ইউক্রেনে চলমান রুশ আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশগুলো রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আপাতত নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে না।
ফ্রান্সে ইইউ নেতাদের সম্মেলন চলার মধ্যে শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ভিডিও পোস্টে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর অরবান এই তথ্য জানিয়েছেন।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ভালোভাবে শেষ হয়েছে। রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে না। তাই বলা যায়, আগামী দিনগুলোতে হাঙ্গেরির জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত থাকছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট বলেছিলেন, রাশিয়া থেকে ইইউর দেশগুলোতে তেল ও গ্যাস আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়।
রাশিয়ার হামলার জন্য দেশটির বিরুদ্ধে ইউক্রেন আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানোর পর যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানির ওপর সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। যুক্তরাজ্য বছরের শেষ নাগাদ রাশিয়া থেকে তেল আমদানি পর্যায়ক্রমে বন্ধ করবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়া থেকে গ্যাস আমদানি দুই–তৃতীয়াংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। তেলের জন্য রাশিয়ার বিকল্প উৎস খোঁজার কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়া। তাদের ওপরে আছে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব। প্রতিদিন ৫০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি হয়, যার অর্ধেকের বেশি যায় ইউরোপে। যুক্তরাজ্যে চাহিদার ৮ শতাংশ তেল আসে রাশিয়া থেকে।