রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসের ট্রেনে পরিকল্পিত ভাবে আগুন লাগানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার খ মহিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘এখনই বলা যাবে না কারা আগুন লাগিয়েছে। তবে এটি যে নাশকতা সেটি স্পষ্ট।’ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) গোপীবাগে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সাধারণ মানুষ, যাত্রীদের প্রতি, শিশু-নারীদের প্রতি এ ধরনের অমানবিক সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কোনো মানুষ এটা গ্রহণ করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘চারটি বগি এখান থেকে আলাদা হয়ে স্টেশনে চলে গেছে। ছয়টি বগি এখানে আছে। পাওয়ার জেনারেট বগিসহ তিনটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুন>> বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন : ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
আগুনে কোনো ধরনের উপাদান পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের যে তদন্তকারী কর্মকর্তারা আছেন তারা আলামত সংগ্রহ করবেন। আমরা চেষ্টা করব কি কারণে আগুন লেগেছে সেটি জানার।’
পরপর তিনটি বড় নাশকতার পরেও গোয়েন্দা তথ্যে নাশকতার সম্ভাবনা নেই বলার কারণ কি জানতে চাইলে মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘কোনো কোনো অপরাধ তাৎক্ষণিক ধরা পড়ে যার নজির আপনারা দেখেছেন। এর সংখ্যা চল্লিশের বেশি। গাজীপুরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিমানবন্দরের ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে কাজ চলছে। এটা কখনো ১৫ ঘণ্টায়, কখনো ১৫ দিনে বা তার বেশি সময়ও লাগতে পারে।’
বেনাপোল এক্সপ্রেসে বিদেশি যাত্রী ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এটা নাশকতা মনে হয়েছে। যাত্রীবেশে হয়তো এটা করেছে। বিদেশি যাত্রীর বিষয়টা জানা নেই। এটা রেলওয়ে পুলিশ বলতে পারবে। এই বগিতে ক্যামেরা ছিল কিনা জানা নেই। তবে রেলওয়েকে অনুরোধ করা হয়েছিল ক্যামেরা লাগাতে।’