
সাকিব আল হাসানের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয়
আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে উইকেটের সেঞ্চুরি করলেন পেস
বোলার মোস্তাফিজুর রহমান।
মঙ্গলবার ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার
ম্যাচে ওপেনার ডেভিড মালানকে আউট করার মধ্য দিয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন
মোস্তাফিজ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তার শততম উইকেট।
গত বছরের জুলাইয়ে নব্বইয়ের ঘরে পা রাখেন
মোস্তাফিজুর রহমান। সেখান থেকে তিন অঙ্কে পৌঁছাতে প্রায় ৮ মাসে কাটারমাস্টার খেলেছেন
১২টি টি-টোয়েন্টি।
২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের ৮ বছরের
মাথায় ৮১ ম্যাচ খেলে ১০০ উইকেটের ক্লাবে নাম লেখালেন মোস্তাফিজ।
মোস্তাফিজুর রহমান ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ম্যাচে ৪
উইকেট নিয়েছেন ৩ বার, ৫ উইকেট ১ বার। ২০১৬ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ রানে
৫ উইকেট সেরা বোলিং।
মুস্তাফিজুর রহমান হারিয়ে গেছেন, মুস্তাফিজ
ফুরিয়ে গেছেন। এমন সব অপবাদে জর্জর মুস্তাফিজ ফিরে এলেন আবারও। ইতিহাস গড়া সিরিজে গড়লেন
রেকর্ড। ৮১ ম্যাচে মুস্তাফিজের উইকেট এখন ১০০। প্রথম বাংলাদেশি পেসার হিসেবে এই মাইলফলক
স্পর্শ করলেন তিনি। আর সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে এই কৃতিত্ব
অর্জন করলেন তিনি। টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে ১০০ উইকেট পেয়েছেন সবমিলিয়ে ছয়জন বোলার।
চলতি সিরিজের তিন ম্যাচেই বল হাতে দারুণ
ছিলেন মুস্তাফিজ। ছিলেন মিতব্যয়ী। আজকের ম্যাচেও মালানের উইকেট নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ
সময়ে। ৪৭ বলে ৫৩ রান করা মালান হয়ে উঠছিলেন বিপজ্জনক। মালানের পর একই ওভারে রানআউট
হন জস বাটলার। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ।
ঐতিহাসিক বাংলাওয়াশের ম্যাচে বল হাতে মুস্তাফিজ
করেছেন আগুনে বোলিং। ৪ ওভারে ১৪ ডটবল, ১৪ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন। এই একটি উইকেট
সম্ভবত মুস্তাফিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দামি। ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট, বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের
বাংলাওয়াশ, সঙ্গে শততম উইকেট। পারলে মুহূর্তটা সোনার ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখতেন মুস্তাফিজ।