লিটারপ্রতি ১৪
টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ থেকে বাজারে
নতুন নির্ধারিত দাম কার্যকর হওয়ার কথা। তবে বাজারে কম দামের এ তেল এখনো সরবরাহ করা
হয়নি। ফলে ভোক্তাদের তেল কিনতে হচ্ছে আগের দাম অর্থাৎ ১৯২ টাকা লিটার দরে।
বিক্রেতারা বলছেন,
দাম কমানো হলেও সেই তেল এখনো বাজারে ছাড়েনি কোম্পানি। কম দামের তেল বাজারে আসতে ৫-৭
দিন লাগবে। নতুন দামের তেল না আসা পর্যন্ত যে তেল বিক্রি হবে, তা আগের দরে কিনতে হবে
ভোক্তাদের।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর)
রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সোমবার (৩ অক্টোবর)
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন
সয়াবিন তেলের দাম কমানোর ঘোষণা দেয়। এতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা,
পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনে ৬৫ টাকা ও খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৭ টাকা কমানো হয়।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হওয়ার কথা।
বাজার ঘুরে দেখা
গেছে, বাজারে নতুন দামের কোনো প্রভাব নেই। আগের দামেই (১৯২ টাকা লিটার) বিক্রি হচ্ছে।
কোথাও নতুন দামে (১৭৮ টাকা) তেল পাওয়া যাচ্ছে না।
রামপুরার মুদিদোকানি
শমসের মিয়া বলেন, তেলের দাম হুট করে কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু খুচরা
বাজারে এসব কম দামের তেল এখনো সরবরাহ করেনি কোম্পানিগুলো। সেজন্য তারা আগের কেনা তেলগুলো
বিক্রি করছেন। আগে কেনা তেলের বোতলের গায়ে যে দাম লেখা আছে, সেই দামেই আমরা বিক্রি
করছি।
মালিবাগ বাজারের
সামি ট্রেডাসের বিক্রেতা সামিউল হক। তিনি বলেন, তীর ব্র্যান্ডের এক লিটারের বোতল ১৯০
টাকা বিক্রি করছি। তিন তারা ব্র্যান্ডের সয়াবিন তেল বিক্রি করছি ১৮৫ টাকায়। তীরের দুই
লিটারের বোতলের দাম ৩৮০ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল ৯৪০ টাকা।
দাম কমেনি কেন-
এমন প্রশ্নের জবাবে সামিউল বলেন, কম দামের বোতল এখনো বাজারে আসেনি। আমরা যে দামে কিনেছি,
তার থেকে লিটারপ্রতি ৫ টাকা লাভে বিক্রি করছি। কোম্পানিগুলো প্রতি লিটার তেলে ১৮৭ টাকায়
সরবরাহ করেছে, যার খুচরামূল্য ছিল ১৯২ টাকা। সেই দামে আমরা তেল বিক্রি করছি।
জব্বার হোসেন
নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, খুচরা বাজারে কম দামের তেল আসতে আরও পাঁচ থেকে সাতদিন সময়
লাগবে। তার আগে বেশি দামে ছাড়া তেল পাবে না ভোক্তারা।
একজন ক্রেতা বলেন,
খবরে শুনেছিলাম প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ১৪ টাকা কমানো হয়েছে। বাজারে এসে শুনলাম আগের
দামেই কিনতে হবে। কম দামের তেল নাকি এখনো বাজারে আসেনি। অথচ যখন কোনো পণ্যের দাম বাড়ানো
হয়, বিক্রেতারা সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়িয়ে দেয়। আর যখন কমানো হয়, তখন এক সপ্তাহেও কমে না।