শীতলক্ষ্যায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চটি প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। লঞ্চের ভেতর থেকে নতুন কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি। উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এখন পর্যন্ত ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৭ জন।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার আল-আমিন নগর এলাকায় রূপসী-৯ নামের একটি পণ্যবাহী কার্গোর ধাক্কায় মুন্সিগঞ্জগামী এম এম আশরাফ উদ্দিন নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে৷ বেলা সাড়ে ৩টা থেকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, রেডক্রিসেন্ট ও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তারা।
সোমবার (২১ মার্চ) সকাল ৫ টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ’র একটি উদ্ধারকারী জাহাজ ও একটি বার্জের সহায়তায় লঞ্চটিকে পানির নিচ থেকে উপরে উঠিয়ে নদীর তীরে আনা হয়। পানির উপরে উঠানোর পর লঞ্চটির ভেতর তল্লাশি চালিয়ে কোনো মরদেহ খুঁজে পায়নি উদ্ধারকারী দল।
এর আগে লঞ্চডুবির সাত ঘণ্টা পর রোববার (২০ মার্চ) রাতে উদ্ধার অভিযান স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান সিকদার গণমাধ্যমকে জানান, উদ্ধারকাজ রাতের মতো স্থগিত রাখা হচ্ছে, সকালে (সোমবার) আবার অভিযান শুরু করা হবে।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, পানির নিচে উদ্ধার অভিযান পুনরায় আগামীকাল (সোমবার) শুরু করা হবে। এছাড়া ডুবন্ত লঞ্চ পানির ওপরে তোলা হলে তার ভেতরে তল্লাশি চালানো হবে।
রাতে উদ্ধার অভিযান স্থগিতের আগ পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিলো। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, উদ্ধারকৃত মরদেহের মধ্যে রয়েছে - ৭ বছরের এক শিশু (বালিকা), ৩৫ বছর বয়সী এক নারী, আরিফা আক্তার (২৫), তার ১৮ মাসের শিশুসন্তান সাফায়েত ও জয়নাল ভূইয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তি।
এদিকে লঞ্চ ডুবির এই ঘটনা তদন্তে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠিন করা হয়েছে।