আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউন এখন টাইম বোমার ফ্যাক্টরি

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ এপ্রিল ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ এপ্রিল ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা যেন টাইম বোমার ফ্যাক্টরি। যেকোনো সময় বিস্ফোরণে ঘটতে পারে হাজারো প্রাণহানি। এসব এলাকায় এখনো রয়েছে ১ হাজার ৮৯৬টি কেমিক্যাল গুদাম। যার বেশির ভাগের ওপরই হাজারো মানুষের বসবাস। ঢাকা দক্ষিণ সিটির এক কর্মকর্তা জানান, কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর বিষয়টি ক্যাবিনেটে ঝুলে আছে।

দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলী এলাকায়। যে আগুনে প্রাণ যায় তরতাজা ১২৪ জনের। এরপর ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি চুড়িহাট্টার আগুনে প্রাণ যায় আরও ৭১ জনের। ওয়াহিদ ম্যানসন ছিল যার কেন্দ্র বিন্দু। এসবের পেছনে মূল উপাদান ছিল কেমিক্যাল গোডাউন। একে তো ঘিঞ্জি এলাকা তার ওপর বিস্ফোরক দ্রব্য-সব মিলিয়ে মরণ ফাঁদ।

সবশেষ ঘটনা আরমানিটোলায় হাজী মুসা ম্যানশনে। ঘাতক সেই কেমিক্যাল। ২৩ এপ্রিলের সেহরির সময় ভোর রাত। পুরো ভবনের নিচতলায় কেমিক্যাল গোডাউন। ওপরে সেই মানুষের বসবাস। এবার প্রাণ গেল ৪ জনের। কিন্তু ঘটনার পরেই শুধু তদন্ত কমিটি আর কেমিক্যাল গুদাম সরিয়ে নেয়ার তোরজোড় শুরু হয়। কদিন পরে আর কোনও তৎপরতা চোখে পড়ে না।

প্রাণে বেঁচে যাওয়া বাসিন্দারা জানান, বাড়ির মালিক বলেছে আপনার এখানে নিরাপদ। এসব কেমিক্যালে বিস্ফোরণ হয় না।

স্থানীয়রা জানান, সবগুলো এলাকাতেই কেমিক্যালের কারখানা। যদি এটি একটু বড় এলাকায় হতো তাহলে হাজার মানুষের মরদেহ নিয়ে যেতে হতো। এমন মৃত্যু আর দেখতে চাই না। এজন্য কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে ডিএসসিসির অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি বাড়ি বাড়ি ঘুরে-বিস্ফোরকের তালিকা তৈরি করেছি। আমরা আর কাউকে লাইসেন্স দিচ্ছি না। এরই মধ্যে জরিপের কাজ শেষ হয়েছে। ১ হাজার ৮৯৬টি কেমিক্যাল গুদামের তালিকা করা হয়েছে। কেবিনেট সিদ্ধান্ত দিলেই শুরু হবে কাজ।

একই বিষয়ে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, সরকার সব বানিয়ে দিলেও যাবে না তা আপনারা জানেন। সবার আগে তাদের ইচ্ছের বিষয়টি প্রয়োজন। এসব কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর
কপালের বলিরেখা দূর করার উপায়!

শুক্রবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অভিযানেও স্বস্তি ফেরেনি চালের বাজারে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪




চাঁদ রাতে অমির নতুন গান, সঙ্গী আঁচল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

এ সময়ের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী সৈয়দ অমি। চলতি বছরের শুরুতে তিনি নিয়ে আসেন দক্ষিণের আদলে মাতাল শিরোনামের একটি মিউজিক ভিডিও। এতে তিনি হাজির হয়েছিলেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখির সঙ্গে। গানটি প্রকাশ্যে আসতেই দর্শকদের মধ্যে তুমুল সাড়া ফেলে। খুব কম সময়ে দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে গানটি ছড়িয়ে যায়। ইউটিউবে গানটি এ পর্যন্ত পাঁচশ মিলিয়ন দর্শক দেখেছেন। প্রতিনিয়ত বাড়ছে এর ভিউ। ডিজিটালের অন্য মাধ্যমেও মাতাল গানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেখানেও হয়েছে কয়েক কোটি ভিউ।

তারই ধারাবাহিকতায় অমির নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে চাঁদ রাতে আসছে নতুন আরও একটি গান-ভিডিও। শিরোনাম বেবি কথা ছুইনা যাও। পুরান ঢাকার কথায় গানটির কথা ও সুর গায়কের। এবারও গানটিতে মডেল হিসেবে আছেন সুলতানা বিবিয়ানাখ্যাত চিত্রনায়িকা আঁচল। গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন এ এম ফরহাদ, কোরিওগ্রাফি করেছেন হাবিবুর রহমান। মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন শুভ্র মেহরাজ।

মাতালর সাফল্য প্রসঙ্গে আঁচল-অমি বলেন, সবমিলিয়ে গানটি পাঁচশ মিলিয়ন মানুষ দেখেছে। তাদের এই ভালোবাসায় আমরা অভিভূত। একটি কাজ যখন মানুষের কাছে পৌঁছায় এবং তাদের পছন্দের তালিকায় যুক্ত হয় সেই অনুভূতি ব্যক্ত করা যায় না। এটি নতুন কাজের অনুপ্রেরণা দেয়।

নতুন গান প্রসঙ্গে সৈয়দ অমি বলেন, এই প্রথম পুরান ঢাকার ভাষায় গান লিখেছি। গানের কথায় পুরান ঢাকার অনেক ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে গানের শুটিং আমরা পুরান ঢাকায় করিনি। কুমিল্লা ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কে শুটিং করেছি। আমার বিশ্বাস মাতাল গানের মতো এই গানটিও জনপ্রিয়তা পাবে।

জানা গেছে, বেবি কথা ছুইনা যাও গানটিতে আঁচল হাজির হচ্ছেন কোটিপতি বাপের আদরের মেয়ে চরিত্রে। ওয়েস্টার্ন লুক, লন্ডন আমেরিকা বিভিন্ন দেশে ঘুরতে পছন্দ করেন। অন্যদিকে, সৈয়দ অমি খাঁটি পুরান ঢাকার ছেলে।

এছাড়াও আসন্ন ঈদে অমির আরো কয়েকটি গান মুক্তি পাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম জসিম উদ্দিন জাকির পরিচালিত আনিসুর রহমান মিলন, সাইমন সাদিক, শবনম বুবলী ও রোশান অভিনীত মায়া দ্য লাভ সিনেমার তুমি ছাড়া চাই না কিছু অন্যতম। বুধবার সন্ধ্যায় গানটি মুক্তি পেয়েছে। এই গানটি নিয়েও বেশ আশাবাদী সৈয়দ অমি।


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




ফের উত্তপ্ত টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাত আবারও তীব্র হয়েছে। সেখান থেকে একের পর এক মর্টার শেল ও ভারী গোলা বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে।

কয়েকদিন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) ভোর থেকে টেকনাফ পৌরসভা, সেন্টমার্টিন, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, হ্নীলা ও হোয়াইক্যং সীমান্তজুড়ে থেমে থেমে শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ।

হোয়াইক্যংয়ের বাসিন্দা রশিদ আহমেদ বলেন, সেহেরির পর থেকে বাড়িতে আর ঘুমাতে পারিনি। মিয়ানমারের ভেতর থেকে একের পর এক যেভাবে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে, মনে হচ্ছে আমার বাড়িতে মর্টারশেল পড়ছে। ভোর থেকে এখনো পর্যন্ত থেমে থেমে বিকট শব্দে কাঁপছে এপারে বাড়ি-ঘর।

হ্নীলার বাসিন্দা জেলে সৈয়দ হোসাইন বলেন, সকালে চিংড়ি ঘেরে মাছ ধরতে গিয়েও ফিরে আসলাম। মিয়ানমারের রাখাইন থেকে যে হারে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে, আতঙ্কে চলে এসেছি।

সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা নুরুল আমিন বলেন, রাখাইনের মংডু ও বলি বাজার শহরের কাছাকাছি আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। এ কারণে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ সীমান্তের এপারে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে।

জানা গেছে, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠি আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইন রাজ্য দখল করতে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে গত আড়াই মাস ধরে সীমান্তের এপারে একের পর এক বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে। এর আগে আরাকান আর্মিসহ আরও কয়েকটি বিদ্রোহী গ্রুপ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজিপির ক্যাম্প ও সীমান্ত চৌকিসহ অধিকাংশ অঞ্চল দখল করেছিল। সম্প্রতি নতুন করে আবারও রাখাইনের আকিয়াব জেলার মংডু ও বলি বাজার শহরসহ সেনা ক্যাম্প দখল করতে হামলা অব্যাহত রেখেছেন বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী।

টেকনাফ (২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সব সময় সর্তক রয়েছে।


আরও খবর



এনেস্থেসিয়ার ওষুধ ব্যবহারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিভিন্ন হাসপাতালে সম্প্রতি এনেস্থেসিয়াজনিত কারণে রোগীর মৃত্যু ও আকস্মিক জটিলতা নিরসনের জন্যে নতুন কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ভবিষ্যতে জটিলতা এড়াতে ও এনেস্থেসিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত করতে নির্দেশনায় এনেস্থেসিয়ায় হ্যালোজেন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব জসীম উদ্দীন হায়দার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে-

সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে ইনহেলেশনাল অ্যানেসথেটিক (নিশ্বাসের সঙ্গে যে চেতনানাশক নেওয়া হয়) হিসেবে হ্যালোথেনের (চেতনানাশক ওষুধ) পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন (চেতনানাশক ওষুধ) ব্যবহার করতে হবে।

সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট হ্যালোথেন/আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজারের সংখ্যা এবং বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজার পরিবর্তন করে আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের প্রাক্কলন করতে হবে।

ডিজিডি-এর অনুমোদন ছাড়া হ্যালোজেন ক্রয়, বিক্রয় ও ব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সারা দেশের সব অ্যানেসথেসিওলজিস্টদের (সরকারি/বেসরকারি) নিয়ে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ব্যবহারসংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজারের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপনের জন্য চাহিদা মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে।

নতুন অ্যানেসথেসিয়ার মেশিন ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্পেসিফিকেশন নির্ধারণে স্পষ্টভাবে আইসোফ্লুরেন/সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজারের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: এনেস্থেসিয়া

আরও খবর



ইরানে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার জবাবে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধাকালীন মন্ত্রিসভা। তবে সেই হামলা কখন এবং কোন মাত্রায় হবে তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি রয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার বিকালে ইসরায়েলের পাঁচ সদস্যের মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্ত নেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান ও খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক ও কৌশলগতভাবে চিন্তা করার পরামর্শ দেন। এর প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্তগুলো স্থগিত রেখেছে। তবে তারা সংক্ষিপ্ত সময়ের নোটিসেই তা কার্যকর করতে পারবে বলে চ্যানেল ১২ এর খবরে বলা হয়েছে।

ইসরায়েল হায়ুম-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা বলেছেন- জবাব দেওয়া হবে।

আর এনবিসি নেট্য়ার্ক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অফিসের একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বিকল্প পন্থাগুলো উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে এবং এটা পরিষ্কার যে ইসরায়েল জবাব দেবে।

ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ইরানের বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার পক্ষে। তবে জবাবের সময় এবং মাত্রা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রয়েছে।

যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকটি হয় ইরানি হামলার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে। শনিবার রাতে ইরান নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েলে। এ সময় তারা প্রায় ৩৫০টি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করে ইসরায়েলে। ইসরায়েল দাবি করেছে, এগুলোর ৯৯ শতাংশই সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে।

বেশ কয়েকটি হিব্রু মিডিয়ায় বলা হয়েছে, এই ব্যাপক হামলার প্রেক্ষাপটে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গান্তজ এবং তার ন্যাশনাল ইউনিটি পার্টির সহকর্মী গাদি আইজেনকট (যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার পর্যবেক্ষক) উভয়ে ইরানে পাল্টা হামলার প্রস্তাব করেন।

তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট, আইডিএফ প্রধান হারজি হ্যালেভি এবং অন্যরা প্রস্তাবটির দৃঢ় বিরোধিতা করেন। তারা মনে করেন, একইসাথে এত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে গেলে প্রচুর চাপের সৃষ্টি হবে।

এদিকে পৃথক একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে চ্যানেল ১২ দাবি করেছে, ইসরায়েলি হামলার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দেবে না। তবে বিষয়টি তাদেরকে আগে জানাতে হবে এবং সমন্বিত হামলা চালাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য সরকারিভাবে জানিয়েছে- তারা ইরানে ইসরায়েলের কোনও পাল্টা হামলায় অংশ নেবে না।

চ্যানেল ১২ আরও দাবি করেছে, ইসরায়েল এখন সংযত থাকার বিনিময়ে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কৌশলগত চুক্তি করতে চাচ্ছে এবং তা করতে চাচ্ছে ফিলিস্তিন ইস্যুতে কোনও ধরনের প্রতিশ্রুতি না দিয়েই।


আরও খবর



পুলিশের অভিযানে অপহৃত পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়ার শিলখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে পল্লী চিকিৎসকসহ ২ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।

তিনি জানান, পাহাড়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  (উখিয়া-টেকনাফ) সার্কেল মো রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিমের অভিযানের মুখে পল্লী চিকিৎসকসহ অপহৃত দুই জনকে রেখে পালিয়ে যান অপহরণকারীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর হোয়াইক্যং সড়ক (ঢালা) দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পল্লী চিকিৎসকসহ ওই দুজনকে অপহরণ করেন দুর্বৃত্তরা।

অপহৃত পল্লী চিকিৎসক জহির উদ্দিন (৫১) উখিয়া পালংখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পশ্চিম থাইংখালী এলাকার মাওলানা জাকের হোসেনের ছেলে। টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর, নয়াপাড়ার মৃত মোঃ শফি মোহাম্মদ রফিক (৩২)।

অপহরণের শিকার জহির উদ্দিনের ছোট ভাই কমরুদ্দিন মুকুল জানান, তার ভাই শাপলাপুর এলাকায় প্রতিদিনের মতো চেম্বার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। তার সঙ্গে একজন যাত্রীও ছিলেন। পথিমধ্যে শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কের ঢালার নামক স্থানে আসলে তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিএনজি (অটোরিকশা) চালক বিষয়টি পরিবারকে জানায়। এরপর থেকে মোবাইলে ফোন করে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করতে থাকেন অপহরণকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত এক মাস ধরে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণের ঘটনা বন্ধ ছিল। এর আগে গত ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক।


আরও খবর