পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে চাইলে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি, উত্তেজনা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিএনপির পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের বাগবিতণ্ডায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
আজ শনিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হলেও সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন। এক পর্যায়ে যুবদলের একটি মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডায় উত্তেজনা দেখা দেয়। এদিকে, সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে, বিএনপির সমাবেশের কারণে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে চাইলে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি, উত্তেজনা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ অবস্থা চলে প্রায় ১০ মিনিট। এরই মধ্যে সমাবেশের পাশেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। এদিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা দলের নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার জন্য বারবার অহ্বান জানাচ্ছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, যুবদল মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।