মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েও রাত পর্যন্ত শেষ হয়নি পঞ্চায়েত ভোটের গণনা। সর্বশেষ ফলাফলে জানা গেছে, ৬৩ হাজার ২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৩৬ হাজার ৬৬৫টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বিজেপি ৭২৬৫টিতে, বাম ফ্রন্ট ২৩৯৭টিতে, কংগ্রেস ১৮১১টিতে এবং আইএসএফ জয় পেয়েছে ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতে। অপর দিকে ৯৭৩০টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ২৩১৯টিতে তৃণমূল জয়ী হয়েছে। বিজেপি জিতেছে ১০৯টি এবং বাম ফ্রন্ট জিতেছে ৩৯টিতে।
এদিকে শাসকদল তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
গণনা শেষের আগেই সম্ভাব্য জয়ের শুভেচ্ছা বার্তা জানালেন গ্রামবাংলার মানুষকে। ফেসবুকে
একটি পোস্টারের ছবি দিয়ে মমতা লিখেছেন, ‘গ্রামবাংলায় পুনরায়
বিকশিত জোড়াফুল। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনাদের অভূতপূর্ব সমর্থন, অকুণ্ঠ ভালবাসা
এবং অপার আশীর্বাদে আমি তথা আমার গোটা তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার কৃতজ্ঞ। এই জয় আমার প্রণম্য
গণদেবতার জয়।
আরও পড়ুন<< ইউক্রেন ন্যাটোকে অধিক শক্তিশালী করবে : জেলেনস্কি
রাজ্যের ৬৩ হাজার ২২৯টি আসনে পঞ্চায়েত
ভোটের গণনা চলছে। ব্যালট পেপারে ভোট হওয়ায় পঞ্চায়েতে গণনার সময় লাগছে বেশি।
রাত ৯টা নাগাদ মমতা তার ফেসবুক পেজে ওই
পোস্টারের ছবি দেন। পোস্টারে মমতারই ছবি ছিল। হাত জোড় করা হাসিমুখের ছবি। তার পাশে
লেখা, সকল মা-মাটি-মানুষকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
ভোটে জয়ের পর মমতা প্রতিবারই তৃণমূলের
তরফে বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানান। গত ১২ বছরে এই নিয়ম কখনও বদলায়নি।
পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিনও তাই সেই ধারা বজায় রেখে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মমতা। কিন্তু
পার্থক্য শুধু, খাতা কলমে এখনও জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়নি তৃণমূলকে। যদিও গণনার ধারায়
স্পষ্ট, মমতা যা বলেছেন, ফল তার থেকে আলাদা হবে না। সম্ভবত সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই
আগাম জয়ের ঘোষণা করেছেন মমতা।
আরও পড়ুন<< আমরা ইউক্রেনকে ইতিবাচক বার্তা দেবো: ন্যাটো মহাসচিব
পোস্টারে তৃণমূলের তরফে মমতা বার্তা দিয়েছেন,
এই নির্বাচন আবার প্রমাণ করল, বাংলার মানুষের মনে এখনও তৃণমূল কংগ্রেসই আসীন।