অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের যে অর্জন, তা সরকারের একক অর্জন নয়। এক হাতে এটি হয়নি। দেশের সব মানুষের সম্পৃক্ততায় এই অর্জন এসেছে। সরকার করদাতাদের কাছে ঋণী।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় ভ্যাট দিবসের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রাণ খুলে, মন খুলে বলেছে, বাংলাদেশের অর্জন অসামান্য। কয়েক দিন আগে আইএমএফের প্রতিনিধিদল দেশের অর্থনীতি কোথায় আছে, তা দেখতে এসে এই কথা বলেছে।
মুস্তফা কামাল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন আমাদের অর্থনীতির আকার ছিল ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো। সেটি বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার। আর মাথাপিছু আয় ৬০০ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮৬৪ ডলার।
দেশবাসীকে সঠিকভাবে কর প্রদানের আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশ। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে যাওয়া। আর ২০৪১ এ উন্নত দেশের কাতারে যাওয়া। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে জন্য ট্যাক্স দিতে হবে। আপনার যদি ট্যাক্স না দিলে আমাদের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর জন্য কিছু করতে পারতাম না। শিগগির ভ্যাট সংগ্রহ পদ্ধতিকে আধুনিকায়ন করা হবে। আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রত্যেককে অংশ নিতে হবে। এটা করলে টেকসই উন্নয়ন হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, যারা নিয়মিত ভ্যাট দিচ্ছেন, তাদের হয়রানি না করে নতুন নতুন ভ্যাট-ক্ষেত্র শনাক্ত করে রাজস্বের আওতায় আনা জরুরি। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যের বৈষম্য দূর হবে।
এনবিআর মেইড ইন বাংলাদেশের যে লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে, তা যদি বাস্তবায়ন করতে হয় তাহলে ব্যাকওয়ার্ড ইন্ডাস্ট্রিগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
তিনি বলেন, মূল্য সংযোজন হয় এমন পণ্যের পাশাপাশি বহুমূখী পণ্য উৎপাদন করা গেলে রপ্তানি বাড়বে। একইসঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়নের প্রসার ঘটাতে পারলে রাজস্ব আয় বাড়ানো যাবে। এসবের উপযুক্ত নীতি সহায়তা এনবিআরে পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনবিআর সদস্য জাকিয়া সুলতানা।