
আমার এ জন্মদিন-মাঝে আমি হারা/আমি চাহি বন্ধুজন যারা/তাহাদের হাতের পরশে/মর্ত্যের অন্তিম প্রীতিরসে/নিয়ে যাব জীবনের চরম প্রসাদ/নিয়ে যাব মানুষের শেষ আশীর্বাদ/শূন্য ঝুলি আজিকে আমার/দিয়েছি উজাড় করি/যাহা-কিছু আছিল দিবার/প্রতিদানে যদি কিছু পাই/কিছু স্নেহ, কিছু ক্ষমা/তবে তাহা সঙ্গে নিয়ে যাই/পারের খেয়ায় যাব যবে/ভাষাহীন শেষের উৎসবে।’-আজকের দর্পণের ৯ম জন্মদিন আজ।
২০১৪ সালের এই দিনে গণতন্ত্রকে মজবুত, রাষ্ট্র-সমাজের অনিয়ম-দুর্নীতি-অসঙ্গতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ এবং ইতিবাচক বাংলাদেশকে তুলে ধরতে সংগ্রামী যাত্রা শুরু করেছিল পত্রিকাটি। দেশে এখনো বলিষ্ঠ কণ্ঠে, সোচ্চার লেখনীতে অন্যায়-অবিচার, শোষণ-বঞ্চনা, অনিয়ম-দুর্নীতির খবর তুলে আনতে আজকের দর্পণ সাফল্যের সঙ্গে নিজের অবস্থান করে নিয়েছে। একইসঙ্গে ইতিবাচক সংস্কৃতি ও ইতিবাচক সংবাদ তুলে ধরতেও আজকের দর্পণের জুড়ি নেই।
আজকের দর্পণ শুধু সংবাদ প্রকাশ করে থেমে থাকেনি। বাংলাদেশের ইতিবাচক উন্নয়নে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে পত্রিকাটি। মূলত আজকের দর্পণ সর্বত্র বাংলাদেশের সাফল্য চায়। এতে সবচেয়ে বড় অনুঘটকের ভূমিকা নিচ্ছে এ দেশের লাখ লাখ পাঠক। আর এসবের ভিত্তি হলো সুসাংবাদিকতা, জনমুখিতা, বদলের সহযোগী, সৃজনশীলতা, সংহতি। সেইসঙ্গে পাঠকের ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়।
প্রচারসংখ্যায় আজকের দর্পণ সর্বশীর্ষে এখনো পৌঁছাতে না পারলেও খবরের গুণগত মান ও মর্যাদার দিক থেকে এগিয়ে আছে সমসাময়িক অনেক পত্রিকার চেয়ে। যা সহযোগী সংবাদ মাধ্যমগুলোর জন্য সব সময়ই ঈর্ষণীয় হয়ে রয়েছে। তাই দিনশেষে খবরের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য আজকের দর্পণ পত্রিকাটিই খুঁজে নেন সবাই। এভাবেই দীর্ঘ পরিক্রমায় মানুষের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছে আজকের দর্পণ। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য পত্রিকাটি আজ দেশ পেরিয়ে বিদেশের পাঠকদের কাছেও সমাদৃত।
স্বাধীন, নিরপেক্ষ, সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতার ধারা মেনে সুনামধন্য এ সংবাদ মাধ্যমটি কোনো দলের মুখপত্র হয়নি। জনগণের পক্ষে কোনো সত্য উচ্চারণে কখনই হয়নি শঙ্কিত। পেশাদারি দক্ষতা ও উৎকর্ষ অর্জনে আজকের দর্পণের প্রতিটি সদস্য সবসময় থেকেছে সর্বোচ্চ সচেষ্ট। যাত্রালগ্ন থেকেই পরিবর্তনের সহযোগী আজকের দর্পণ। তাই স্বল্প সময়েই তা জনগণের কাগজ হয়ে উঠেছে। বাড়ির ছোট্ট শিশু থেকে গৃহিণী, কর্মজীবী নারী থেকে প্রবীণতম সদস্য-সবার হৃদয়েই জায়গা দখল করে নিয়েছে আজকের দর্পণ।
পথচলার ১০ম বছরের শুরুতে আজকের দর্পণ পাঠককুলের হাতে তুলে দিচ্ছে ১২ পৃষ্ঠার মূল পত্রিকার সঙ্গে ৪৮ পৃষ্ঠার একটি বর্ষপূর্তি সংখ্যা। এতে লিখেছেন দেশের স্বনামধন্য লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সমাজবিজ্ঞানী এবং প্রজ্ঞাবান বুদ্ধিজীবীরা।
দৈনিক আজকের দর্পণ এখন পর্যন্ত দেশের সর্বাধিক প্রযুক্তি সুবিধাসম্পন্ন প্রচার মাধ্যম। পত্রিকাটি ছাপা হয় সর্বাধুনিক প্রিন্টিং প্রেসে। আধুনিক, সুপরিসর অফিসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে শুরু থেকেই। এ কারণে প্রতিদিন নির্ধারিত সময়েই পাঠকের হাতে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে আজকের দর্পণ। জাতীয় দৈনিকের জন্য এটা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য দিক। আমাদের এসবের মূল্যায়নের ভার সর্বোপরি সহৃদয় পাঠকদের কাছেই রইলো।
আজকের দর্পণের নিবিষ্ট পাঠকরা তাদের মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে আমাদের আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার পথে তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এবং উদ্দীপ্ত ও প্রাণিত করবেন। আজকের দর্পণ সবসময়ই সত্যবাক, জনগণ ও জাতির কণ্ঠস্বর। আজকের দর্পণ জাতির অগ্রগতি, উন্নয়ন স্পন্দন ও প্রগতির পথে সবিশেষ ভূমিকা পালন করে যাবে।