামের এক-তৃতীয়াংশই চীনের কব্জায়

এসব ধাতুর পাশাপাশি বেইজিংয়ের নজরে রয়েছে বর্তমান যুগের অন্যতম মূল্যবান খনিজ পদার্থ হিসেবে পরিচিত লিথিয়ামের ওপরও। ব্যাটারি শিল্পের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এ খনিজ পদার্থের ক্ষেত্রে চীন মজুত বাড়িয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না; বরং বিভিন্ন দেশে থাকা লিথিয়ামের খনি থেকে শুরু করে পরিশোধনাগার পর্যন্ত কিনে ফেলতে শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইউবিএস গত মার্চে জানায়, এভাবে চলতে থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বের সব লিথিয়াম সরবরাহের তিন ভাগের একভাগই চলে যাবে চীনের কব্জায়।

অবশ্য চীন অনেক আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ধাতু ও বিরল মৃত্তিকার মতো খনিজ পদার্থের মজুত গড়ে তুলছে। এ ব্যাপারে মার্কিন খনি বিষয়ক দফতর ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের ২০১৬ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চীনের হাতে অ্যালুমিনিয়াম, ক্যাডমিয়াম, কোবাল্ট, কপার, গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম, ইরিডিয়াম, ট্যানট্যালাম, টিন, টাংগেস্টন, জিংক ও জিরকোনিয়ামের পাশাপাশি অন্যান্য বিরল মৃত্তিকা পদার্থের মজুত রয়েছে। এরপরের বছরগুলোতে চীন এসব খনিজ মজুত করার তৎপরতা আরও বাড়িয়েছে।

চীন স্বর্ণের মজুদও বাড়াচ্ছে, টান পড়ছে সারা বিশ্বে

শুধু এসব খনিজ পদার্থই নয়, বরং স্বর্ণের মজুতও দিন দিন বাড়িয়ে চলেছে বেইজিং। আর এ স্বর্ণ শুধু সরকারই কিনছে না, বরং চীনের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ব্যক্তি পর্যায়ে বেড়ে গেছে স্বর্ণ কেনার প্রবণতা। মূলত চীনাদের এ স্বর্ণ কেনার প্রবণতাই বিশ্বজুড়ে স্বর্ণের দামকে রেকর্ড পর্যায়ে উন্নীত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪শ ডলারে।

মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসার প্রয়োজনেই চীনের এ স্বর্ণ কেনার উদ্দেশ্য বলে কেউ কেউ মনে করছে। তবে এর পেছনে দেশটির জনগণের একটি মনস্তাত্ত্বিক অবস্থানও রয়েছে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক। তাদের মতে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা আঁচ করতে পেরেই চীনের এলিট সমাজ তাদের সম্পদ দেশের বাইরে জমা করার বদলে দেশেই নিজের হাতের নাগালে রাখতে চাইছেন। আর স্বর্ণ কিনে জমা রাখার মাধ্যমেই তা সবচেয়ে ভালোভাবে সম্ভব। অর্থাৎ চীন যে তাইওয়ানকে ঘিরে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে যাচ্ছে, সে বিশ্বাস দানা বাঁধছে চীনের সাধারণ মানুষের মধ্যেও।

টার্গেট তাইওয়ান, ডেডলাইন ২০২৭

জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মজুত চীন যেভাবে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বাড়িয়ে নিচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজের সামরিক বাহিনীকেও ব্যাপকভাবে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করছে বেইজিং। এমন এক সময়ে এই সামরিকীকরণ চলছে যখন তাইওয়ানকে ঘিরে বেইজিংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা বিশ্বেরও উত্তেজনার পারদ বেড়ে চলেছে পাল্লা দিয়ে। আর চীনের এসব প্রস্তুতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন সামরিক মহল। মার্কিন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের অনেকেই বিশ্বাস করেন শি জিনপিং তাইওয়ান দখলে তার সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। আর এজন্যই চীনের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে কিছুটা দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও সামরিক খাতে খরচ বাড়িয়ে চলেছে বেইজিং।

এ ব্যাপারে সম্প্রতি জাপানে অনুষ্ঠিত নৌবাহিনীর সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল জন অ্যাকুলিনো বলেন, অর্থনীতি দুর্বল হতে থাকা সত্ত্বেও সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে চীন সচেতনভাবে অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। যা কিনা আমাকে উদ্বিগ্ন করছে।’

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতি বিষয়ক ব্লগিং সাইট ওয়ার অন দ্য রকস’-এ নিজের এক লেখায় মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের পরিচালক অ্যাডমিরাল মাইক স্টুডম্যান বলেন, শি জিনপিং (চীনা প্রেসিডেন্ট) তার দেশকে সংঘাতের জন্য প্রস্তুত করছেন। এ লক্ষ্যে সম্ভাব্য এক বিধ্বংসী যুদ্ধের জন্য শি জিনপিং চীনা সমাজকে সামরিকীকরণের মাধ্যমে পুরো দেশকে বর্মে মুড়িয়ে ফেলছেন।’

এর অংশ হিসেবেই চীনা কর্তৃপক্ষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কাঁচামালের একটি কৌশলগত মজুত গড়ে তুলছে বলে মনে করেন মার্কিন এ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা। ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্ব যে ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো, সেই ধরনের নিষেধাজ্ঞার মতো পরিস্থিতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতেই বেইজিং এই মজুত গড়ে তুলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মাইক স্টুডম্যান আরও বলেন, ২০২২ সালে চীনের শীর্ষে নেতৃত্বের যে রদবদল, সেখানেও শি জিনপিংয়ের এ যুদ্ধ প্রস্তুতির ইঙ্গিত রয়েছে। বেছে বেছেই তাইওয়ান সম্পর্কে অভিজ্ঞদের নিজের ক্যাবিনেটে অন্তর্ভুক্ত করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে চীনের ২৪ সদস্য বিশিষ্ট সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পরিষদ পলিটব্যুরোর ২৪ সদস্যের মধ্যে ১৫ জনকেই মনে করা হয় তাইওয়ান সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ।

এমনকি তাদের মধ্যে সামিল রয়েছেন এমন একজন সামরিক কর্মকর্তা, পলিটব্যুরোতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগে তার আগের ধাপ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতেও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না তিনি। তাইওয়ান বিষয়ে ব্যাপক অভিজ্ঞতাই পলিটব্যুরোতে জায়গা করে দেয় তাকে। এ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন চীনের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের সাবেক কমান্ডার। আর তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের যেকোন সামরিক অভিযানের সার্বিক দায়িত্ব প্রথমে এই ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের ওপরেই বর্তাবে।

যুদ্ধের প্রস্তুতি চীনের, দ্বিধাবিভক্ত পশ্চিমা বিশ্ব

তবে চীন যখন দ্রুত তার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে, তখনও চীনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত পশ্চিমা মহল। জ্বালানি ও কাঁচামালের আন্তর্জাতিক উৎস থেকে বেইজিংকে বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারে এখনও দৃশ্যমান কোন শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেনি তারা। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে উচ্চ প্রযুক্তির মাইক্রো চিপ থেকে চীনকে বঞ্চিত করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো চীনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত। বরং চলতি মাসে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস চীন সফরের মধ্যদিয়ে এ বার্তাই দেয়া হচ্ছে যে, ইউরোপীয়রা চীনের সঙ্গে বর্তমান বাণিজ্যিক সহযোগিতা বজায় রাখতেই বেশি আগ্রহী।


আরও খবর



লিফট কিনতে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির উপ-উপাচার্য!

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তিন শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে ফিনল্যান্ড যাচ্ছেন ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও ফার্মাসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। তবে এটি ব্যক্তিগত সফর বা অবকাশ যাপনের জন্য নয়। তারা যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জন্য লিফট কিনতে।

আজ শনিবার ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানে চড়ার কথা রয়েছে তাদের। আগামী ৯ মে তিনি দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

ঢাবির একাধিক শিক্ষক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি আবাসিক ও একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এই ভবনগুলোর জন্য ১৭টি লিফটের প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন সম্পন্ন করতে চারজনের একটি দল ফিনল্যান্ড যাচ্ছে। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধ্যাপক সীতেশ। অন্য তিনজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিসের পরিচালক জাবেদ আলম মৃধা এবং বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম তৌফিক হাসান।

অধ্যাপক সীতেশের সহকর্মীরা জানান, তিনি একজন বিখ্যাত মেডিসিনাল কেমিস্ট ও স্বীকৃত গবেষক। ফার্মাসি এবং ওষুধের ফিল্ডে তার অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাসি বিভাগে অনার্স এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাসিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন। যন্ত্রকৌশল বিষয়ে তার জানাশোনা না থাকা সত্ত্বেও লিফট কেনার জন্য তার ভ্রমণ নিয়ে মুখরোচক আলোচনা চলছে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে।

গত বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত ছুটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলকে ২ থেকে ৯ মে পর্যন্ত আট দিন কর্তব্যরত ছুটি মঞ্জুর ও কর্মস্থল ত্যাগের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। এর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বাংলাদেশ সরকার কোনো আর্থিক খরচ বহন করবে না।

জানা গেছে, লিফটগুলো সরবরাহ করবে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। তাদের মাধ্যমে ফিনল্যান্ডের বিখ্যাত কনে ব্র্যান্ডের লিফট কেনা হচ্ছে। এই ভ্রমণে আরএফএল আসা-যাওয়ার ব্যয় আর ফিনল্যান্ডের কোম্পানি থাকার খরচ বহন করছে।

একাধিক পিপিআর বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, সরকারি বিধি অনুযায়ী প্রি শিপমেন্ট ইন্সপেকশন সম্পন্ন করার খরচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বহন করে। তবে প্রাক টেন্ডার প্রস্তাবে বিদেশ যাওয়া-আসা এবং সেখানে থাকার খরচ অন্তর্ভুক্ত করেই লিফটের দাম নির্ধারণ করা হয়। ফলে আদতে এই ব্যয় ক্রেতাই বহন করছে।


আরও খবর