চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে
বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে
পাঁচ জন নিহতের কথা জানিয়েছিল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সর্বশেষ দুই জনের লাশ রাত সাড়ে
৪টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হয়েছে। এ নিয়ে
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাত জনের প্রাণ গেলো। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন শতাধিক মানুষ। হতাহত
ব্যক্তিদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে
নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় তিন শতাধিক।
দগ্ধদের মধ্যে
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও রয়েছেন। শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের
ঘটনা ঘটে।
রাত সাড়ে ৪টার
দিকে সাত জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক রাজিব
পালিত।
তিনি বলেন, এ
পর্যন্ত সাত জন নিহত হয়েছেন। দগ্ধ অবস্থায় শতাধিক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চমেক হাসপাতালের
পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শামীম আহসান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত
সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
চট্টগ্রামের সিভিল
সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, দগ্ধদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করেছি।
আশপাশের হাসপাতালে দগ্ধদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ফায়ার
সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর
পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিটে সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এখনও আগুন নিয়ন্ত্রণে
আসেনি।
ফায়ার সার্ভিস
ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডিপোতে আমদানি-রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনার ছিল।
ডিপোর কনটেইনারে রাসায়নিক ছিল, বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত চারদিকে আগুন ছড়িয়ে
পড়ায় হতাহত হয়েছে বেশি। আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।