চলতি শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির
পাঠ্যপুস্তকে ৪০০টিরও বেশি স্থানে সংশোধনী এনেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড
(এনসিটিবি)। গত শুক্রবার এনসিটিবি’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে
পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বিষয়ভিত্তিক এই সংশোধনী প্রকাশ করা হয়।
এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক
মশিউজ্জামান জানান, ‘ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে
এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। বইয়ের ৪ শতাধিক স্থানে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, তার প্রায় ৯৯
শতাংশই ছিল করণিক ভুল বা প্রিন্টিং মিসটেক।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু সংশোধনী
আনা হয়েছে যা ছিল-কম্পিউটার অপারেটিংয়ের বা গ্রাফিক্সের সমস্যা, সবগুলোই প্রায় এ ধরনের।
অল্প কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে, যেগুলোতে শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন হয়েছে,
সে বাক্যগুলো ভুল নয়, শব্দের গঠনগত মান ঠিক রেখে মাধুর্যপূর্ণ করার জন্য কিছু বাক্যকে
পরিবর্তন করা হয়েছে। কিছুস্থানে অসঙ্গতি ছিল তা সংশোধন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ববির ৫ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক
এনসিটিবির সদস্য বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির সমাজবিজ্ঞানে
উপযোগী কি না এমন কিছু বিষয় ছিল তা আমরা বাদ দিয়েছি। সেগুলো যে ভুল ছিল তা নয়, গ্রহণযোগ্যতার
বিষয়ে একটা বিতর্ক ছিল, সেসব পরিহার করা হয়েছে।
অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, এর আগে মুদ্রিত
পাঠ্যপুস্তকের সংশোধন করা হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের কারণে সংশোধন করতে
গিয়ে যে ধরনের ত্রুটি দেখা গিয়েছে তা বড় কোন ত্রুটি বা ভুল নয়। আশা করছি ভবিষ্যতে ত্রুটিমুক্ত
পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হবে। পাঠ্যপুস্তকগুলো সংশোধন করতে গিয়ে সামাজিক মাধ্যমসহ যতরকম
আলোচনা সমালোচনা হয়েছে, সবই আমরা সংগ্রহ করেছি। সংশোধনের আগে ত্রুটি খুঁজে বের করতে
গঠিত কমিটি ষষ্ঠ ও সপ্তম এই দুই শ্রেণির ইংরেজি ও বাংলা সংস্করণের মোট ৪৮টি বই পর্যালোচনা
করেছে।
প্রত্যেকটি বিষয়ে ৬ জন করে বাইরের বিশেষজ্ঞকে
৩ দিনের একটা ওয়ার্কশপে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারা ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের
সংশোধনে কাজ করেছেন। বিশেষজ্ঞরা এই দুই শ্রেণির বই আগাগোড়া পড়ে তাদের মতামত ও পরামর্শও
দিয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষায় প্রথম দিন অনুপস্থিত ১৭ হাজার
এরপর গত মার্চ মাসের ১৫ ও ১৬ তারিখ একজন
শিক্ষা কর্মকর্তা ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষককে দেশের ২৬টি জেলায় ৫৩টি স্কুল,
মাদ্রাসা ও কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনে পাঠানো হয়েছিল। তারা ষষ্ঠ ও সপ্তম
শ্রেণির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে পাঠ্যবই সম্পর্কে তাদের মূল্যায়ন জানতে চেয়েছেন
বলেও তিনি জানান।