হাটহাজারীর মারকাজুল
কোরআন ইসলামি একাডেমি মাদরাসায় মো. ইয়াসিন ফরহাদ (৭) নামে এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের
ঘটনায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন
হাইকোর্ট।
বিষয়টি নজরে
আনার পর বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ
নুরউদ্দিনের ভার্চ্যুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রোববারের মধ্যে
প্রশাসনকে এ বিষয়ে হাইকোর্টকে জানাতে হবে।
বিষয়টি নজরে
আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে তিনি জানান,
আদালতের নজরে আনার পর ওই ঘটনার সার্বিক বিষয়ে রোববারের মধ্যে জানতে চান হাইকোর্ট।
ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, শিশুর চিকিৎসাসেবা ও নিরাপত্তায়
ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা, ইত্যাদি বিষয় প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানাতে হবে।
এদিকে ওই ঘটনায়
থানায় মামলা করেছে শিশুটির পরিবার।
ওই মামলায় অভিযুক্ত
মারকাজুল কোরআন ইসলামি একাডেমি মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ ইয়াহিয়াকে গ্রেফতার
দেখিয়েছে হাটহাজারী থানা পুলিশ।
বুধবার (১০ মার্চ)
বিকেলে হাটহাজারী থানায় এ মামলা দায়ের করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন থানার
ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হারুনুর রশিদ।
ডিউটি অফিসার
মো. হারুনুর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় তার বাবা মোহাম্মদ
জয়নাল বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক
হাফেজ ইয়াহিয়াকে বিকেলে হাটহাজারী পৌরসভার কামাল পাড়া পশু হাসপাতালের পাশ থেকে গ্রেফতার
করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. তৌহিদ।
গ্রেফতারকৃত হাফেজ
ইয়াহিয়া রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাফরভাটা গ্রামের মোহাম্মদ ইউনুসের ছেলে।
জানা গেছে, মারকাজুল
কোরআন ইসলামি একাডেমি মাদরাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ৭ বছর বয়সী শিশু ইয়াসিনকে মঙ্গলবার
বিকেলে দেখতে যান মা পারভিন আক্তার ও বাবা মোহাম্মদ জয়নাল।
কিন্তু ফেরার
সময় ছোট্ট শিশুটি মা-বাবার সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরে। একপর্যায়ে শিশুটি মা-বাবার
পিছু পিছু মাদরাসার মূল ফটকের বাইরে চলে গেলে ক্ষিপ্ত হন মাদরাসার শিক্ষক মো. ইয়াহিয়া।
মূল ফটকের বাইরে
যাওয়ায় শিশুটিকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন তিনি। এ সময় শিশুটির বাঁচার আকুতিও শোনেননি ওই
শিক্ষক। মঙ্গলবার রাত থেকে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশু নির্যাতনের ভিডিওটি ভাইরাল
হয়।
রাতে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুকে উদ্ধার করেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে শিশুটির বাবা-মায়ের লিখিত অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে তখন ছেড়ে দেওয়া হয়।