আজঃ বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সপ্তম বিয়ে করায় চতুর্থ স্ত্রীর আত্মহত্যা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

নালিতাবাড়ী(শেরপুরে) প্রতিনিধি:

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সাবিনা ইয়াসমিন (৩৫) নামে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীকে সপ্তম বিয়ে করায় স্বামীর সাথে বাকবিতন্ডায় প্রকাশ্যে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে চতুর্থ স্ত্রী তিন সন্তানের জননী আছমা খাতুন (৪৫)।

ঘটনাটি নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, নালিতাবাড়ীর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক নূর হোসেন সরকার (৭৮) উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের মৌয়াকুড়া গ্রামের বাসিন্দা। সে এ পর্যন্ত বিয়ের করেছেন ছয়টি।  সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী বনকুড়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন (৩৫) কে গত ১১ নভেম্বর রাতে রেজিস্ট্রি বিহীন বিয়ে করেন। সপ্তম বিয়ে করায় চতুর্থ স্ত্রী আছমা খাতুনের সাথে তাঁর বাক বিতন্ডায় হয়। ওই অভিমানে তিন সন্তানের জননী আছমা খাতুন সোমবার সকালে  (১৩ নভেম্বর) স্বামীর সামনে বিষপান করে।  পরে বাড়ির লোকজন তাকে উপজেলা সদর হাসপাতালে নেন।

স্থানীয় বাসিন্দা হাসমত আলী ও মনিরুল ইসলাম বাবুসহ আশপাশের লোকজন জানান, তার অবস্থার অবনতি হলে নালিতাবাড়ী হাসপাতাল থেকে শেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  পরে তার লাশ সিধুলী গ্রামে বাবার বাড়ি নেয়া হয়। এ ঘটনায় গা ঢাকা দেন নুর হোসেন। 

স্থানীয় হাসমত আলী বলেন, টাকার গরমে সে একাধিক বিয়ে করে। চরিত্রহীন এই লোকটি ছেলের শ্বাশুড়িসহ ৬ থেকে ৭টি বিয়ে করেছে। সম্প্রতি তার দূর সম্পর্কের ভাতিজীকে বিয়ে করে। এর প্রতিবাদ করে না পেয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। 

নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদুল হক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



বিপদসীমার ওপরে দক্ষিণাঞ্চলের ৭ নদীর পানি

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও নেপ টাইডের (অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার মাঝামাঝি সময়) প্রভাবে বরিশাল বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ৭টি নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। যে কারণে নতুন করে পানি ঢুকে পড়ছে বিভিন্ন এলাকায়।

সোমবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জল অনুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ নদীগুলোর ১২টি পয়েন্টের মধ্যে ৮টি নদীর পানি বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্য নদী গুলোর পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি।

এর মধ্যে বিষখালী নদীর পানি ঝালকাঠি সদর উপজেলা পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনা সদর উপজেলা পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলা পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার, বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার, ভোলা জেলায় মেঘনা নদীর দৌলতখান উপজেলা পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে ৬৭ সেন্টিমিটার, পিরোজপুর সদর উপজেলার বলেশ্বর নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার ও উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় তেঁতুলিয়া নদী, বরিশালের কীর্তনখোলা, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পয়েন্টে পায়রা এবং বরগুনার আমতলী উপজেলা পয়েন্টে বুড়িশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। আশা করা যাচ্ছে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে পানি স্বাভাবিক স্তরে চলে আসবে। পানি বৃদ্ধিতে বেড়িবাঁধ, মাছের ঘের, ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।


আরও খবর



ফের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ২৮ হাজার

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দুই দিনের ব্যবধানে ফের দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

ভরিতে সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৩৬ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ২৭ হাজার ৯৪২ টাকা। সোনার এই দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

রোববার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল (সোমবার) থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ২৭ হাজার ৯৪২ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ২২ হাজার ১২২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৪ হাজার ৬৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮৬ হাজার ৫৪৭ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রূপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

আজ রোববার (২৫ আগস্ট) সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ২৬ হাজার ৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ২০ হাজার ২৭৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৩ হাজার ৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮৫ হাজার ২৪১ টাকায় বিক্রি হয়েছে।


আরও খবর
১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে করা রিট খারিজ

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর)  বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটের পক্ষে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া শুনানি করেন।

ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে গত ২৭ আগস্ট আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়।

মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি করেন। এই রিটে যেসব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনার নামে রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তনও চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়েছে।

রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া বলেন, রিটের বিষয়গুলোতে রুল ও আদেশ চাওয়া হয়েছে।


আরও খবর



একযোগে ৮১ বিচারককে বদলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিচার প্রশাসনে জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ, যুগ্ম জেলা জজ, সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজ পদমর্যাদার ৮১ জন বিচারককে বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) তাদের বদলি করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বদলি হওয়া বিচারকদের মধ্যে সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজ পদমর্যাদার ৪৪ জন, জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার ২২ জন এবং ১৫ জন অতিরিক্ত ও যুগ্ম জেলা জজ রয়েছেন।

সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের এ কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন ও বিচার বিভাগ।

বদলি করা জেলা জজদের পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা/জেলা ও দায়রা জজ/দপ্তর প্রধানের মনোনীত ব্যক্তির কাছে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দায়িত্বভার অর্পণ করে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন>>> চলমান বন্যায় দেশজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪

বদলি হওয়া সিনিয়র সহকারী জজ ও সহকারী জজদের জেলা ও দায়রা জজ/ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা দপ্তর প্রধান মনোনীত কর্মকর্তার কাছে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর এবং প্রশিক্ষণ/ছুটিতে থাকা বিচারকদের প্রশিক্ষণ/ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগদানের তারিখে বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে অবিলম্বে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

বদলি করা অতিরিক্ত জেলা জজ ও যুগ্ম জেলা জজদের জেলা ও দায়রা জজ/মহানগর দায়রা জজ/মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট/দপ্তর প্রধানের মনোনীত কর্মকর্তার কাছে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্তমান পদের দায়িত্বভার অর্পণ করে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

নিউজ ট্যাগ: আদালত

আরও খবর



মানুষের কল্যাণে ছুটে চলে রাণীশংকৈল ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

যেখানেই সড়ক দুর্ঘটনা কিংবা ভয়াবহ অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে কেউ পানিতে পড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ দুর্ঘটনা সেখানেই যেন পাখির মতো ছুটে যায় সাধারণ মানুষের আস্থা আর ভালোবাসার ফায়ার সার্ভিসের কর্মী বাহিনী। যারা সব সময় সড়ক দুর্ঘটনা কিংবা অগ্নিকান্ড সহ  পানিতে পড়ে যাওয়ার মতো ঘটনার যে কারও ফোন পেলেই ছুটে যায় হুইসেল বাজিয়ে লাল রঙের গাড়িতে চরে আর যাদের গাড়ির শব্দ শুনেই মানুষ অনুভব করে ফেলে ঘটেছে যে কোন দুর্ঘটনা।বলছিলাম এমনি একটি বন্ধু সুলভ বাহিনী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের কথা যারা মানুষের বিপদের খবর পেলেই ছুটে যায় চোখের পলকে উদ্ধার কাজে ঝাপিয়ে পড়ে নিজের জীবন বাজি রেখে কেউ কেউ আবার  নিজের জীবনকে ভালোবেসে উৎসর্গ করে মানুষের জীবন রক্ষার্থে।

ঠাকুরগাঁও জেলায় ৫টি উপজেলার মধ্যে ঠাকুরগাঁও সদর, পীরগঞ্জ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রম অনেক আগে থেকেই চালু থাকায় রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার মানুষের একটা সময় বাড়িতে অগ্নিসংযোগ হলে খবর দেওয়ার প্রায় ঘন্টা খানেক সময় লেগে যেত ঘটনা স্থলে পৌঁছাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের এর মধ্যে প্রায় সর্বশান্ত করে দিতো ভয়াবহ অগ্নি দুর্ঘটনা। তবে ২০১৮ সালের ২৯ শে মার্চের পর থেকে রাণীশংকৈল উপজেলায় ফায়ার সার্ভিসের অফিস উদ্ধোধন ও কার্যক্রম চালু হওয়ায় এই এলাকার মানুষ কে এই নির্মম ঘটনা দেখতে হয়েছে খুব কম।গত এক বছরে ২০২৩ সালের জুলাই মাস হতে ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত রাণীশংকৈল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্টেশন অফিসার নাসিম ইকবালের তত্বাবধানে ৭১ টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন এবং এগুলো ঘটানায় প্রায় আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে ২৮ লক্ষ ৬১ হাজার টাকার মতো।তবে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে আগুন নিভানো সহ উদ্ধার করেছেন প্রায় আনুমানিক ৮৭ লক্ষ ২২ হাজার টাকার মালামাল। ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নাসিম ইকবাল আরো জানায় তারা এসময়ের মধ্যে ৪২ টি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে চিকিৎসা দিয়েছেন এবং সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪ জন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করেছিলেন।অপর দিকে পুকুরে ডোবা একজন মৃত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।তাই বলা যায় ঠিক তেমনি একটি অনন্য মানবিকতার প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। শুধু তাদের পেশাদারিত্বের জন্য নয়, মহান আত্মত্যাগের বিরল দৃষ্টান্তের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিপদের বন্ধু হিসেবে রাণীশংকৈলের মানুষের  হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন মানুষের সাথে কথা বলে যানাযায়,রাণীশংকৈল উপজেলায় দীর্ঘদিন পরে ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন হওয়ায় উপজেলার অনেক ভয়াবহ অগ্নিসংযোগ দুর্ঘটনার মতো ঘটনা থেকে মুক্তি পেয়েছে।তারা সব সময় বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কিভাবে অগ্নিসংযোগ দুর্ঘটনা কমানো যায় সে বিষয় গুলো তুলে ধরেন।

স্টেশন অফিসার নাসিম ইকবালের কাছে আরো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এখানে কোন ডুবুরি নেই তাই হঠাৎ কেউ পানিতে ডুবে গেলে আমাদের অন্য কোথাও থেকে ডুবুরি দল নিয়ে আসতে হয়।অন্যদিকে আমাদের আরো অনেক কিছু জিনিসপত্র জরুরি ভাবেই প্রয়োজন যেমন তাই সেই উদ্ধার কাজের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো পেলে আমরা আরো মানুষের বেশি কাছাকাছি গিয়ে সেবা দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।তবে তিনি মনে করেন এই উপজেলার জন্য ১ টি সরকারি এম্বুলেন্স হলে আমরা আহত ব্যক্তিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো সহজ হবে।


আরও খবর