শেখ হাসিনা কারাগারে
থাকা অবস্থায় অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম যে ভূমিকা রেখেছিলেন, তা তখনকার অনেক বড় নেতাই
রাখেনি বলে জানিয়েছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
শুক্রবার (১৬
জুলাই) শেখ হাসিনার কারান্তরীণ দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ভার্চুয়াল
আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন,
সেদিন নেতৃত্ব দেওয়া কামরুল ইসলাম কিন্তু মহানগরে বড় নেতা ছিল না। কিন্তু মাঠ পর্যায়
থেকে উঠে আসা কামরুল ইসলাম ও শাহ আলম মুরাদরা সেদিন যে রোল প্লে করেছিলেন, ওই রোল যাদের
প্লে করার কথা ছিল তারা কিন্তু প্লে করেননি।
মন্ত্রী আরও বলেন,
যে নেতারা শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিলেন সে নেতাদেরও কিন্তু শেখ হাসিনা ধারণ
করেছেন। কিন্তু ওইযে বলেছেন, ক্ষমা ক্ষমা ক্ষমা, কিন্তু ভুলি নাই, ভুলি নাই, ভুলব না।
শ ম রেজাউল করিম
বলেন, ‘এমন অবস্থা ধারণ
করার মতো বিশাল বুকের পাটা কারো নেই। কিন্তু শেখ হাসিনার শরীরে বঙ্গবন্ধুর রক্ত ছিল
বলেই হয়তো তিনি ধারণ করতে পারছেন। অন্য দলে কিন্তু ধারণ করেনি। অন্যসব দলে যারা দলীয়
নেত্রীকে মাইনাস করতে চেয়েছে তারা কিন্তু তাদের দলে নেয় নি।
শেখ হাসিনা অনিরাপদ
জানিয়ে তিনি বলেন, এখনও কিন্তু শেখ হাসিনা নিরাপদ না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দাবিদার
অনেক শক্তি কিন্তু চান শেখ হাসিনা না থাকলে ভালো হয়। অনেক অপশক্তিও এটাই চায়। কারণ,
মুক্তিযুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে শেখ হাসিনা।
সুজন হালদারের
সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, ৭১ এর পরাজিত শক্তিরা দীর্ঘদিন
ধরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। জেলখানায় জাতীয় চার
নেতাকে হত্যা করেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা
করছে। এরাই মূলত নেত্রীকে ১/১১ তে গ্রেপ্তারের জন্য ষড়যন্ত্র করেছিল।
সংস্কারবাদীরা অনেক চেষ্টা করেছেন নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করার জন্য। কিন্তু তারা তৃণমূলে ভাঙন ধরাতে পারেনি বলেও জানান অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।