নোয়াখালীর সুবর্ণচর
উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নে বাবা ও মাকে মারধর করে আটকে রেখে মেয়েকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ
উঠেছে। এ সময় ওই বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে জাতীয়
জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯ এ ফোন দিলে চরজব্বার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগীদের
উদ্ধার করে।
রবিবার (৬ নভেম্বর)
রাত ১১টায় উপজেলার পশ্চিম চর মজিদ এলাকার আশ্রয়ণ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার
কিশোরী ও তার মা-বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও অভিযোগ
সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় হোসেন বাহিনীর ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী রাত আনুমানিক ১১টায়
নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় গৃহকর্তা
ও তার স্ত্রীকে ঘর থেকে বাইরে এনে বেদম মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে, ঘরে থাকা তার মেয়েকে
সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। রাতে ধর্ষণের শিকার কিশোরী আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে
৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে চরজব্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীসহ তার বাবা ও মাকে প্রথমে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
ভর্তি করা হয়। পরে সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে ভিকটিমের মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ওই তাকে
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নোয়াখালী জেনারেল
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দিন
আবদুল আজিম বলেন, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
চরজব্বার থানার
পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদিন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,
অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।