কনটেইনার ডিপোতে
রক্ষিত হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড বোঝাই কনটেইনারেই আগুন ধরে। ভয়াবহ ও বিকট শব্দে বিস্ফোরণের
পর তা পুরো ডিপোতে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর কনটেইনারগুলো একে একে বিস্ফোরিত হতে থাকে।
বাংলাদেশ ইনল্যান্ড
কনটেইনার ডিপো’স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব রুহুল আমিন
শিকদার বলেন, আগুন লাগার সময় পোটিতে প্রায় সাড়ে চার হাজারের মতো কনটেইনার ছিল। এর মধ্যে
৮০০ টি রপ্তানি পণ্যবোঝাই কনটেইনার। এই রপ্তানি কনটেইনারের মধ্যে হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড
বোঝাই কনটেইনার ছিল ১৬ থেকে ১৮টি। ঘটনাটি হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড থেকে হয়েছে কিনা আমরা
নিশ্চিত নই। এটা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন।
রুহুল আমিন শিকদার
বলেন, রাসায়নিক পদার্থগুলো কম্বোডিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল। তবে কম্বোডিয়া এই চালানের শেষ
গন্তব্য, নাকি সেখান থেকে অন্য বন্দরে নিয়ে যাওয়া হতো তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রাসায়নিকের রপ্তানিকারকের বিষয়েও এখনো নিশ্চিত তথ্য মেলেনি।
শনিবার রাত সাড়ে
৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। কুমিরা থেকে ফায়ার সার্ভিসের
কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর সময় বিকট শব্দে কনটেইনার বিস্ফোরিত হয়। এতে ৪৯ জনের প্রাণহানির
পাশাপাশি দগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন চার শতাধিক।