আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

১৯৪ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য। তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন সৌম্য সরকার। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে পথ দেখান তিনি। খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। সৌম্যর দেখানো পথ ধরে শেষ দিকে বাকি কাজ সারেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও তরুণ অলরাউন্ডার শামীম হোসেন। তাতেই জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে টেস্ট ও ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতল বাংলাদেশ।

হারারের স্পোর্টস ক্লাবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ের মাধ্যমে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে মাহমুদউল্লাহর দল।

আজ রবিবার সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ১৯.২ ওভারে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের ২.২ ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানির অফ স্টাম্পে পিচ করে বেরিয়ে যাওয়া বল উড়িয়ে মারেন মোহাম্মদ নাঈম। কিন্তু টাইমিং ঠিকমতো হয়নি। মিড অফ থেকে একটু পেছনে গিয়ে ক্যাচ নিয়ে নেন লুক জঙ্গুয়ে। ৭ বলে ৩ রান করে ফেরেন নাঈম।

এরপর ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নেমে লড়াইয়ের আশা জাগান সাকিব আল হাসান। উইকেটে গিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসীও দেখা যায় তাঁকে। এক বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি। কিন্তু থিতু হয়েও শেষ পর্যন্ত টিকেননি। জঙ্গুয়ের বল উড়িয়ে মেরে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব। ১৩ বলে ২৫ রান করে ফেরেন তিনি। ৩২ বলে ৫০ রানে থামে বাংলাদেশের দ্বিতীয় জুটি।

তবে সাকিব ফিরলেও টিকে ছিলেন সৌম্য সরকার। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তুলে নেন ব্যাক টু ব্যাক হাফসেঞ্চুরি। সৌম্যকে ভালো সঙ্গ দেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সৌম্যও ছুটছিল দারুণ ছন্দে। তুলে নেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি হাফসেঞ্চুরি। ভয়ংকর হয়ে ওঠা সৌম্যকে শেষ পর্যন্ত থামান জঙ্গুয়েই। তাঁর বলে ছক্কা মারার চেষ্টা করেন সৌম্য। টাইমিং মেলেনি। বল উপরে উঠে গেলে ক্যাচ নেন মুসাকান্দা। ৪৯ বলে ৬৮ রান করে ফেরেন সৌম্য। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাঁর ক্যারিয়ার সেরা। আগের সেরা ছিল ৬২।

এরপর কিছুদূর লড়াই করে ফেরেন আফিফও। এরপর দলকে জয়ের কাছে নিয়ে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। ২৮ বলে ২৪ রান করে ফেরেন তিনি। অধিনায়ক ফেরার পর নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন শামীম। ম্যাচ শেষে ১৫ বলে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন অভিষেকের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলা শামীম।

এদিন টসের ভাগ্য জিতেছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ব্যাটিং নেমে স্বাগতিকদের উড়ন্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মাধেভেরে ও মারুমানি। দুজন মিলে শুরুর জুটিতে তোলেন ৬৩ রান। ভয়ংকর হয়ে ওঠা সেই জুটি ভাঙেন সাইফউদ্দিন।

সাইফউদ্দিনের মিডল স্টাম্পে থাকা লেংথ বল লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করেন মারুমানি। ব্যাট-প্যাডের মাঝে রয়ে যায় বিশাল ফাঁক। বল আঘাত করে স্টাম্পে। ২০ বলে ২৭ রানে ফিরে যান মারুমানি।

মারুমানি ফেরার পর ঝড় তোলেন মাধেভেরে। অল্প সময় উইকেটে থেকেও তাণ্ডব চালান তিনি। ১২তম ওভারে অবশেষে তাঁর ঝড় থামান সৌম্য।

১১.১তম ওভারে সৌম্যর অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্লগ সুইপে উড়িয়ে মারেন চাকাভা। সীমানার কাছে বল ক্যাচ নেন নাঈম। কিন্তু ব্যালেন্স রাখতে পারেননি। ছুঁড়ে মারেন শামীম হোসেনের দিকে। তিনিও ভুল করেননি। নাঈমের ছোঁড়া বল তালুবন্দি করেন শামীম। ৬ ছক্কায় চাকাভার ২২ বলে ৪৮ রান করেন চাকাভা।

এরপর ব্যাট করতে নামা স্বাগতিক অধিনায়ক সিকান্দারকে টিকতে দেননি সৌম্য। রানের খাতা খোলার আগেই তাঁকে বিদায় করেন সৌম্য। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেওয়া মাধেভেরেকে ফিরিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। নতুন স্পেলে আসা সাকিবের বল রিভার্স করতে চেয়েছিলেন মাধেভেরে। টাইমিং ঠিক হয়নি। শর্ট থার্ড ম্যানে শরিফুল ইসলামের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৩৬ বলে ৫৪ রান করেন মাধেভেরে। দলের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান ফেরার পর শেষের দিকে মিডলঅর্ডারদের ওপর ভর করে নির্ধারিত ওভারে বড় সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

জিম্বাবুয়ে : ২০ ওভারে ১৯৩/৫ (মাধেভেরে ৫৪, মারুমানি ২৭, চাকাভা ৪৮, মায়ার্স ২৩, রাজা ০, বার্ল ২১, জঙ্গুয়ে ১; সাইফ ৪-০-৫০-১, তাসকিন ২-০-২৮-০,  সাকিব ৪-০-২৪-১, শরিফুল ৪-০-২৭-১, সৌম্য ৩-০-১৯-২, নাসুম ৩-০-৩৭-০)।

বাংলাদেশ: ১৯.২ ওভারে ১৯৪/৫ (মাহমুদউল্লাহ ৩৪, মোহাম্মদ নাঈম ৩, সৌম্য ৬৮, সাকিব ২৫, আফিফ ১৪, শামীম ২১*, সোহান ১*; সিকান্দার ১-০-১৩-০, মুজারবানি ৪-০-২৭-২, চাতারা ৪-০-২৭-০, মাসাকাদজা ৩.২-০-৩৭-১, মায়ার্স ৪-০-৪২-০ ও জঙ্গুয়ে ৩-০-৪২-২)।

ফল : পাঁচ উইকেটে জয়ী বাংলাদেশ।

সিরিজ: ২-১ ব্যবধানে জয়ী বাংলাদেশ।


আরও খবর



ফুলগাজী উপজেলা নির্বাচন: হারুন চেয়ারম্যান, অনিল ভাইস চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজিব মাসুদ, ফেনী

Image

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৭ হাজার ৬৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন কাপ-পিরিচ মার্কার প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হারুন মজুমদার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চিংড়ি মার্কার প্রার্থী মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ ভূঞা পেয়েছেন ৭৭৫ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ হাজার ৮৯ ভোট পেয়ে টিয়া পাখি মার্কার প্রার্থী আমজাদহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অনিল বনিক তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুবুল হক কালা তালা প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ২৬৫ ভোট, আব্দুর রহিম পাটোয়ারী চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৯১ ভোট, পরিমল চন্দ্র রায় টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯৭ ভোট, সাইফুদ্দিন মজুমদার উড়োজাহাজ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৬৮৮ ভোট।

আজ বুধবার নির্বাচনে ভোট গণনা শেষে ফুলগাজী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইসমাত জাহান লিপি এ ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে মহিলা-ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরা আজিজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ফেনী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম জানান, ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২ জন চেয়ারম্যান, ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৩২টি ভোট কেন্দ্রের ২৪৪ বুথে মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৬৭১ ভোটারের মাঝে ২৯ হাজার ১৮০ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।


আরও খবর



চোখ বলে দেবে শরীরে কতশত রোগ, জানা যাবে স্বাস্থ্যের অবস্থাও

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মাসিক সেন্ট্রাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। চোখের পরীক্ষার মাধ্যমে মানবদেহে অন্যান্য রোগ রয়েছে কি না তার পূর্বাভাস জানা এবং শরীর-স্বাস্থ্যের অবস্থা জানার বিষয়ে চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সেমিনারের আয়োজন করে।

রবিবার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক অডিটোরিয়ামে সুস্বাস্থ্যের জানালা আমাদের চোখ’ বিষয়ক মাসিক সেন্ট্রাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষার মাধ্যমে চোখের সমস্যাগুলো নির্ণয়সহ এর চিকিৎসা যেমন সম্ভব, একইসঙ্গে শরীরের অন্যান্য রোগ সম্পর্কেও আগেভাগেই জানা যাবে। ফলে সেসব রোগেরও চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। এমনকি শরীরের কী কী রোগ চোখের ক্ষতি করে সে বিষয়ে মানুষকে সচেতন করাটাও এ সেমিনার আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক চক্ষুরোগের বিভিন্ন পর্যায় ও লক্ষণগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করেন এবং এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান ও উৎসাহিত করেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, চোখের নিয়মিত পরীক্ষার মাধ্যমে চোখের সমস্যা নির্ণয় ও রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। একইসঙ্গে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রোগের কারণে চোখের যে ক্ষয়ক্ষতি হয় তা নির্ণয় করাসহ এর চিকিৎসা করাও সম্ভব হবে। এ বিষয়ে চিকিৎসক ও রেসিডেন্টদের আরও সচেতন হতে হবে।

বক্ষব্যাধি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সম্প্রীতি ইসলামের সঞ্চালনায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রাল সেমিনার সাব-কমিটির সভাপতি ও ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ। ব্যতিক্রমধর্মী সম্পূর্ণ নতুন এ সেমিনারে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহ-নূর হোসেন, মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবেদ হোসেন খান ও রিউমাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মেজর (অব:) সৈয়দ জামিল আবদাল।

সেমিনারে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খানসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

ডা. শাহ-নূর হোসেন তার প্রবন্ধে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডারে নার্ভের পাশাপাশি চোখের কি ধরনের পরিবর্তন হয় সে বিষয়ে আলোকপাত করে নিয়মিত চক্ষুর পরীক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ডা. আবেদ হোসেন খান তার প্রবন্ধে বলেন, সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ যেমন যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু ইত্যাদি রোগের লক্ষণগুলো প্রাথমিকভাবে চক্ষু পরীক্ষার মাধ্যমেই প্রথমে নির্ণয় করা যেতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার, অ্যানিমিয়া, লিউকেমিয়া, জন্মগত ক্রটি, বিশেষ ক্ষেত্রে শরীরে বিষক্রিয়ার ধারণাও চোখের মাধ্যমে পাওয়া যায়।

অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) সৈয়দ জামিল আবদাল তার প্রবন্ধে বিভিন্ন ধরনের বাতজ্বর ও বাতব্যথা চোখকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং এর চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।


আরও খবর



জাপানে ৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাপানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বনিন দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৫ ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। তবে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০৩ দশমিক ২ কিলোমিটার (৩১২.৭ মাইল) গভীরে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল রাজধানী টোকিও থেকে ৮৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণের পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র বলেছে, জাপানে আঘাত হানা ভূমিকম্পের কারণে সুনামির কোনো শঙ্কা নেই। জাপানের ভূমিকম্প কেন্দ্র বলেছে, বনিনে আঘাত হানা ভূমিকম্পের ফলে কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করার প্রয়োজন হয়নি।

এর আগে ২২ এপ্রিল এক রাতে ৮০ বারেরও বেশি ভূমিকম্প অনুভূত হয় জাপানের প্রতিবেশী তাইওয়ান। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩। তার আগে ৩ এপ্রিল তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে ১৪ জন নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর স্বশাসিত দ্বীপ অঞ্চলটিতে এক হাজারের মতো আফটারশকের ঘটনা ঘটেছে।

তাইওয়ানের মতো জাপানও একটি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। ২০২২ সালের পহেলা জানুয়ারি দেশটিতে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে দেশটির শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।


আরও খবর



নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১১ জুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলায় বাপেক্সের সাবেক এমডি মো. আব্দুল বাকী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এদিন তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আগামী ১১ জুন অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

এদিন অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন-তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।


আরও খবর



সরকারের উন্নয়ন দেখে বিএনপির মাথা খারাপ: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের আমলে তারা যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদর এবং নিজেরা পাকিস্তানের দালাল হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ, শাসন এবং অত্যাচার করতো। আর বর্তমান চিত্র, বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়ন হচ্ছে- এ উন্নয়ন দেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। সেজন্য এখন তাদের মাথা খারাপ অবস্থা।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সংসদীয় এলাকা আখাউড়া উপজেলায় বনগজ-কৃষ্ণনগর সড়কের তিতাস নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতু পরিদর্শনে আসলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

এর আগে স্থানীয়দের উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক ওই এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় আখাউড়া উপজেলার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মহানগর প্রভাতী ট্রেনযোগে ঢাকা-আখাউড়া রেল স্টেশনে পৌঁছলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনটি ছিল (১৭ মে) বাংলাদেশের মানুষের জন্য স্বপ্ন দেখার দিন, নতুন ভবিষ্যৎ গড়ার যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন দেখার দিন। জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের আজকের ১৭ মে বাংলাদেশের ফিরে এসে মানুষ যে স্বপ্ন দেখত মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছে শেখ হাসিনা মানুষের সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। এইজন্য ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে গাঁথা থাকবে।

এ সময় আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ঋণ খেলাপির তালিকা বিএনপির আমলে সবচেয়ে বেশি ছিল।

নিউজ ট্যাগ: মির্জা ফখরুল

আরও খবর