আজঃ বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

স্ত্রীর নগ্ন ছবি বান্ধবীদের ম্যাসেঞ্জারে, অভিযুক্ত বর

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

স্কলারশীপ নিয়ে নিউজিল্যান্ডে চলে যাবে বর। বিয়ে করে কনেকে নিয়ে যাবে সেখানে। এমন কথায় বিশ্বাস করে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে নিবন্ধন ছাড়াই বিয়ে দেয় পরিবার। কিছুদিন পর পূর্বের প্রেমিকের সাথে যোগাযোগের অজুহাতে অপবাদ ছড়িয়ে বরের পরিবারের কাছে অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে থাকে ছাত্রী।

বাধ্য হয়ে বাবার বাড়ি চলে আসলে বর দ্বিতীয় বিয়ে করে প্রতিশোধ নিতে তার (ছাত্রী) বান্ধবীদের ম্যাসেঞ্জারে নগ্ন ছবি পোষ্ট করে, সেই সাথে ফেসবুকেও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এমনটাই অভিযোগ করছে ওই ছাত্রী। বিচার না পেলে আত্মহত্যারও হুমকি দিচ্ছেন তিনি।  ওই ছাত্রীর বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভা এলাকার একটি মহল্লায়।

এ ঘটনায় ছাত্রী ও তার বাবা-মা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। এ ঘটনায় রবিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার নান্দাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ সংগঠন ঘাসফড়িংয়ের সদস্যদের সহায়তায় ওই ছাত্রী এ প্রতিবেদকের সাথে দেখা করে। এ সময় সাথে তার বাবা-মাও উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন<< মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

মেয়ের দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে মা শুরুতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, গত বছরের ১৩ জুলাই কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার হাজীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র মো. কাওসার হৃদয়ের (২৭) সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। মেয়েকে তারা বাল্যবিবাহ দিয়েছিলেন। বিয়ের আগে কাওসার তাদের জানিয়েছিল সে স্কলারশীপ নিয়ে নিউজিল্যান্ডে পড়ছে। তাদের পক্ষে কাওসারের ওই পরিচয় যাচাই-বাছাই করার উপায় ছিলনা।

ছাত্রীর বাবা জানায়, বিয়েতে তার মত ছিল না। তবে বাবা-মায়ের কথা ভেবে রাজী হয়েছিল। পরে জানতে পারেন কাওসার বিয়ের সময় ভুয়া পরিচয় দিয়ে তার মেয়ের জীবনটাকে নষ্ট করে দিয়েছে। এরপরও মানসম্মানের কথা ভেবে সবকিছু চাপা দিয়ে ছিলেন। কিন্তু কাওসারের প্রতারণার বিষয়টি তার মেয়ে কখনও মেনে নিতে পারেনি। সে প্রতিবাদ জানাতে থাকলে কাওসার ও তার পরিবারের সদস্যদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের খড়গ নেমে আসে। এক পর্যায়ে কাওসার আরেকটি বিয়ে করে। এ ঘটনার পর দুজনের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে পড়ে। মেয়ে এখন তার বাড়িতে রয়েছে।

ছাত্রীটি জানায়, তার এক বান্ধবী গত শনিবার তাকে ফোনে জানায়, তার একটি আপত্তিকর ছবি তার (বান্ধবী) ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে এসেছে। বান্ধবী তাকে প্রশ্ন করে এ ধরনের ছবি পাঠাচ্ছিস কেন? পরে আরও কয়েকজন বান্ধবীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবি পাঠানো হয়েছে বলে জানতে পারে সে।

আরও পড়ুন<< প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকিদাতা চাঁদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

জানা যায় কাওসার হৃদয় ঈদের আগেই সৌদি আরবে চলে গেছে। পরে তার ভাইয়ের কাছ থেকে নাম্বার নিয়ে যোগাযোগ করলে হৃদয় জানান, তিনি এই বিয়েতে রাজী ছিলেন না। তারপরও পরিবারের কথায় রাজি হন। কিছুদিন যেতেই জানতে পারেন তার স্ত্রী পূর্বের প্রেমিকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছে এবং গোপনে দেখা স্বাক্ষাৎও করছে। এ অবস্থায় তাকে বাবার বাড়ি চলে যেতে বলা হয়। নগ্ন ছবি পোষ্ট করার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমি এবং আমার পরিবার এ ধরনের কর্ম করিনি। প্রমান হলে শাস্তি পেতে প্রস্তুত।


আরও খবর



সাংবাদিকতায় দক্ষতা ও নৈতিকতার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিকতা দক্ষতা ও নৈতিকতার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি বলে মন্তব্য করেছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আলতাফউল-আলম।

শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে পিআইবির সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত পিআইবির গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স (১ম পর্ব) ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

প্রধান অতিথি বলেন, ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তির এযুগে নিজেকে প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে। নতুবা পেশায় টিকে থাকা চ্যালেঞ্জ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ান একজন নাগরিকের পুত্র ইরাকে নিহত হয়। নিহতের বাবার নিকট প্রত্যাশার কথা মিডিয়া জানতে চাইলে ইরাকে যুদ্ধ না করার পক্ষে মত দেন। তিনি বলেন আমার সন্তান হারিয়েছি, এজন্য আমি যুদ্ধ কামনা করতে পারি না। এটা দ্বারা প্রধান অতিথি নৈতিকতার ভিত্তি কতটা শাক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন সেটা বুঝাতে চেয়েছেন।

মোহাম্মদ আলতাফউল-আলম পিআইবির গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স কোর্সের একাডেমিক বিষয়ে আলোচনা করেন ও কোর্সের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের বক্তব্যে পিআইবির মহাপরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসু্দ্দিন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতার কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রচলিত গণমাধ্যমসমূহের জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা থাকলেও সামাজিক মাধ্যমসমূহের সেটা মানসম্মত পর্যায়ে নেই। তাই আমাদের প্রয়োজন প্রচলিত গণমাধ্যমসমূহকে আরো বেশি পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া।

পিআইবি মহাপরিচালক আরো বলেন, বর্তমান চ্যালেঞ্জিং সময়ে আমাদের গণমাধ্যমের প্রশিক্ষিত গণমাধ্যম কর্মী ও সঠিক রাষ্ট্রীয় নীতি সহায়তা দরকার। আর এই প্রশিক্ষিত গণমাধ্যম কর্মী গড়ে তুলতে কাজ করে পিআইবি। আর রাষ্ট্রীয় নীতি সহায়তা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় করে থাকে।

আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসু্দ্দিন বলেন, গণমাধ্যমের উপযোগীতা ও সমালোচনা উভয়ই আছে। নৈতিকতার অবক্ষয় থেকেই হলুদ সাংবাদিকতার বিস্তৃতি। তাই গণমাধ্যম কর্মীদের দৃঢ় নৈতিকতা থাকাও জরুরী। তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রণালয়ের পিআইবি একমাত্র প্রতিষ্ঠান যেটি সাংবাদিকতায় মাস্টার্স ডিগ্রী দিয়ে থাকে। তবে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতাও রয়েছে।

আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসু্দ্দিন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকলে ছবি, সংবাদ ও অন্যান্য বিষয়াদি খুব সহজে সত্য উদঘাটনে সাহায্য করতে পারবে। তাই বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের গুজব প্রতিরোধে কারিগরী জ্ঞান আহরণ করা উচিৎ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিআইবির গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী পংকজ কর্মকার। এছাড়া পিআইবির অধ্যয়ন শাখার প্রভাষক লাজিনা আক্তার জ্যাসলিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পিআইবির গবেষণা ও তথ্য সংরক্ষণ বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. কামরুল হক, সহকারী সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান ও প্রশিক্ষক পারভীন সুলতানা রাব্বি, নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন চৌধুরী ও প্রভাষক শুভ কর্মকার । এছাড়া অনুষ্ঠানে পিআইবির রিসার্চ অফিসার শেখ মজলিশ ফুয়াদ, সহকারী সম্পাদক শাহেলা আক্তার, জ্যেষ্ঠ্ গবেষক কামরুন নাহার, প্রশিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ শাহ আলম, মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার অতিরিক্ত দায়িত্ব মোহাম্মদ আফতাব উদ্দীন ভূঁঞাসহ পিআইবির কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিতি ছিলেন।

অনুষ্ঠানে পিআইবির গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স (১ম পর্ব) ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ও পূর্ববর্তী ব্যাচের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এরপূর্বে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স (১ম পর্ব) ২০২২ শিক্ষাবর্ষ ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্সের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন পিআইবি মহাপরিচালক।


আরও খবর



পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য প্রত্যাহার করল ভারত

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে যে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া নিয়ম করেছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য প্রত্যাহার করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ভারত সরকার।

ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেঁয়াজের ন্যূনতম এই মূল্য শিগগিরই কার্যকর হবে। এই মূল্য নির্ধারণের ফলে ভারত থেকে যেসব দেশ পেঁয়াজ আমদানি করে থাকে তাদের অনেকটাই সুবিধা দেবে। বাংলাদেশের জন্যও বিষয়টি ইতিবাচক হতে পারে।

অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ভারত একসময় পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে চলতি বছরের মে মাসে রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য ৫৫০ ডলারে নির্ধারণ করে দেয়। এ ছাড়া রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দেশটির সরকার।

এদিকে পিটিআই জানিয়েছে, পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর আরোপ করা ৪০ শতাংশ শুল্ক অর্ধেক করে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের সূত্রে পিটিআই এ খবর দিয়ে বলেছে যে হ্রাসকৃত শুল্ক আজ শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।

ভারতের এই দুই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য ছিল দেশটি থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি নিরুৎসাহিত করা। দিল্লির এই পদক্ষেপ ভারত থেকে রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমাতে সাহায্য করে। কেবল জুন মাসেই ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি ৫০ শতাংশেরর বেশি পড়ে গেছে।

ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, জুন মাসে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি ৫০ শতাংশেরও বেশি কমে গেছে। কারণ, প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম ৫৫০ ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক ছিল। ফলে দেশটির পেঁয়াজ অন্যান্য দেশের পেঁয়াজের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৪২৫ অর্থবছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ভারত থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ১৭ হাজার টন। ভারতে এপ্রিল থেকে অর্থবছর শুরু হয়।

বিশ্বের অন্যতম প্রধান পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ ভারত। বাংলাদেশসহ অনেক দেশ ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে। বাংলাদেশের আমদানিকারকেরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে আগ্রহী থাকেন। কারণ, প্রতিবেশী দেশটি থেকে দ্রুত পণ্য আনা যায় এবং বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের চেয়ে বেশি।

সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য বাতিলের সিদ্ধান্তের কারণে ভারতীয় পেঁয়াজচাষিরা লাভবান হবেন। কারণ, তারা স্থানীয় বাজারের তুলনায় বেশি দামে বিশ্ববাজারে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়া বলেছে, মহারাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনের আগে পেঁয়াজচাষিদের এই সুবিধা দেওয়া হলো। মহারাষ্ট্র ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পেঁয়াজ উৎপাদন এলাকা। পেঁয়াজ রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণে এই রাজ্যের চাষিরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, দিল্লি পেঁয়াজ রপ্তানির শর্ত কঠোর করার পর মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজচাষিরা ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন। তবে দেশটির সাধারণ নির্বাচনের আগে সরকার বাজারে পেঁয়াজের দাম কমিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থাকা বিধিনিষেধ শিথিল করতে চায়নি।


আরও খবর
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




২৭তম পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব নিলেন মো. জসিম উদ্দিন

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ২৭তম পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে মো. জসীম উদ্দিনকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বিসিএস ১৩তম ব্যাচের পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন ১৯৯৪ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দায়িত্ব গ্রহণের পর নিয়মিত কার্যক্রম শুরু করেছেন তিনি। দায়িত্ব নেওয়ার পর দুপুর ১২টায় তিনি মন্ত্রণালয়ে সব কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

এর আগে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে চীনে ও একই সঙ্গে মঙ্গোলিয়ায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কাতারে এবং ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গ্রিসে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় গ্রিসের পাশাপাশি মাল্টা প্রজাতন্ত্র ও আর্মেনিয়ায়ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জসীম উদ্দিন। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবে; ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে কাউন্সিলর হিসেবে এবং ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রথম সচিব ও কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এর মধ্যে তিনি দেশেও বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকায় দক্ষিণ এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় উইংয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকায় দক্ষিণ এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ছিলেন।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর দুটোই করেছেন। পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মডার্ন ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে বছরব্যাপী কোর্সে অংশ নেন।

সদ্যবিদায়ী পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এ বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গত ১ সেপ্টেম্বর তাকে বিদায় জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আনুষ্ঠানিক বিদায় নেওয়ার একদিন পরই মাসুদ মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।

বিগত সরকার ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে বা তার যোগদানের তারিখ থেকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের আওতায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়েছিল।


আরও খবর



মানুষের মস্তিষ্কে বাড়ছে প্লাস্টিকের কণা: গবেষণা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

মানুষের শরীরে প্লাস্টিক রয়েছে এই তথ্য নতুন নয়। তবে নতুন এক গবেষণায় এবার মস্তিষ্কে প্লাস্টিকের খোঁজ পেয়েছে। আর এই তথ্য সামনে আসার পরই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে।

একদল গবেষক বছরের শুরুতে মস্তিষ্কের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করেন। তারা দেখতে পেয়েছেন, আট বছর আগে সংগ্রহ করা মস্তিষ্কের নমুনার তুলনায় এখন মানুষের মস্তিষ্কে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণা বেশি পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে, যা মারাত্মক শংকার।

পানির বোতল থেকে শুরু করে বাজারের ব্যাগ, মোবাইল ফোন থেকে ল্যাপটপ সবকিছুতেই প্লাস্টিকের ছোঁয়া। এক কথায় বলা যায় প্লাস্টিকের জগতে বাস আমাদের। বিভিন্ন খাবারেও মিলছে প্লাস্টিকের অস্তিত্ব। সেই প্লাস্টিক এবার পৌঁছে গেছে মস্তিষ্কে। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে আসা এমন তথ্য চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে চিকিৎসা মহলে।

গেলো মে মাসে অনলাইনে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, মানব শরীরের ব্রেন, কিডনি আর লিভারের অটোপসি করে পরীক্ষা শেষে সবগুলো অঙ্গেই মিলেছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। ৯১টি ব্রেন স্যাম্পলে সারা শরীরের থেকে প্রায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেশি মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। বলা হচ্ছে- দেহের সবকটি অঙ্গের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণে সবথেকে বেশি জর্জরিত ব্রেন বা মস্তিষ্ক।

গবেষণা প্রতিবেদনটির মূল লেখক ম্যাথিউ ক্যাম্পেন। তিনি যুক্তরাস্ট্রের নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেসের অধ্যাপক। তিনি বলেন, ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে গড় বয়সের ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের টিস্যু পরীক্ষা করে দেখা গেছে তাদের ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ মস্তিষ্ক, বাকি অংশ প্লাস্টিক। ২০১৬ সালে মৃতদেহ থেকে সংগ্রহ করা মস্তিষ্কের নমুনার তুলনায় এটি প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি।

তিনি  জানান, এই ন্যানো প্লাস্টিকগুলো কোনো না কোনোভাবে মানব শরীরে প্রবেশ করছে এবং মস্তিষ্কে গিয়ে পৌঁছাচ্ছে। প্লাস্টিক ফ্যাট বা লিপিড পছন্দ করে। তাই খাবারের মাধ্যমে যে ফ্যাট গ্রহণ করা হয় সেগুলোর সঙ্গে ন্যানো প্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করে। তারপর তা মস্তিষ্কসহ অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গে যায়। খাবার ছাড়াও শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমেও প্লাস্টিক শরীরে প্রবেশ করে।

মূলত ডিমেনশিয়া, অ্যালঝাইমার্সের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির গবেষণা করতে গিয়েই উঠে আসে এমন সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর এই তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে কীভাবে প্লাস্টিক দূষণের ফাঁদে পড়ছে মানব সভ্যতা। ধীরে ধীরে আমাদের মস্তিষ্ককেও গ্রাস করে নিচ্ছে এটি। তাই সাবধান হওয়া জরুরি এখনই।


আরও খবর



সাবেক ৬৫ মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতির অনুসন্ধানে আবেদন

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী ৬৫ জন মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।

১৮ আগস্ট দুদক চেয়ারম্যানের কাছে তাদের তালিকা ও অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করে এ আবেদন করেন ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন নামে এক আইনজীবী।

কমিশনে করা আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, কমিশনে অভিযোগ করে থাকলে কমিশন সেটি তার বিধি অনুযায়ী দেখবে, এটা কমিশনের নৈমিত্তিক কাজ। দুদক সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে অবশ্যই কাজ করবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনের পাঠানো আবেদনে প্রায় ৬৫ জনের বিষয়ে অভিযোগ আনা হয়। গত ৫ থেকে ১৫ বছরে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাদের সম্পদ বৃদ্ধির একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন আবেদনে।

পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ বছরে মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে কারও আয় বেড়েছে, কারও বেড়েছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০০ গুণ থেকে কয়েক হাজার গুণ বেড়েছে সম্পদ। কারও ক্ষেত্রে সম্পদ ও আয় বেড়েছে লক্ষ গুণ পর্যন্ত।

সাবেক মন্ত্রীদের মধ্যে যাদের নাম রয়েছে

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

এ ছাড়াও জুনাইদ আহমেদ পলক, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, খালিদ মাহমুদ, চৌধুরী ফরিদুল হক, গোলাম দস্তগীর গাজী, ইমরান আহমদ, জাকির হোসেন, কামাল আহমেদ মজুমদার, জাহিদ আহসান রাসেল, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শাজাহান খান, হাছান মাহমুদ, কামরুল ইসলাম, হাসানুল হক ইনুর নামও রয়েছে।

সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে এই তালিকায় রয়েছেন বেনজির আহমেদ, সরওয়ার জাহান, শরিফুল ইসলাম জিন্না, শহিদুল ইসলাম বকুল, শেখ আফিল উদ্দিন, ছলিম উদ্দীন তরফদার, কাজী নাবিল আহমেদ, এনামুল হক, মেহের আফরোজ চুমকী, নূর আলম চৌধুরী শাওন, শেখ হেলাল উদ্দীন, স্বপন ভট্টাচার্য, কাজিম উদ্দীন আহমেদ, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মুহিবুর রহমান, মামুনুর রশীদ কিরন, জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

নির্বাচনী হলফনামার তথ্য নিয়ে টিআইবির করা এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে এই আইনজীবী তার চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, টিআইবির সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এমন সম্পদবৃদ্ধির চিত্র রূপকথার গল্পকেও হার মানায়। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরও দুদক অনুসন্ধান শুরু না করায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ন করে এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে দ্রুত অনুসন্ধান করতে অনুরোধ জানিয়ে তিনি চিঠির সঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের অনুলিপিও যুক্ত করেছেন।


আরও খবর