নুরুল ইসলাম পেশায় একজন দিনমজুর কদিন আগেও মাথা গোজার জন্য ছিলনা তার নিজের কোন ঠিকানা। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে আজ তার স্থায়ী ঠিকানা হয়েছে। পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার সদর ইউনিয়নের অলংকারকাঠি এলাকার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন। নিজের যে সামান্য আয় তা দিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করাটা ছিলো তার জন্য অসম্ভব। নুরুল ইসলামের মত ওই আশ্রয়নে বসবাস করা অনেক পরিবার রয়েছেন যাদের পক্ষে ঈদ উদযাপন করাটা দুরহ ব্যাপার। ওই সকল পরিবারে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে তাদের পাশে দাড়ায় উপজেলা প্রশাসন।
ঈদের দ্বিতীয় দিন নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী
অফিসার মাহবুব ইল্লাহ মজুমদার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানষ কুমার দাস
ওই আশ্রয়নে বসবাস করা ১৮ টি পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য নতুন পোষাক ও খাদ্যসামগ্রী
নিয়ে তাদের কাছে হাজির হন। ইউএনওকে দেখে ওই পরিবারগুলোর সদস্যরা ছুটে আসেন তাদের দিকে।
পরে ইউএনও একে একে ওই পরিবারের সদস্যদের
হাতে শাড়ি, পাঞ্জাবী, শার্ট, প্যান্ট এবং সেমাই, দুধ, চিনি তুলে দেন। উপজেলা প্রশাসনে
এ ঈদ উপহার পেয়ে তাদের আনন্দের সীমা ছিলোনা। তাদের চোখে মুখে বইছিলো ঈদের খুশি। ঈদ
উদযাপনে নানা ধরনের রঙ্গীন কাপড় দিয়ে সাজানো হয় আশ্রয়নের ঘরগুলোকে। ইউএনও ও প্রকল্প
বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে বাসিন্দাদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করেন।
ওই আশ্রয়নের বাসিন্দা মো. মজিবুর রহমান
বলেন, অর্থাভাবে ঈদে পরিবারের সদস্যদের জন্য কোন কাপড় বা খাবার কিনতে পারিনি। ঈদের
দিন মনটা ভীষন খারাপ ছিলো। উপজেলা প্রশাসনের ঈদ উপহার পেয়ে খুশিতে কেঁদে দিয়েছি। তাদের
জন্য আজকে আমরা ঈদ উদযাপন করতে পেরেছি। এ ব্যাপারে ইউএওন মাহবুব উল্লাহ মজুমদার বলেন,
আশ্রয়নের ঘরে বসবাস করা পরিবারগুলোর আর্থিক অবস্থা তেমন একটা ভালোনা।
এদের মধ্যে অনেক পরিবারই আছেন যাদের পক্ষে
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। ঈদের আনন্দে ওই সকল পরিবারকে
সম্পৃক্ত করতেই আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারগুলোর মাঝে ঈদ উপহার স্বরূপ
পোষাক ও খাদ্যসামগ্রী দিয়েছি। বিতরণকালে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।