আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

সীতাকুণ্ডের আগুনের ফলে অ্যাসিড বৃষ্টির দাবি কতটা সত্যি?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের পর সেখানকার কনটেইনারের হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড আকাশের মেঘে মিশে গেছে। এর ফলে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিতে না ভিজতে সতর্ক করে একটি পোস্ট শেয়ার হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের আশংকার কোনো ভিত্তি নেই। মনগড়া তথ্য প্রচার করে জনমনে ভীতি তৈরি করা হচ্ছে।

ফেসবুকে শেয়ার করা পোস্টের শেষে ডিএমপি পরিচালক উল্লেখ রয়েছে। তবে এ ধরনের কোনো বার্তা দেয়ার তথ্য নাকচ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ফেসবুকের পোস্টে বলা হয় (বাক্য ও বানান অপরিবর্তিত), ব্রেকিং... সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে।। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে কোন বৃষ্টি আসলে কেউ এটা তে ভিজবেন না। চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড ভয়াবহ আগুনে যে, রাসায়নিক কেমিক্যাল গুলো ঝলসে গেছে। তার ফলে আকাশের মেঘ গুলোতে HYDROGEN PER OXIDE GAS টা মিশে গিয়েছে। সকলকে সতর্ক বার্তাটি প্রদান করুন, নিজে বাঁচুন, অন্য কে ও সাহায্য করুন৷ বিশেষ করে বৃদ্ধদের বৃষ্টির সময় ঘর থেকে বের হতে দিবেন না। -ডিএমপি পরিচালক

ডিএমপির কর্মকর্তারা জানান, ডিএমপিতে পরিচালকের কোনো পদ নেই। এই পদ ব্যবহার করে প্রচার করা ম্যাসেজটি ভুয়া।

ডিএমপির মুখপাত্র উপ-কমিশনার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ডিএমপির পক্ষ থেকে এমন কোনো ম্যাসেজ পাঠানো হয়নি। যারা এ ধরনের তথ্য ছড়াচ্ছে তাদের শনাক্তে আমাদের সাইবার টিম কাজ করছে।

হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের মেঘে মিশে যাওয়ার দাবির বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. জি এম গোলজার হোসাইন বলেন, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড মূলত ডিকম্পোজ হয়ে অক্সিজেন তৈরি হয়। এই এইচটুওটু (H2O2) মূলত হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন। এটাকে ভেঙে অক্সিজেন রিলিজ হয় আর পানি তৈরি হয়। হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডকে যদি কনটেইনারে রাখা হলে উত্তাপে অক্সিজেন রিলিজ হয়ে ব্লাস্ট (বিস্ফোরিত) হয়।

বিএম কনটেইনার ডিপোর হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের মেঘের সঙ্গে মেশার কোনো সম্ভাবনা আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড সেভাবে থাকবে না। ওটা ডিকম্পোজ হয়ে যাবে। ডিকম্পোজ হয়ে গেলে অক্সিজেন বাতাসের সঙ্গে চলে যাবে, আর পানিটা নিচে থাকবে। এটা মেঘের সঙ্গে মেশার কোনো সুযোগ নেই।

একই মত দিচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম মিজানূর রহমান।

তিনি বলেন, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড নিজে জ্বলে না, কিন্তু সে যখন বেশি হিটেড অবস্থায় থাকে তখন ডিকম্পোজ হয়ে অক্সিজেনের লেভেলটা বেড়ে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে।

মেঘের সঙ্গে এই যৌগ মিশলেও কোনো ক্ষতি নেই জানিয়ে তিনি বলেন, মেঘের সঙ্গে মিশলে তখন সেটা আর হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড থাকবে না। সেটা অক্সিজেনে কনভার্ট হয়ে যাবে। তখন আর কোনো ক্ষতি নেই।

একই বিভাগের অধ্যাপক ড. ওমর আহমেদ বলেন, হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড নিজে জ্বলে না, কোন কারণে হিট হলে সেটা অক্সিজেন প্রডিউস করে। আর সেই অক্সিজেন অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করে। হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ভেঙে খুব পিওর অক্সিজেন তৈরি করা যায়। আর এটা অনেক দামি হয়।

হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড মেঘে মিশে মানুষের ক্ষতির কারণ হওয়ার দাবিকে কাল্পনিক ও অবান্তর কথাবার্তা বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক ওমর।

অন্যদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ও আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, বিভিন্ন দেশে এসিড বৃষ্টি হয়ে থাকে। আমাদের দেশেও সামান্য হয়, তা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায়। কারখানা থেকে বের হওয়া ধোঁয়া বা অন্যান্য রাসায়নিক জলীয় বাষ্পের সঙ্গে মিশে বৃষ্টি শুরুর প্রথম ১-২ মিনিটে ঝরে পড়ে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে সাধারণত ডিসেম্বর, জানুয়ারি মাসে, যে সময় বৃষ্টিপাত কম হয়, তখন খুবই অল্প পরিমাণে এসিড বৃষ্টি হয়ে থাকে। এতে বৃষ্টি পানির রং লালচে দেখা যায়। এই এসিড বৃষ্টিতে খুবই সামান্য ক্ষতি হয়ে থাকে। এবং তা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় হয়।

আমাদের দেশে এ ধরনের এসিড বৃষ্টি হলেও সীতাকুণ্ডের কনটেইনারে থাকা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের কারণে হবে না। এটা ভ্রান্ত ধারণা।

আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, যখন বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয় না, সেই সময়টায়- বিশেষ করে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে এসিড বৃষ্টি হয়। আর তা হয় ধোঁয়ায় থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড, সিলিকনের মতো পদার্থ মিশে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সঙ্গে নিচে নেমে আসে এবং খুব অল্প সময়েই তা ঝরে যায়।

 


আরও খবর



প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহার করেন? জেনে নিন কী হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রায় সব নারীরই সাজের অন্যতম অংশ হলো লিপস্টিক। পোশাক, অন্যান্য অনুষঙ্গ, ব্যক্তিত্ব আর রুচি অনুযায়ী নারীরা লিপস্টিকের রং নির্বাচন করেন। যারা লিপস্টিক পছন্দ করেন তাদের একটি বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি। তা হলো, নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের অভ্যাস আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কীভাবে? লিপস্টিকে বেশ কিছু বিপজ্জনক উপাদান রয়েছে যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

আপনি কি জানেন যে খাবার খাওয়ার সময় লিপস্টিক শরীরে প্রবেশ করে? কেউ লিপস্টিক ব্যবহার করে ভুলবশত তা গিলে ফেললে অ্যালুমিনিয়াম, ক্রোমিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো বিপজ্জনক পদার্থও পেটে চলে যায়। তাই আপনার লিপস্টিকটি এই ধরনের বিপজ্জনক উপাদান মুক্ত কি না তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের ৩টি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন-

শুষ্ক এবং ফাটা ঠোঁট : লিপস্টিক ঠোঁট শুকিয়ে ফেলতে পারে এবং ঠোঁট ফাটার কারণ হতে পারে। এটি উদ্বেগের বিষয়। এক্সফোলিয়েশন এবং ময়েশ্চারাইজেশনের মতো নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নেওয়া জরুরি। এগুলো লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে তৈরি শুষ্কতা রোধ করতে সাহায্য করে।

অ্যালার্জি : কোনো কোনো লিপস্টিক হতে পারে ব্যবহারকারীর অ্যালার্জির কারণ। বিশেষ করে সস্তা এবং নন ব্র্যান্ডেড লিপস্টিক ব্যবহার করলে এ ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। স্বনামধন্য প্রসাধনী সংস্থাগুলি কঠোর নিরাপত্তা অনুসরণ করে তাদের পণ্যগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার পর বাজারে আনে। তাই সেগুলো ব্যবহারে অ্যালার্জির ভয় কম।

পিগমেন্টেশন : লিপস্টিক পরলে কারও কারও ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ পরিবর্তন হতে পারে। তবে জেনেটিক্স এবং ইউভি এক্সপোজার ঠোঁটের পিগমেন্টেশন নির্ধারণে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। লিপস্টিক ব্যবহার করার পাশাপাশি ভালো মানের সানস্ক্রিন ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে।


আরও খবর



মুন্সীগঞ্জে আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মুন্সিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। শনিবার (১৩ এপ্রিল) ভোরে সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের ছোট মোল্লাকান্দি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন- মোহাম্মদ রাব্বি (১৯) ও পারভেজ খান (২০)। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্থানীয় আধিপত্য নিয়ে ওই এলাকার আহম্মেদ গ্রুপ ও মামুন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। তার দুই জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। শনিবার ভোরে আহম্মেদ গ্রুপের লোকজন মামুন গ্রুপের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় অন্তত ৬ জন।

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহাগ বলেন, গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রাব্বির অবস্থা শঙ্কামুক্ত। তবে পারভেজের অবস্থা মুমূর্ষু। তার ঘারে ও বাম হাঁটুতে গুলি করা হয়েছে। এতে তার জন্য ৪ থেকে ৫ ব্যাগ রক্ত লাগবে। এখান থেকে স্যালাইন দিয়ে তাকে ঢাকায় পাঠিয়েছি।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দুই জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনেছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।


আরও খবর



ঈদের দিনেও ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশব্যাপী উদযাপন হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে ছুটি। তবে ছুটির দিনেও আজ ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর। বেলা ১১টার দিকে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল অষ্টম। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে এ সময় ঢাকার স্কোর ছিল ১৫৭। বায়ুর এই মান অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়।

বিশ্বব্যাপী বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

এ সময়ে বিশ্বে বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে ছিল ভারতের দিল্লি। আইকিউএয়ারের সূচকে শহরটির স্কোর ২৪৮। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে নেপালের কাঠমান্ডু ও ভারতের কলকাতা। শহর দুটির স্কোর যথাক্রমে ১৯৩ ও ১৯২।

স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।


আরও খবর



বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোট স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, যৌথ অভিযানের মধ্যে বান্দরবানের তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। থানচি, রোয়াংছড়ি ও রুমা এই তিন উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে এ তিন উপজেলার ভোট করা হবে বলে জানান ইসি সচিব। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নির্বাচন ভবনে ষষ্ঠ উপজেলা ভোট নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত হয়।

চার নির্বাচন কমিশনার, জননিরাপত্তা বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টা থেকে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংশ্লিষ্ট সচিবদের নিয়ে এ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, সভায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে– এবার উপজেলা নির্বাচনে অন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চেয়ে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা হবে। চার ধাপে ভোট হওয়ায় জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের চাহিদা অনুযায়ী মোতায়েন করা হবে। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বিশেষ করে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে। আপাতত এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরে সুবিধাজনক সময়ে এ নির্বাচন করা হবে।

মো. জাহাংগীর আলম বলেন, অপারেশন চলমান থাকায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে এ তিনটি উপজেলার নির্বাচন পরে করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আগামী ৮ মে রোয়াংছড়ি ও থানচিতে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। রুমার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে ২১ মে।

এবার প্রথম ধাপে ১৫০ ও দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। তৃতীয় ধাপে ১১২টির ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন।

২ এপ্রিল রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ লুট করে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। পুলিশের ১০টি এবং আনসার সদস্যের চারটি অস্ত্রও লুট করে নিয়ে যায় তারা। অপহরণ করা হয় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। দু-দিন পর রুমার একটা পাহাড়ি এলাকা থেকে ছাড়া পান তিনি।

রুমার ঘটনার একদিন পর ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলার সোনালী ও কৃষি ব্যাংকেও দিনদুপুরে অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। দুটি ঘটনায় পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এরপর থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুমা ও থানচিতে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশ সদস্যের যৌথ বাহিনী। যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে সমন্বয় করছেন সেনাবাহিনী। যৌথ বাহিনীর এ অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২১ নারীসহ ৭১ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছে পুলিশ। বান্দরবানের রুমায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে সোমবার পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের এক সদস্যের’ নিহতের খবর জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর।


আরও খবর



সেনাবাহিনী বান্দরবানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম: সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বান্দরবানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম সেনাবাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে কয়েকজন সন্ত্রাসী আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) বান্দরবানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

সেনাপ্রধান বলেন, গতকাল (শনিবার) রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, বান্দরবানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম সেনাবাহিনী। দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। এর ফল আপনারা সময়মতো পাবেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই, আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিষ্কার।

শফিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এর আগে সকাল ১০টার দিকে ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলা পরিদর্শনে যান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর