আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

সিকিমে তিস্তার বাঁধ ভাঙল, উত্তরাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের উত্তর সিকিমে অতিভারী বর্ষণে তিস্তা ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। সেখানকার জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ড্যাম (বাঁধ) ভেঙে গিয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জলপাইগুড়িতে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। ফলে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গেও তিস্তাপাড়ে বড় আকারের বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনের তথ্যানুযায়ী, সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাংয়ের ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে নদীর পানির সমতল দ্রুত বেড়েছে।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গজলডোবা পয়েন্টে পানির সমতল গত মধ্যরাতে প্রায় ২৮৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে এবং দোমুহনী পয়েন্টে সকালে প্রায় ৮২ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এই বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া বুধবার সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচে ছিল; যা বিকেল নাগাদ বিপৎসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাত পর্যন্ত বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর পর্যন্ত যেতে পারে। পাশাপাশি কাউনিয়া পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। যা বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ভোর নাগাদ বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় তিস্তার পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে সিকিমে প্রবল বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২৩ সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন। এ ছাড়া সেখানকার কিছু সামরিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়।


আরও খবর



জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি পলাশ খান, সম্পাদক শাওন বেপারী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে জাজিরায় অবস্থিত জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের নির্বাহী পরিষদ পুনঃগঠন ও মফস্বল সাংবাদিকতা বিষয়ক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে উক্ত কমিটি ঘোষণা করা হয়।

দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি মো. পলাশ খানকে সভাপতি ও দৈনিক আজকের দর্পণের প্রতিনিধি শাওন বেপারীকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটির অন্যান্যরা হলেন - নির্বাহী সভাপতি জামাল মাদবর(দেশ২৪নিউজ), সহ-সভাপতি সাইদ আকন(দিন প্রতিদিন), মুহাম্মদ বরকত উল্লাহ্(বিডি স্টার টিভি ও ঢাকা ক্যানভাস) ও মানজারুল ইসলাম মিলন(দৈনিক মাতৃজগত), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম(দৈনিক কালবেলা), সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর মিয়া(দৈনিক খবরপত্র), দপ্তর সম্পাদক হানিফ বেপারী(দৈনিক দিনের কণ্ঠ), কোষাধ্যক্ষ রাসেদুল ইসলাম রিয়াদ(বাংলাদেশ সমাচার), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাকিল আহমেদ(আমাদের মাতৃভূমি), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাজিব মিয়া(আজকের দৈনিক)।

উক্ত কমিটির নির্বাহী সদস্যরা হলেন, মাহমুদুল হাসান, শাহিন আলম, দেলোয়ার মুন্সি, মেহেদি হাসান, আমিনুল ইসলাম বাবু এবং সদস্য জাফর আহমেদ, মো: মাহবুব আলম, মনির হোসেন ও শফিকুজ্জামান রুবেল।

জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন স্বপন খানের সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বুলেটের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি অনল কুমার দে।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদার, জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম লুনা, জাজিরা পৌরসভা মেয়র ইদ্রিস মিয়া, সহকারী কমিশনার(ভুমি) মো: আরিফুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদুল হাসান।


আরও খবর



তৃতীয় ধাপে ১২২ উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দ আজ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হবে আজ সোমবার (১৩ মে)। রিটার্নিং কর্মকর্তারা অফিস চলাকালীন সময়ে এ প্রতীক বরাদ্দ করবেন। এরপর শুরু হবে নির্বাচনী প্রচারণা। আইন অনুযায়ী, ভোট গ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত চলবে প্রচার। আগামী ২৯ মে এই ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, তৃতীয় ধাপে চেয়াম্যান পদে ৫৭০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬১৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪০০ জন; মোট ১৫৮৮ জন প্রার্থী মোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তবে বাছাই, আপিল শেষে এই সংখ্যা এদিক সেদিক হতে পারে।

মোট প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন রয়েছেন একক প্রার্থী। চট্টগ্রামের চান্দনাইশে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, যশোরের অভয়নগরে ভাইস চেয়ারম্যান ও সুনামগঞ্জের ছাতক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছে।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৪৫টির মতো উপজেলায় ৮ মে ভোট হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।


আরও খবর



বিয়ে করছেন শাকিব, পাত্রী ডাক্তার

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সিনেমায় অনিয়মিত হলেও অপু বিশ্বাস বুবলীর সঙ্গে নিয়মিত ঝগড়া করেন। তাদের ঝগড়ার মূল কারণ শাকিব খান। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন এই অভিনেতা।

নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।

গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, সেই পার্শ্ববর্তী জেলাটি হলো মুন্সিগঞ্জ। এখন অবধি ২-৩ পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এরমধ্যে মুন্সিগঞ্জের ডাক্তার মেয়েই এগিয়ে আছেন। ইতোমধ্যেই শাকিবের মত নিয়ে তার মা, বাবা, বোন, বোনজামাই মিলে পাত্রী দেখছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।

শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।

এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।

শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন তিনি।


আরও খবর



কলাপাড়ায় মুরগি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক চক্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)

Image

হাজার টাকা দিলেই মিলবে হাইব্রীড জাতের ১৬টি মুরগি। আর ১শ টাকা কিস্তি দিলে পাওয়া যাবে ১টি করে মুরগি পালনের দোতালা কাঠের ঘর। এমনকি গ্রুপের দায়িত্বে থাকা নারী নেত্রী পাবেন প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা। ঠিক এমনই মিথ্যা প্রলোভনে পড়ে লাখ লাখ টাকা হারিয়েছেন শতাধিক গ্রামীণ গৃহবধূরা।

তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ঠিক কত টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে চক্রটি তা এখনো নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পল্লীগ্রাম মুরগি ফার্ম এন্ড হ্যাচারী নামের একটি প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়েছে শাতাধিক নারী উদ্যোক্তারা। মাত্র এক সপ্তাহ সময়ের মধ্যে উপজেলার লতাচাপলী ইউপির একাধিক গ্রাম থেকেই কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্রটি। চক্রটির কোম্পানীর লিফলেটে দেওয়া ঠিকানায় নাম লেখা রয়েছে ঝালকাঠির সালমা খাতুনের পল্লীগ্রাম হ্যাচারী। তবে সরেজমিনে অনুসন্ধ্যান করে নিবন্ধনহীন এই পল্লীগ্রাম হ্যাচারীর কোন অস্তিত্ব মেলেনি।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, নাম পরিচয়হীন দুজন মাঠকর্মী পল্লীগ্রামের লিফলেট আর একটি মাত্র ভিজিডিং কার্ড দিয়েই নিয়ে গেছে গ্রামীণ জেলেবধূদের কষ্টার্জিত রসদ। মিষ্টি কথায় মন গলিয়ে মুরগি দেওয়ার নামে মোবাইল ফোনে দুই দফা সময় বেঁধে দিলেও এখন বন্ধ রয়েছে ফোন নম্বরসহ সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা।

আর ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের দাবী, মুরগি দেওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ঠিক কত লাখ টাকা হাতিয়েছে হায় হায় কোম্পানি তা সবারই অজানা। তবে পরিসংখ্যাান বলছে, কেবল লাতাচাপলীর ৬ গ্রাম থেকেই প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।

লাতাচাপলী ইউপির মম্বিপাড়া গ্রামের জেলেবধূ তানিয়া বলেন, ভিআইপি পোশাক পরিহিত দুই ব্যক্তি প্রথমে আমাদের গ্রামে এসে আমাকে মুরগি দেওয়ার কথা বলে একটি গ্রুপ সৃষ্টি করে। আর সেই গ্রুপের সভানেত্রীর দায়িত্বও আমাকে দেন তারা। কথা ছিল নেত্রী হিসেবে প্রতি মাসে ৫ হাজার করে বেতন দেবে আমাকে। পরে আমার গ্রুপের ৪০ জনের কাছ থেকে ৫শ করে টাকা তুলে দিতে বলে প্রথম ধাপে মুরগি এবং ঘরের জন্য। কিন্তু বুজতে পারিনি যে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাবে এই প্রতারকরা।

হুইসেন পাড়ার বাসীন্দা জাকির হোসেন বলেন, একই ভাবে মাহাফুজাকে সভানেত্রী করে তার এলাকা থেকেও নেওয়া হয়েছে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা। একই চিত্র তাহেরপুর, কচ্ছপখালী এলাকার। অপরদিকে জেলে নাসীরের অভিযোগ, চাকামইয়া তার শশুরবাড়ি এলাকা থেকেও বিপুল অর্থ হাতিয়েছে চক্রটি।

এদিকে কলাপাড়া পৌর শহরে অবস্থিত প্রাণিসম্পদ কার্য়ালয়ের সামনে অস্তিত্বহীন নাম সর্বস্ব এই হ্যাচারীর অস্থায়ী ভাড়া অফিসে গিয়েও মেলেনি প্রতারক চক্রের সন্ধ্যান। সেখানে এখন পল্লীগ্রাম স্টিকার সংযুক্ত সাইনবোর্ড সাটানো অফিসে ঝুলছে তালা।

স্থানীয়রা বলছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তাদের ভাড়াবাসাটি তালাবদ্ধ রয়েছে। অনেক ভুক্তভোগীরাই এখানে এসে তাদের খোঁজ করছেন।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এই প্রতারক চক্রটির বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তবে প্রতারক চক্রটি ঠিক কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি। প্রতারকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।


আরও খবর



চার মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নানা জল্পনা কল্পনার পর শেষ পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেনের রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর ফলে ট্রেনের ভাড়া কিছুটা বাড়বে। যা আগামী চার মে থেকে কার্যকর হবে। সোমবার (২২ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।

তবে এখন পর্যন্ত নতুন ভাড়ার হার নির্ধারণ করেনি রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগ। যা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৪ মে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেয়াত প্রত্যাহারের মাধ্যমে আগামী ৪ মে থেকে ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে। ট্রেনের ভাড়া কী হারে বাড়ছে, এ প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, এটা রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা নির্ধারণ করবে।

রেলওয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ১০১-১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ১৫১-৪০০ কিলোমিটার ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটারের বেশি পথ ভ্রমণে ৩০ শতাংশ রেয়াত সুবিধা পান যাত্রীরা। এই সুবিধাটি এখন বাতিল করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের এই প্রস্তাব সম্প্রতি অনুমোদন করেছেন। যা চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী রেলের ভাড়া বাড়ানো হবে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। তখন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছিলেন ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই। এখন রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে ঠিকই যাত্রীদের কাঁধে বাড়তি ভাড়া চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, কোনো যাত্রী ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে গেলে তার ভাড়ার ক্ষেত্রে এতদিন ধরে ছাড় (রেয়াত) দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। সূত্রটি জানিয়েছে, ৪ মে থেকে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ কারণে, তাহলে বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াত সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম।


আরও খবর