আজঃ বুধবার ২২ মে ২০২৪
শিরোনাম

প্রার্থিতা হারালেন বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নান

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব ও নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর উপজেলা) আসনের প্রার্থী মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের আপিল নামঞ্জুর করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর ফলে প্রার্থিতা হারালেন বিকল্পধারার মহাসচিব।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটোরিয়ামে (বেজমেন্ট-২) আপিল শুনানির পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এই রায় দিয়েছেন।

আরও পড়ুন>> গণতন্ত্রী পার্টির সবার প্রার্থিতা বাতিলের নির্দেশ

ঋণখেলাপির দায়ে মনোনয়নপত্র বাতিলের ঘটনায় রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ইসিতে আপিল করেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব ও নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর উপজেলা) আসনের প্রার্থী মেজর (অব.) আবদুল মান্নান। কিন্তু ইসি আপিল নামঞ্জুর করে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে। এতে তিনি প্রার্থিতা হারিয়েছেন। তবে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন তিনি।

গত ৩ ডিসেম্বর ঋণখেলাপির অভিযোগে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিবের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।


আরও খবর



বনের জমিতে দেড় শতাধিক কারখানা, উচ্ছেদে সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা কী

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি এলাকার বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম লিমিটেড (বিবিএস) কেবলের বার্ষিক বিক্রির পরিমাণ এক হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি। ২০১৭ সালে কারখানা নির্মাণের জন্য গাছপালা কেটে সাতখামাইর ফরেস্ট বিটের তেলিহাটি মৌজার আরএস ২৯২৩, ২৯২৪ ও ২৯২৫ দাগের ১.৬১ একর সংরক্ষিত বনের জমি দখল করে নামি এই কেবল প্রতিষ্ঠানটি। দখল করা ওই জমির বর্তমান বাজারমূল্য অন্তত আড়াই কোটি টাকা। বন বিভাগ দখল করা ওই জমি এখনো উদ্ধার করতে পারেনি। এরই মধ্যে নতুন করে কারখানার মূল ফটকের সামনে প্রতিষ্ঠানটির  প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হাসনাইন ওরফে হাসান বনের জমি দখল করে নির্মাণ করেছেন মার্কেট। ওই মার্কেট থেকে মাসে ভাড়া তুলছেন ৩০ হাজার টাকা।

অন্যদিকে, গাজীপুর সদরের নলজানী এলাকার অভিজাত ভাওয়াল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার মাসিক আয় কোটি টাকার বেশি। শীত, গ্রীষ্ম এমনকি হরতাল-অবরোধেও এই রিসোর্টের ভিলা খালি থাকে না। ৯-১০ বছর আগে নির্মাণের সময় ভাওয়াল রিসোর্টের পাশে থাকা সংরক্ষিত বনের বাড়ইপাড়া মৌজার এসএ সিএস ৩, ২৭৯ ও ২৭১ দাগের ৩.৬৮ একর জমি দখল করে নেয় প্রতিষ্ঠানটি। এ ঘটনায় বন বিভাগ গ্রিনটেক রিসোর্টের দখল থেকে জমি উদ্ধারের জন্য গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে উচ্ছেদ মামলা করে। কিন্তু সেই জমি এখনো উদ্ধার হয়নি। এভাবে গাজীপুরে সংরক্ষিত বনের জমিতে কারখানা, খামার, আলিশান রিসোর্ট, পিকনিক ও শুটিং স্পট নির্মাণ করে বছরে শতকোটি টাকার বাণিজ্য করছে পৌনে দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান।

ব্যক্তিগত প্রভাব এবং অসাধু বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ব্যক্তিগত জমির সঙ্গে থাকা বনের জমি দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠান। সংরক্ষিত বনে বা বন ঘেঁষে তৈরি করা এসব প্রতিষ্ঠানের অনেকের নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। বন বিভাগের তালিকা অনুযায়ী, গাজীপুরের শ্রীপুর, কালিয়াকৈর ও সদর উপজেলায় ১২ হাজার ৩২১ একর বনের জমি অবৈধ দখল হয়ে গেছে। এর মধ্যে ১৭৪টি প্রতিষ্ঠানের দখলে রয়েছে ৫০০ একর জমি। গত এপ্রিল মাসে বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসন শ্রীপুর ও গাজীপুর সদর উপজেলায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে মাত্র ৮.৭৯ একর বনভূমি। অবশিষ্ট ভূমি রিসোর্ট, বাড়িঘর-দোকানপাট, হাটবাজার ও কৃষিজমি হিসেবে দখল করা হয়েছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়িঘর তৈরি করে ২৩ হাজার ব্যক্তি দখল করেছে ১০ হাজার একরের বেশি বনভূমি। এতে বনভুমি উজাড় হয়ে হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। অথচ এই আগ্রাসন ঠেকাতে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই বন বিভাগের। বরং নানা ফন্দিতে নতুন করে দখল হচ্ছে বনভূমি।

বন বিভাগের তথ্যানুযায়ী, শ্রীপুরে ধনুয়া মৌজায় আরএকে সিরামিকস চার একর, রশোওয়া স্পিনিং মিল চার একর, ডিবিএল সিরামিকস আট একর, অটো স্পিনিং মিলস ২.২০ একর, সাতখামাইর মৌজায় আকন্দ গার্ডেন ১৬ একর, রিফাত ব্যাগ ২৫ শতক, পটকা মৌজায় ট্রেড ম্যানেজমেন্ট করপোরেশন ৭.৬৪ একর, কেওয়া মৌজার মিতা টেক্সটাইল ২.২০ একর, মেঘনা কম্পোজিট ৪০ শতাংশ, জোবায়ের স্পিনিং এক একর, ওমেগা সুয়েটার এক একর, সোলার সিরামিকস ৯০ শতাংশ, ইকো কটন ৪.৮৬ একর, ভাওয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ দুই একর, অনটেক লিমিটেড ৪.৯৪ একর, হাউআর ইউ টেক্সটাইল এক একর, অরণ্যকুটির ২.২২ একর, উইষ্টেরিয়া টেক্সটাইল ৫.৩৩ একর, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল দুই একর, এপেক্স নিট কম্পোজিট ১১.৬২ একর, গ্রেটওয়াল সিরামিকস ৭.৩৮ একর, টেপিরবাড়ি মৌজায় ডিবিএল গ্রুপ ছয় একর, তেলিহাটি মৌজায় কুঞ্জু বিথি এক একর, আলিফ অটো ব্রিকস ৭০ শতাংশ, টেপিরবাড়ী মৌজায় চায়না বাংলা প্যাকেজিং এক একর, প্রাইম ফার্মাসিউটিক্যালস ৭৬ শতাংশ, এইচ এস অ্যাগ্রো দেড় একর, রেক্স অটো ব্রিকস এক একর ৭০ শতাংশ, টেংরা মৌজায় শিশুপল্লী প্লাস সাড়ে ১২ একর, মম পোলট্রি ৭০ শতাংশ ও ওয়ারবিট স্টিল বিল্ডিং দুই একর বনের জমি দখল করেছে। পেলাইদ মৌজায় সিসিডিভি পাঁচ একর, সাইটালিয়া জামান পোলট্রি দুই একর, মাওনা মৌজার মনো ফিড ২.২৫ একর, এইচ পাওয়ার লিমিটেড ৩৩ শতাংশ, হোম ডিজাইন ১.২২ একর ছাড়াও বিবিএস কেবল, দি সোয়েটার, ইকো কটন মিলস, সিটিসেল লিমিটেডও বনের জমি দখল করেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলায় বনভূমি দখলে সবচেয়ে এগিয়ে পারটেক্স গ্রুপ। পারটেক্স কটন লিমিটেড সদর উপজেলার ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের বাহাদুরপুর মৌজায় সিএস ২৫৪, ২৮৯, ২৯৪ ও ৩০০ নম্বর দাগে ১১.৬৭ একর, পারটেক্স হোল্ডিংস লিমিটেড একই মৌজার সিএস ২০৮, ৫৮৫, ২০৮ ও ৫৮৬ নম্বর দাগে ৫.০৯ একর, আম্বার ডেনিম লিমিটেড আড়াইশ প্রসাদ মৌজায় আরএস ৮ থেকে ১৮ এবং ২৮ থেকে ৩২ নম্বর দাগে ২৬.২৪ একর মিলিয়ে ৪৩ একর বনভূমি দখলে রেখেছে। তবে এসব বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি পারটেক্স গ্রুপের কোনো কর্মকর্তা। মণিপুর এলাকায় বোকরান মণিপুর মৌজায় সিএস ৪২৮ ও ৫৯৮  নম্বর দাগে ৬.৫৭ একর সংরক্ষিত বনভূমি দখল করেছে সান পাওয়ার সিরামিকস লিমিটেড। এসব বনভূমি উদ্ধার করতে ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১৩ সালে উচ্ছেদ মামলা করা হয়।

বনভূমি দখল প্রসঙ্গে সান পাওয়ারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম ভূঞা বলেন, কারখানার জমির এসএ ও আরএস রেকর্ড আমাদের নামে। কিন্তু শুধু গেজেটে নাম থাকায় বন বিভাগ ওই জমি তাদের দাবি করছে। কারখানাটি বিদেশি বিনিয়োগে স্থাপিত। বনের দাবি করা জমির সমপরিমাণ জমি অন্যত্র কিনে বনায়ন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’

বোকরান মণিপুর মৌজায় সিএস ৫৯৮ নম্বর দাগে ফু-ওয়াং সিরামিক ও ফু-ওয়াং ফুডের দখলে রয়েছে ৪.৪০ একর সংরক্ষিত বনভূমি। ২০০৭ সালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উচ্ছেদ মামলা করে বন বিভাগ। কিন্তু ওই সময় দায়সারা মামলা করায় আজও জমি উদ্ধার হয়নি। এ প্রসঙ্গে ফু-ওয়াং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে বনের কোনো জমি নেই।’

এ ছাড়া প্যানাস অটোক্রিয়েশ গার্মেন্টস, ম্যাগডোনালস বাংলাদেশ, হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এনএজেড গার্মেন্টস বাংলাদেশ, ওয়ান্ডার ল্যান্ড টয়েস, বেন্টলী সুয়েটার, ওয়ান ডেনিম, ওয়ান স্পিনিং মিলস, এমআই ইয়ার্ন ডাইং, শরীফ বাড়ি খামার ও রেস্ট হাউস, ইপিলিয়ন স্টাইল, এটলাস ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, এবি সিদ্দিক পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ, বেন ফিক্সস্টীল বিল্ডিং ডেভেলপমেন্ট, এসএম নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ, বিডি কালেকশন, বাংলাদেশ মেইজপ্রডাক্ট, ইভিল টেক্স, তিতাস স্পিনিং, বেঙ্গল গার্মেন্টস, মালা পোলট্রি ফার্ম, মাসকাত পোলট্রি ফার্ম, টিএস ট্রান্সফরমার, ন্যাশানাল ফিড, মডার্ন ফিড, লিথি গ্রুপ, প্যারাগন পোলট্রি, স্কিন গ্রাফ, গর্ডন স্টিল মিলস, মোশারফ কম্পোজিট, প্যাকলাইন, আর্টিসান সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, বিটি লিমিটেড, মিলেনিয়াম স্টিল মিলস লিমিটেড, কুইন্স পোলট্রি ফার্ম লিমিটেড, অমনী অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স, ঢাকা ফিশারিজ, রেডিয়াম এক্সেসরিজ, নির্জনা অ্যাপারেলস, গোলাম কিবরিয়া মৎস্য খামার, ইনডেক্স কনস্ট্রাকশন, সাহাবা ইয়ার্ন, এটিআই সিরামিক, গিভেন্সি ডেনিমস, খোরশেদ আলম অ্যাগ্রো কমপ্লেক্স, বেঙ্গল হরিকেন ডাইং প্রিন্টিং লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ এবং আদি অ্যাগ্রো ফার্মের দখলে রয়েছে কোটি কোটি টাকার বনভূমি।

কালিয়াকৈর সোহাগ পল্লী রিসোর্ট, চন্দ্রা বিটের কালামপুর এলাকার রাঙ্গামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট ও চন্দ্রার শিল্পী কুঞ্জ, কোকোলা ফুড প্রডাক্টস, কৌচাকুড়ি মৌজায় সিএস ৯৪২ নম্বর দাগে ১৫.০৫ একর বনভূমিতে ঘরবাড়ি বানিয়ে দখল করে রাখা হয়েছে। এসব বনভূমি উদ্ধার করতে বন বিভাগের পক্ষ থেকে ২০১৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে উচ্ছেদ মামলার প্রস্তাব দেওয়া হয়। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, গাজীপুরে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে হাজার হাজার একর বনভূমি জবরদখল হয়েছে। বন বিভাগ উচ্ছেদ মামলা করলেও নানা কারণে অভিযান এগোয়নি। বন বিভাগের পক্ষ থেকেও জোরালো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গত ১৭ এপ্রিল থেকে উচ্ছদ অভিযান শুরু হয়েছে। শ্রীপুর ও সদর উপজেলায় ৮.৭৯ একর বনভূমি উদ্ধার হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

বন বিভাগের বক্তব্য

বিবিএস কেবলের বনভূমি দখল প্রসঙ্গে শ্রীপুর ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান বলেন, বনভূমি দখলে বন বিভাগের নতুন যে তালিকা করা হয়েছে সেটিতে বিবিএস কেবলসও রয়েছে। সেখানে উচ্ছেদের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই উচ্ছেদ করে জমি পুনরুদ্ধার করা হবে।’

বনভূমি দখল প্রসঙ্গে ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুল হোসেন বলেন, এসব জমি অনেক আগে দখল হয়েছে। গত কয়েক বছরে নতুন করে কোনো দখল হয়নি। এরই মধ্যে বন বিভাগ নিজস্ব উদ্যোগে শতাধিক বিঘা জমি উদ্ধার করে বনায়ন করেছে। তা ছাড়া দখল করা জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। যৌথভাবে উচ্ছেদ অভিযানও শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব জমি উদ্ধার করে বনায়ন করা হবে।’

বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তার বলেন, দখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে উচ্ছেদ মামলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তালিকা ধরে উচ্ছদ কার্যক্রম চলছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’


আরও খবর



এবার অর্থনীতিবিদকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বানাচ্ছেন পুতিন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই শোইগুকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার স্থলাভিসিক্ত হতে যাচ্ছেন উপ-প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রে বেলোসোভ, যিনি একজন অর্থনীতিবিদ। তবে তার সামান্য সামরিক অভিজ্ঞতাও রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, রুশ প্রসিডেন্ট পুতিনের এই পদক্ষেপ ইঙ্গিত দিচ্ছে- রাশিয়ার অর্থনীতিকে তিনি তার যুদ্ধ প্রচেষ্টার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত করতে চাচ্ছেন।

এ বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, উদ্ভাবনের’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই একজন বেসামরিক ব্যক্তিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, জিডিপির একটি বড় অংশ সামরিকখাতে ব্যয় করার পর থেকে রাশিয়া অনেকটা ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ের সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো হয়ে উঠেছিল।

দিমিত্রি পেসকভ বলেন, সামরিক ব্যয়কে রাশিয়ার সামগ্রিক অর্থনীতির সঙ্গে আরও ভালোভাবে সংহত করার বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার। আর যে ব্যক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বেশি খোলামনের তিনিই যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়ী হবেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শোইগুর স্থলে নতুন কেউ আসার বিষয়টি তেমন আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছু নয়। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে শোইগুর অবস্থান বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমনকি এটাও শোনা যাচ্ছিল যে, তাকে পদচ্যুত করানো হতে পারে।

মূলত রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানে সামরিক বিপর্যয় এবং শক্তি ও সম্পদের বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এজন্য অনেকে শোইগুকেই দায়ী করে থাকেন।

এক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে একজন অর্থনীতিবিদ থাকাটা ক্রেমলিনের পরিবর্তিত অগ্রাধিকার নীতিরই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।

রাশিয়ার অর্থনীতি এখন যুদ্ধকালীন সময় পার করছে। তাই যুদ্ধের অর্থায়নের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যথেষ্ট অর্থ থাকা অত্যাবশ্যক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রুশ সরকারের এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে স্বাধীন রুশ ওয়েবসাইট দ্য বেল জানিয়েছে, বেলোসভকে রাষ্ট্রের একজন কঠোর রক্ষক হিসেবে দেখা হয়, যিনি বিশ্বাস করেন- রাশিয়া শত্রু দিয়ে ঘেরা।

পুতিনের মতো তারও রুশ অর্থোডক্স চার্চের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট পুতিনের মতো তিনি মার্শাল আর্টের ব্যাপারেও বেশ উৎসাহী। তরুণ বয়সে বেলোসভ কারাতেসহ বিভিন্ন খেলার অনুশীলন করতেন।

উপ-প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সহযোগী হিসেবে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন। এর আগে অর্থনৈতিক উন্নয়নমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০১৪ সালে রাশিয়া যখন ক্রিমিয়া অধিগ্রহণ করে তখন সেটাকে সমর্থন করার জন্য পুতিন একটি অর্থনৈতিক প্রতিনিধি দল গঠন করেছিলেন। বেলোসভ ওই দলের সদস্য ছিলেন।

অপরদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সেরগেই শোইগু। তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। পুতিনকে তিনি প্রায়ই নিজের জন্মভূমি সাইবেরিয়ায় মৎস্য শিকারে নিয়ে যেতেন।

তাদের ঘনিষ্ঠতা এমন পর্যায়ে ছিল যে, পূর্ব কোনও সামরিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও শোইগুকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্বে দিয়েছিলেন পুতিন। পেশাগত জীবনে শোইগু ছিলেন একজন প্রকৌশলী।


আরও খবর



তালতলীতে এইচএসসিতে ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনার তালতলী সরকারি কলেজে এইচএসসি পরিক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বাধ্যতামূলক করে অতিরিক্ত এই অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী শিক্ষাথীরা জানিয়েছে। ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।

জানা যায়, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি বিজ্ঞান শাখায় ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের নৈর্বাচনী বিষয়ে এবং চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয় প্রতি আরও ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। কিন্তু তালতলী সরকারী কলেজে কতৃপক্ষ বিজ্ঞান শাখায় ৩ হাজার ১০০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বছর এই কলেজ থেকে ২৯০ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করবেন।

এছাড়া অনিয়মিতি পরিক্ষার্থী আছে শতাধিক এর বেশি। ব্যবসায় ও মানবিক বিভাগে যাদের দুই বিষয়ে ব্যবহারিক আছে তাদের ২ হাজার ৪০০ টাকা ও এক বিষয়ের ব্যবহারিক ২ হাজার ২৬০ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও সেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নেওয়া হচ্ছে এই অতিরিক্ত টাকা। এই টাকা কোন কোনে ফান্ডে যায় তাও জানিয়েছেন কলেজ কতৃপক্ষ।

প্রতি শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত যে টাকা নেওয়া হচ্ছে তা শিক্ষক কল্যাণ ফান্ডে ১০০,উন্নয়ন ফান্ডে ১০০, মসজিদ ফান্ডে ১০০ ও ফরমের জন্য ১০০। বাকি টাকা কই যায় তা বলতে পারেনি তারা। এ দিকে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২ দুই হাজার ৮০০ টাকা আদায় করা হলেও কোনো রশিদ দিচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ।

তবে মুখ চেনা প্রভাবশালীদের কাছ থেকে কিছু কম টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সরকারী কলেজে এমন ফান্ড থাকতে পারে না । এই সব ফান্ড কলেজ শিক্ষকদের বানানো বলে অভিযোগ শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের।

কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের সাথে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারি ফি এর চেয়ে ৪শ থেকে সাড়ে ৫শ টাকা বেশি নিচ্ছেন। মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা শাখার জন্য প্রায় দুই হাজার ১২০  টাকা সরকার নির্ধারিত ফি থাকলেও শিক্ষকরা ২ হাজার ৮০০ টাকার নিচে নিচ্ছে না। এছাড়াও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য দুই হাজার ৬৮০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও তিন হাজার টাকার নিচে ফরম ফিলাপ করা যাচ্ছে না। কম দিতে চাইলে শিক্ষকরা মন খারাপ করেন।

তারা আরও বলেন, ফরম ফিলাপে জন্য শিক্ষকরা মাথা কাটা ফি আদায় করছে। ঋণ করে ছেলে-মেয়েদের ফরম ফিলাপ করিয়েছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

ফরম ফিলাপ কমিটির আহবায়ক ও সহযোগি অধ্যাপক আ. রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের থেকে সরাসরি টাকা নিয়ে ফরম ফিলাপ করা হচ্ছে। পরে আমরা তাদের টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে রশিদ দিয়ে দিবো।

তালতলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্র নাথ হাওলাদার বলেন, ফরম ফিলাপে শিক্ষার্থী প্রতি ২ হাজার ৮০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত টাকার চেয়ে যেটা বেশি নেওয়া হচ্ছে তা বিবিধ খরচ আছে। অন্য কলেজে তো ৫ হাজার টাকা নেয় তা তো আমরা করিনা।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুপমা বলেন, নির্ধারিত টাকার বাহিরে অতিরিক্ত কোনো ধরনের টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি


আরও খবর



ভারতের লোকসভা নির্বাচনে তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ১১ রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩ লোকসভা আসনের ভোট গ্রহণ চলছে। আজ মঙ্গলবার (০৭ মে) দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে; যা চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তৃতীয় দফার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি প্রার্থী। যাদের মধ্যে ১২০ জন নারী।

তৃতীয় দফার নির্বাচনে গুজরাটের ২৬টি, কর্নাটকের ১৪টি, মহারাষ্ট্রের ১১টি, উত্তর প্রদেশের ১০টি, মধ্যপ্রদেশের আটটি, ছত্তিশগড়ে সাতটি, বিহারের পাঁচটি, আসামের চারটি, পশ্চিমবঙ্গের চারটি, গোয়ার দুইটি, দাদরা অ্যান্ড নগর হাভেলি এবং দম অ্যান্ড দিউরের দুইটি আসনে ভোট গ্রহণ হবে।

আজকের ভোটের হেভিওয়েট প্রার্থীরা হলেন- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। মোদি সরকারের শীর্ষ মন্ত্রীরা ছাড়াও শরদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে এবং অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা পাওয়ারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আজ।

তৃতীয় দফার ভোটের মধ্যদিয়ে নির্বাচন কমিশন ২৮৪ লোকসভা আসনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করবে। আর চার দফায় বাকি থাকবে ২৫৯ আসন। ভোট বিশ্লেষকরা তৃতীয় দফার ভোটে উত্তরপূর্ব রাজ্য আসামের চার লোকসভার মধ্যে কোকরাঝড় ও ধুবড়ীর ভোটকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সাত দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয় গত ১৯ এপ্রিল। আর তা শেষ হবে আগামী১ জুন। নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে ৪ জুন।

এবার ২ হাজার ৬৬৬টি নথিভুক্ত রাজনৈতিক দল লোকসভা ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বহুজন সমাজবাদি পার্টির মতো জাতীয় রাজনৈতিক দল যেমন রয়েছে; তেমনই রয়েছে মমতার তৃণমূল, লালু প্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মতোর শক্তিশালী প্রাদেশিক দলও।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু টানেল সড়কে দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জন আহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল সড়কের আনোয়ারা প্রান্তে মাইক্রোবাস-সিএনজি অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালকসহ একই পরিবারের চার জন আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ১০ টার দিকে টানেল সড়কের বৈরাগ গোল চত্বরে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, সিএনজিচালক খোরশেদ আলম, মোহাম্মদ জামাল, রায়হান, শরীফ, ইয়াসমিন আকতার, মোহাম্মদ রায়হান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালে চট্র-মেট্রো (চ ৫১-১৪৪১) সিরিয়ালের নোহা মাইক্রোবাস গাড়িটি টানেলের পতেঙ্গা প্রান্ত থেকে আনোয়ারার বৈরাগ গোলচত্বর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজিও অটোরিক্সার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এতে সিএনজি অটোরিকশাসহ একই পরিবারের ৪ জন গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে আনোয়ারা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন, টানেল সড়কে দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। গাড়ি দুইটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।


আরও খবর