বোতলজাত ও খোলা
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স
অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। ডলারের বিপরীতে টাকার অস্বাভাবিক অবমূল্যায়ন
ও আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি
এ প্রস্তাব করেছে।
এদিকে বাণিজ্য
মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে বিষয়টি নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে সুপারিশসহ
প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে বুধবার
(০২ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স
অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের পাঠানো চিঠিতে এই প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি।
সেই আলোকে ভোজ্য তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য সমন্বয় সংক্রান্ত বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা
করে প্রতিবেদন পাঠাতে ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয় মন্ত্রণালয়।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক
বাজারে ক্রুড অয়েলের দাম বৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার অস্বাভাবিক অবমূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে
অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ
করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স
অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের দাম বৃদ্ধি ও ডলারের দাম বৃদ্ধির
কারণে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৩ টাকা, পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৫৫ টাকা
এবং খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি পরীক্ষা করে জরুরিভিত্তিতে
সুপারিশসহ প্রতিবেদনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয় চিঠিতে।
এদিকে বৃহস্পতিবার
(৩ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি
পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের চতুর্থ সভাশেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের
জানান, সয়াবিন তেলের বিষয়টি আমাদের ট্যারিফ কমিশন ঠিক করবে। আমি আজকে বলেছি, খুব শিগগিরই
আবার বসে পুরো জিনিসটা এসেস করে, স্টাডি করে তারা নির্ধারণ করবে।
এর আগে ৩ অক্টোবর
বোতলজাত তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলে ১৭ টাকা কমিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা।
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৩ টাকা, পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৫৫ টাকা এবং খোলা
সয়াবিন তেল ১৭৩ টাকায় বাজারে বিক্রি হচ্ছে।