রিমান্ড শেষে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ
মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এসময় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার
আবেদন করেন পল্টন থানার উপপরিদর্শক ফরহাদ মাতুব্বর। আদালতে এ বিষয় শুনানি হবে।
এর আগে ৩১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের
শহীদবাগ থেকে আলালকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর তাকে ১ নভেম্বর আদালতে হাজির
করা হয়। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী
কর্মকর্তা ও পল্টন থানার উপপরিদর্শক ফরহাদ মাতুব্বর। আর আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও
জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি
শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অস্ত্র ছিনতাই ও পুলিশের
মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা
১০ মিনিটে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস
ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের উস্কানি ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এজাহারনামীয়
এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা পল্টন থানাধীন পুলিশ ক্যান্টিনে ভাঙচুর করেন। এছাড়া পুলিশের
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইটপাটকেল মেরে জাদুঘরের গ্লাস ভেঙে ক্ষতিসাধন করেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন
গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চানমারী পুলিশ লাইন্সের ডিউটি পোস্টে অগ্নিসংযোগসহ ইটপাটকেল
নিক্ষেপ করা হয়। জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তির রক্ষার্থে তাদের নিবৃত করতে
গেলে তিনদিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হন এবং এএসআই
এরশাদুল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলি ভর্তি
ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় গত ১ নভেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন
থানায় মামলা করেন। এ মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রধান
আসামি করা হয়েছে।