আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

সীমান্তবর্তী জেলায় বাড়ানো হয়েছে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট

প্রকাশিত:বুধবার ০৯ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশে গত বছরের অক্টোবর মাসে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হয়। এর দুই মাস পরে ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হয়। গত সপ্তাহখানেক হল র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হয়েছে। শুরুতে ১০ জেলার কয়েকটি হাসপাতালে অ্যান্টিজেন টেস্ট করোনা হলেও সম্প্রতি এ টেস্ট বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর অ্যান্টিজেন টেস্ট বাড়ানো হয়েছে।

সিলেট জেলায় শুরুর মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছিল। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার সবগুলোতে অধিক নির্ভরযোগ্য আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে সব মিলিয়ে ৩৩৪ টি স্থানে এখন র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। এখন পর্যন্ত সর্বমোট র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৩ হাজার ৩৮০ টি। মঙ্গলবার (৮ জুন) গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার ছিল র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা। এক সপ্তাহ আগেও এ সংখ্যা অন্তত এক হাজার কম ছিল।

অ্যান্টিজেন টেস্টের শুরুতে গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পটুয়াখালী, যশোর, মেহেরপুর ও সিলেটে অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এখন সবচেয়ে বেশি এই পরীক্ষা করা হচ্ছে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে। বিশেষ যেখানে সংক্রমণ বেশি।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর বলেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, সিলেটসহ দক্ষিণ-পশ্চিম ও সীমান্তবর্তী যেসব জেলাতে সংক্রমণের হার অনেক বেশি। তাই এ অঞ্চলগুলোতে অ্যান্টিজেন টেস্ট বাড়ানো হয়েছে। ঢাকাতেও নমুনা পরীক্ষার জন্য ব্রাকের যেসব বুথ রয়েছে সেখানে অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে। রাজশাহীতে ৬ জুন পাঁচ জায়গায় অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়।

এমনকি বাড়ি বাড়ি গিয়েও টেস্ট করানো হচ্ছে। এখন দেশের বেশিরভাগ সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আলমগীর।

এএসএম আলমগীর বলেন, যেসব জায়গায় সংক্রমণের হার বেশি সেখানে মূলত স্ক্রিনিং-এর জন্য পাড়ায় পাড়ায় বা বাড়িতে গিয়ে এই পরীক্ষাটি করা হয়। এক্ষেত্রে যাদের সংক্রমণ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করার মতো কোনো উপসর্গ রয়েছে এমন কারোর নাক থেকে নমুনা নিয়ে একটা কিটে পরীক্ষা করা হয়। এতে ভাইরাস শনাক্ত হলে তাকে আর পিসিআর পরীক্ষা করার কথা বলা হয় না। কিন্তু উপসর্গ থাকার পরও যদি ভাইরাস শনাক্ত না হয় তখন অধিকতর পরীক্ষার জন্য তার নমুনা পাঠানো হয়।

এই টেস্টের মাধ্যমে বিশেষ ভাইরাল অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়, যা আসলে ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে।

তিনি বলেন, যেসব অঞ্চলে সংক্রমণ অনেক বেশি, সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আশা মানুষের সংখ্যা বেশি তাদের এসব পরীক্ষা করা হয়। যাদের সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার কারণে ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকতে হয় তাদের ওই সময়ের মধ্যে কয়েকবার অ্যান্টিজেন টেস্ট করে দেখা হয়।

যেখানে সংক্রমণ অনেক বেশি সেখানে উপসর্গ নাও থাকতে পারে এরকম 'অ্যাসিম্পটমিক' ব্যক্তিদের করানো হয় অ্যান্টিজেন টেস্ট। এছাড়া স্থলবন্দর হয়ে যারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন তাদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে এরপরই ইমিগ্রেশন পার করে আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ভাইরলজিস্ট ডা. সাবেরা গুলনাহার বলেন, এই পরীক্ষার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ফল দিতে পারে। ২০ মিনিটের মধ্যে এর ফল পাওয়া যায়। দ্রুত শনাক্ত মানে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যায়। এছাড়া খরচ খুব কম। পিসিআর টেস্টে সময় লাগে কম পক্ষে ছয় ঘণ্টা।

অন্যদিকে অ্যান্টিজেন টেস্টে তেমন কোন ব্যবস্থা লাগে না। একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে অল্প প্রশিক্ষণ দিয়ে, আঙুলের আকৃতির একটি কিট ও দরকারি সল্যুশন সহ একটি টেবিলে থাকলেই হয়।

গাড়ির ভেতরেও যেকোনো জায়গায় বসেই করা যায়। কোন ল্যাব দরকার হয় না। এর জন্য দরকারি কিট বহনযোগ্য। চাইলে কোনো ব্যক্তি নিজেও এই পরীক্ষা করতে পারেন। যুক্তরাজ্য সহ কিছু দেশে ইতিমধ্যেই ঘরে বেশি নিজেই পরীক্ষা করার বিষয়ে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এএসএম আলমগীর বলেন, পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে হলে অ্যান্টিজেন ছাড়া উপায় নেই। এই পরীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা ৮০ শতাংশ বলে জানান এই স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তা।


আরও খবর



শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতি শীর্ষক ওয়ার্কশপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) বিশ্বব্যাংক কর্তৃক যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতি শীর্ষক কর্মশালা আজ রাজধানীর মাল্টিপারপাস কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন।

কর্মশালায় কি-নোট উপস্থাপন করেন পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) এর মহাপরিচালক মোঃ রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। কর্মশালায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, সংস্থার প্রধানগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, শিল্প সমিতিসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫০ জন সম্মানিত প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালার প্রধান অতিথি প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, ওয়ারপো কর্তৃক প্রস্তাবিত শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতিটি একটি সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী উদ্যোগ। রুপকল্প-২০৪১ এর আলোকে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন অভিলক্ষ্য অর্জনের অব্যাহত অগ্রগতি নিশ্চিত করতে পানি সমৃদ্ধ শিল্পায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা, জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা, জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষার উদ্দেশ্যে শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি-বেসরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, বিদেশী উন্নয়ন সহযোগী ও অপধফবসরধ গণ সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণ করলে এই নীতি বাস্তবায়নে সুদূর প্রসারী ফলাফল পাওয়া যাবে, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অভূতপূর্ব সাফল্য বয়ে আনবে।

কর্মশালায় সভাপতি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান উল্লেখ করেন, স্মার্ট বাংলাদেশের প্রবক্তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন যার অন্যতম ভিত্তি হলো স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ।

সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশের পানি খাতে বিভিন্ন সেক্টর পরিকল্পনার অংশ হিসাবে টেকসই উদ্ভাবনী ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সভাপতি আরো উল্লেখ করেন, ওয়ারপো কর্তৃক প্রস্তাবিত শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতিমালায় পানির উৎস সংরক্ষণ; পানির সংযোজক ব্যবহার; পানিধারক স্তরের সুরক্ষা; পানিধারক স্তরের নিয়ন্ত্রিত পুন:ভরণ; দূষণকারী কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থাসহ সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে, সকলের সমন্বয়ে যার যথাযথ বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

এ কর্মশালার গেস্ট অব অনার মাইকেল জন শুভেচ্ছা জানিয়ে এরকম একটি অভিনব উদ্যোগ গ্রহণকে স্বাগত জানান, তিনি আরোও বলেন যে, পানি সুরক্ষিত টেকসই শিল্পোন্নয়ন এ মাত্রায় সংযুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত।

প্রস্তাবিত নীতিমালার উপর ৬ জন বিশেষজ্ঞ আলোচক যথাক্রমে  ড. কাজী মতিন উদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক, ভূ-তত্ত্ব বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; ড. জিল্লুর রহমান, ডীন, আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্সেস অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ড. চৌধুরী এম. সারোয়ার জাহান, অধ্যাপক, ভূ-তত্ত্ব ও খনিজ বিদ্যা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; ড. মো. শাহিনুর ইসলাম, অধ্যাপক, কেমিকৌশল বিভাগ, বুয়েট; ড. মোহাম্মদ আবেদ হোসেন, অধ্যাপক, পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান, বুয়েট এবং জনাব মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম, যুগ্মসচিব, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সমন্বয় অধিশাখা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

আলোচকবৃন্দ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা কর্তৃক শিল্পখাতে পানি ব্যবহার নীতি প্রণয়নের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রস্তাবিত নীতি-কে আজকের মতামতের ভিত্তিতে পরিমার্জিত করে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ ও শিল্পকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বারান্বিত হবে বলে মতমত দেন।


আরও খবর



নির্বাচনী প্রচারণার মাঠের পাশেই ককটেল বিস্ফোরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা(শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজীর (মোটরসাইকেল প্রতীক) নির্বাচনী প্রচারণার মাঠের পাশেই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের কুদ্দুস বেপারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের পাশেই এ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইদ্রিস ফরাজী শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। এবার উপজেলা নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে বৃহদাকারে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি ছাড়াও প্রাথী রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম আমিনুল ইসলাম (ঘোড়া প্রতীক), নান্নু মিয়া (আনারস প্রতীক), জাজিরা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন(কাপ পিরিচ প্রতীক), জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ সামচুল হক খান (দোয়াত কলম প্রতীক)।

প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী জানান, নির্বাচনি প্রচারণার জন্য বিলাশপুর ইউনিয়নের কুদ্দুস বেপারী হাই স্কুল মাঠে তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করে মাঠের পাশেই  দুর্বৃত্তরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গনে তার জনপ্রিয়তা বেশি। এতে পরাজয়ের ভয়ে জাজিরায় যারা সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত, তারা এ ককটেল হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় তিনি সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানান।

জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ককটেল বিস্ফোরণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ঘটনা মামলা হয়েছে এবং পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



জয়পুরহাটে হত্যার ২১ বছর পর ১৯ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের আব্দুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ২১ বছর পর রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে মামলার ১৯ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জজকোর্টের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) উদয় সিংহ রায়।

তিনি বলেন, পাঁচবিবি উপজেলার আব্দুর রহমান হত্যা মামলার রায়ে ১৯ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।


আরও খবর



মিয়ানমার চেকপোস্টে বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবুল কালাম নামে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মি। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বামহাতির ছড়া এলাকার মো. বদিউজ্জামানের ছেলে। রোববার (১২ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

বিশেষ একটি সূত্রে জানা গেছে, নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) এর অধীনস্থ ফুলতলী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার-৪৮/২ এস এর জিরো লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করেন আবুল কালাম। ওই সময় মিয়ানমারের বান্ডুলা চেকপোস্ট এলাকায় আরাকান আর্মি তাকে গুলি করে হত্যা করে। সূত্রটি আরও জানায়, মরদেহটি বর্তমানে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির হেফাজতে রয়েছে।

নিহত আবুল কালাম বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে খাদ্য সামগ্রী ও ইয়াবা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

গত কয়েকদিন আগে চোরাচালানের জন্য মিয়ানমার অনুপ্রবেশ করার সময় ৫ বাংলাদেশি মাইনবিস্ফোরণে আহত হয়েছিলো।


আরও খবর



১৫ জুলাইয়ে মধ্যে গুচ্ছ প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু: জবি উপাচার্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

আগামী পহেলা জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ে মধ্যে গুচ্ছভুক্ত ২৪ সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরুর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম।

আজ শুক্রবার (১০ মে) গুচ্ছের সি ইউনিট (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

উপাচার্য বলেন, নতুন বছরের ক্লাস শুরু করা নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা আশা করছি, ১ লা জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু করতে পারব।

এবার গুচ্ছের 'সি' ইউনিট তথা বাণিজ্য ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১২ হাজার ৫১৩ জন। এ সময় তিনি বিগত সময়ের সংকট কাটিয়ে এবার দ্রুত ক্লাস শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষা শেষে ১ আগস্ট গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ক্লাস শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। পরে আজ (শুক্রবার) সেই তারিখ পরিবর্তন করে ১ থেকে -১৫ জুলাইয়ে মধ্যে ক্লাস শুরু করার সম্ভাবনার কথা জানান।

গত বছর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস পহেলা আগস্টে শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিল তৎকালীন জবি উপাচার্য প্রয়াত ড. ইমদাদুল হক। পরে সেই ক্লাস ১ মাস পরে সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল।

উল্লেখ্য, আজ গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগ (সি ইউনিট) এর ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৪০ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।

নিউজ ট্যাগ: জবি উপাচার্য

আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪