আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্রতাপে পুড়ছে মানুষ, টিউবওয়েলে মিলছে না পানি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখের বিদায় ঘন্টার সুর উঠেছে। তবুও বৃষ্টির দেখা নেই। ভয়ানক গরমে পুড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিটি মানুষ। অতিমাত্রার দাবদাহে গ্রাম থেকে শহর সবখানেই নাভিশ্বাস অবস্থা। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আবাদি জমি। হাসপাতালেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।

শুধু ঠাকুরগাঁও নন, অন্যান্য জেলাগুলোতেও একই চিত্র। দিনে-রাতে সমান গরম। এ পরিস্থিতিতে ঘরের ভেতরেও টিকে থাকা বড়ই দায়। ফ্যানের বাতাসেও যেন প্রাণ জুড়ায় না। সব মিলে বলা যায় অতিষ্ঠ প্রাণ। অনেকেই রোদের আগুনে পুড়ে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ।

ইতোমধ্যে তাপের প্রকোপ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। এমনকি তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় জমকালোভাবে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছেন এলাকাবাসী।

গত সোমবার শহরের মথুরাপুর এলাকায় স্থানীয়দের আয়োজনে ব্যাঙের বিয়েতে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশগ্রহণ করেন। বিয়ের গীত আর নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল-ডাল সংগ্রহ করে ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

অন্যদিকে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠাকুরগাঁও গ্রাম ও হরিপুর উপজেলার শাহানাবাদ, হাটপুকুর, খালেকপাড়া গ্রামের টিউবওয়েল গুলোতে পানি উঠছে না। নেমে গেছে পানির স্তর। এতে করে অনেক নলকূপে মিলছে না পর্যাপ্ত পানি। তাতে খাবার পানিসহ দৈনন্দিন পানির সংকট দেখা দিয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে নেমে গেছে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্থর৷  টিউবওয়েলের পানি ঠিকমতো উঠছে না। পাম্প বসিয়েও পানি মিলছে না। বাড়িতে ব্যবহৃত কাপড়, থালাবাসন ধোয়া ও রান্নাবান্না করতে যে পানি দরকার তা মিলছে না। এতে নানান ধরনের ভোগান্তিতে রয়েছেন গ্রামবাসী।

ভুক্তোভুগীরা জানান, এমনি গরমে জীবন অতিষ্ঠ। তারপর আবার টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছেনা। অনেক ক্ষণ ধরে পানি দিয়ে পানি উঠানোর চেষ্টা করলেও পাওয়া যায় না। হঠাৎ করে অল্প পানি উঠলে আবার নাই হয়ে যায়। এতে করে বাড়ির যে কাজ গুলো এসব করা কঠিন হয়ে যায়। যাদের গভীর নলকূপ আছে তাদের বাড়িতে যেতে হয়।

অপদিকে, তীব্র গরমে ও খরা-অনাবৃষ্টিতে ফল-ফসল হিটশকের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় ফসলি জমিতে সেচ দিয়ে দুয়েক ইঞ্চি পরিমাণ পানি রাখার এবং আম, লিচু, জামসহ ফল গাছে পানি ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছেন জেলার কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

আজিজ নামে এক এনজিও কর্মী বলেন, আমি অফিসের কাজে তেঁতুলিয়া যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দিয়েছি। আজকে প্রচণ্ড গরমে গাড়ি চালাতে হাত-পা জ্বলছে। তাই গাছের নিচে একটু থেমেছি। এই রোদে এখন গাড়ি গন্তব্যে যাবো কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি। আসলে এমন তাপদাহ চলতে থাকলে জনজীবন থেমে যেতে পারে।

বাবু নামে এক অটোচালক বলেন, তাপের কারণে অটোর কন্ট্রোলার তাড়াতাড়ি কেটে যাচ্ছে ও চাকা ঘন ঘন পাংচার হচ্ছে। রোদের জন্য প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বেড় হচ্ছে না তাই যাত্রীও কম। এতে আমাদের খুব কষ্ট হয়ে গেছে চলাচল করতে।

এদিকে গরমের কারণে ২৫০ শয্যা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে দেখা যায় তাপমাত্রাজনিত কারণে ছোট-বড় সব বয়সের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, তাপমাত্রাও বৃদ্ধির ফলে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত গরমের ফলে ডিহাইড্রেশন রোগ, যেটা পানি শূন্যতা বলে জানান তিনি।


আরও খবর



ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ ১৬ মে, ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ফারাক্কা ব্যারাজ অভিমুখে লংমার্চ কোরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাড়া ফেলে দেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এমন সোচ্চার জনমত ফারাক্কা লংমার্চের আগেও দেখা যায়নি, পরেও নয়। ৯৫ বছরের শারীরিক অসুস্থতা বা রাজনৈতিক চাপ, দমাতে পারেনি লংমার্চের প্রধান নেতা ও সংগঠক মাওলানা ভাসানীকে।

গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে পাকিস্তান আমলে ১৯৫২ সাল থেকে। তখন থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয়নি, ফলে ভারত তার-মতো কাজ করে গেছে। একবারই তারা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে যখন ভাসানী ফারাক্কা লংমার্চ করে।

তিস্তা ব্যারেজ দিয়ে ভারত ১৯৭৫ এ পরীক্ষামূলক অল্প কদিনের কথা বলে পানি প্রত্যাহার শুরু করে, পরবর্তীতে তা আর বন্ধ হয়নি। ফল হয়েছে ৪৮ বছর ধরে ফারাক্কা ব্যারাজের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পানির হাহাকার।

অবশ্য ১১২ ডিসেম্বর ভারতের গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগির নিয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লীর মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি হয়। যা কিছুটা হলেও প্রাপ্য পানি নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখছে। তবে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আর দু'বছর পর। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে প্রতিবছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেবে ভারত।

ফারাক্কা ব্যারাজের মাধ্যমে নদীর পানি সরানোয় শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের মালদহ, মুর্শিদাবাদসহ আরও উজানে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে আকস্মিক বন্যা, নদী ভাঙনে প্রতিবছর ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে বহু মানুষ।


আরও খবর



ফের টানা পতনে শেয়ারবাজার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

টানা পতন থেকে বেরিয়ে আসার আভাস দিয়ে দেশের শেয়ারবাজারে আবার টানা দরপতন শুরু হয়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দরপতনের মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস দরপতন হলো।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। বেড়েছে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ।

এ টানা দরপতনের আগে শেয়ারবাজারে টানা চার কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিলে। ফলে শেয়ারবাজার পতনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসছে এমন ধারণা করতে থাকেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু বিনিয়োগকারীদের হতাশ করে ফের টানা দরপতন শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিলে। অল্পসময়ের মধ্যেই অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। লেনদেনের সময় ১০ মিনিট গড়ানোর আগেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।

অবশ্য এরপর আবার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এতে লেনদেনের একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু লেনদেনের শেষদিকে আবার বিক্রির চাপ বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ। ফলে বিক্রির চাপ বেড়ে আবার বেশকিছু প্রতিষ্ঠান দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি সবকটি মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫৮টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৪১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬৬১ পয়েন্টে নেমে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

দাম বাড়ার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমলেও ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯১১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮৬৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৪১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

এ লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৯ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মালেক স্পিনিংয়ের ৩৭ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩২ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেস্ট হোল্ডিং।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- লাভেলো আইসক্রিম, ওরিয়ন ইনফিউশ, ই-জেনারেশন, গোল্ডেন সন, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, ফারইস্ট নিটিং এবং আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ।

অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৮১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৬টির এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা।


আরও খবর



সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী এলিস মুনরো মারা গেছেন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী কানাডার লেখক এলিস মুনরো মারা গেছেন। সোমবার কানাডার অন্টারিওর পোর্ট হোপের একটি সেবাকেন্দ্রে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

৬০ বছরের বেশি সময় ধরে ছোটগল্প লিখেছেন এলিস মুনরো। কানাডার গ্রামীণ জীবন উপজীব্য করেই বেশির ভাগ লেখা লিখেছেন তিনি। তার গল্পে যে অন্তর্দৃষ্টি ও সমবেদনা ফুটে উঠত, সেজন্য তাকে প্রায়ই রাশিয়ার লেখক আন্তন চেখভের সঙ্গে তুলনা করা হতো।

২০১৩ সালে এলিস মুনরো সাহিত্যে নোবেল পান। সে সময় পুরস্কারের ঘোষণায় মুনরোকে সমকালীন ছোটগল্পের মাস্টার’ অভিহিত করে নোবেল কমিটি বলেছিল, তিনি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে গল্প বলতে পারেন। তার গল্পের বিষয়বস্তু সুস্পষ্ট ও বাস্তববাদী।’

মুনরোর জন্ম ১৯৩১ সালের ১০ জুলাই, কানাডার অন্টারিও প্রদেশের উইংহ্যাম এলাকায়। সেখানকার গ্রাম্য ও শান্ত পরিবেশেই তার বেড়ে ওঠা। বাবা ছিলেন খামারের মালিক ও মা স্কুলশিক্ষক।


আরও খবর



মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী ফেরিডুবি, নিহত ৫৮

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফ্রিকার দেশ মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে একটি যাত্রীবাহী নৌকা (ফেরি) ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। ধারণক্ষমতার অতিরিক্তি যাত্রী বহন করা এই নৌকাটিতে প্রায় ৩০০ আরোহী ছিলেন। তাদের প্রায় সবাই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।

গতকাল শনিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে যাওয়ার পর অন্তত ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নৌযানটিতে থাকা ৩০০ জনের বেশিরভাগই গত শুক্রবার একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন এবং পথিমধ্যে এটি ডুবে যায়।

বিবিসি বলছে, রাজধানী বাঙ্গুইয়ের কাছে এমপোকো নদীতে নৌকাডুবি ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া দুর্ঘটনার ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, নৌকাডুবির পর লোকেরা নদীর তীরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন বা পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছেন।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী ফরাসি ভাষার সম্প্রচারকারী আরএফআইকে বলেছেন, এইমাত্র যা ঘটেছে তা ছিল ভয়ঙ্কর। আমি এমন একটি পরিবারকে চিনি যারা এই ট্র্যাজেডিতে সাতজন আত্মীয়কে হারিয়েছেন।

নাগরিক সুরক্ষা প্রধান থমাস ডিজিমাসে বলেন, উদ্ধারকারীরা পানি থেকে ৫৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। পানির নিচে থাকা মোট লোকের সংখ্যা আমরা জানি না।

অবশ্য নৌকা দুর্ঘটনার পর বেঁচে যাওয়া বহু মানুষ বাঙ্গুইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে নৌকাডুবির জেরে এমন বিপর্যয়ের ঘটনা নতুন কিছু নয়।


আরও খবর



তারকা ক্রিকেটারকে বাদ দিয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছে ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ দল ঘোষণা করে তারা। বিশ্বকাপে ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন রোহিত শর্মা। দলে রয়েছে বিরাট কোহলিও।

চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন শিবাম দুবে। তবে দলে জায়গা হয়নি লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল ও রিঙ্কু সিংয়ের। রিজার্ভ দলে জায়গা পেয়েছেন গিল ও রিঙ্কু।

বিশ্বকাপ দলে হার্দিক পান্ডিয়ার থাকা নিয়ে সংশয় থাকলেও সহ-অধিনায়ক হিসেবে তিনি রয়েছেন ঘোষিত দলে। চলমান আইপিএলে মুম্বাইয়ের জার্সিতে বাজে সময় পার করছেন হার্দিক। ওপেনার হিসেবে রোহিত শর্মার সঙ্গী হওয়ার লড়াইয়ে গিলকে পেছনে ফেলেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। আইপিএলে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কারস্বরূপ বিশ্বকাপের টিকিট পেলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার সঞ্জু স্যামসন।

ভারতের বিশ্বকাপ দল-

রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, রিশভ পন্ত, সঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পাণ্ডিয়া, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, যসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ।

রিজার্ভ দল: শুভমান গিল, রিঙ্কু সিং, খলিল আহমেদ ও আভেস খান।


আরও খবর