চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (সিইউএফএল) গ্যাস সংকটে ৯ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে দৈনিক প্রায় ৩ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কারখানাটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত ক্যাটালিস্ট রিডাকশন যন্ত্রটির গুণগতমান নষ্টের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কারখানাটি চালু থাকলে দৈনিক ১ হাজার মেট্রিক টন অ্যামোনিয়া ও ১১'শ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদন করতে সক্ষম।
সিইউএফএল সূত্রে জানা যায়, কারখানার বয়লারে আগুন লাগার কারণে গত ২২ নভেম্বর থেকে সিইউএফএলের ইউরিয়া সার ও অ্যামোনিয়া উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর মেরামত করে আবার উৎপাদনে গেলেও গত ৫ মে থেকে গ্যাস সংকটের কারণে কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়াও কারখানায় ক্যাটালিস্ট রিডাকশন কাজ শেষ হয়েছে। কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে এক মাসের জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে ৪২ এমএমসিএফডি গ্যাস প্রয়োজন। কিন্তু কারখানায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় ক্যাটালিস্ট রিডাকশনের কাজটি শেষ হয়নি।
সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ক্যাটালিস্ট রিডাকশনের দ্বারা অ্যামোনিয়া উৎপাদন করা হয়। যুক্তরাজ্যের একটি কোম্পানির মাধ্যমে সিইউএফএল প্ল্যান্টে স্থাপন করা হয়েছে। এটি স্থাপন করতে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ক্যাটালিস্ট রিডাকশন দ্বারা অ্যামোনিয়া উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি। এতে রিডাকশনের গুণগতমান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফলে কারখানাটি দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকি এবং বিপুল পরিমাণের আর্থিক ক্ষতিসহ সার উৎপাদনের উপযোগিতা বিনষ্ট হতে পারে। তিনি বলেন, গত বছরের নভেম্বরের ২২ তারিখ থেকে কারখানার যান্ত্রিক ত্রুটি ও গ্যাস সংকটে ৯ মাস বন্ধ রয়েছে। এতে দৈনিক প্রায় ৩ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে। বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েও বিষয়টির সমাধান পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে সরকার এবং বিসিআইসি থেকে নির্দিষ্ট বরাদ্দ রয়েছে। সে অনুযায়ী সিইউএফএলে গ্যাস সরবারাহের থাকায় নির্দেশ আসলে গ্যাস দেওয়া হবে।