ঢাকা থেকে আগামী
বছর ভাঙ্গায় ট্রেন চলাচল শুরু হবে। ২৬ মার্চ থেকে এই ট্রেন চালুর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন
খোদ রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। কোনো কারণে সেদিন এই রুটে ট্রেন চালু না হলে টার্গেট
করা হয়েছে জুনকে। আর ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথের পুরোটা ২০২৪ সালের
জুনে শেষ করার লক্ষ্যে হাঁটছে সরকার।
পদ্মা রেল সংযোগ
প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে এসে আজ রোববার দুপুরে মাওয়া সার্ভিস এলাকায় সাংবাদিকদের এসব
কথা বলেন রেলমন্ত্রী।
রেলমন্ত্রী সুজন
বলেন, ‘ঢাকা থেকে মাওয়া
অংশের কাজ হয়েছে ৫৫ শতাংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা ৭৮ শতাংশ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত
কাজ হয়েছে ৪৯ দশমিক ৫০ শতাংশ। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রকল্পের মূল কাজের ভৌত অগ্রগতি
হয়েছে প্রায় ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।’ তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে যশোর
পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার পুরোটা ২০২৪ সালের জুনে শেষ করার লক্ষ্য আছে।’
পদ্মা সেতুতে
রেললাইন বসানোর কাজে দেরি হচ্ছে কেন জানতে চাইলে রেলমন্ত্রী বলেন, যেহেতু আমাদের অগ্রাধিকার
প্রকল্প পদ্মা সেতু। তাই সেতুর সড়কপথ বেশি অগ্রাধিকার পাবে। তবে, জুনে সেতু চালু হওয়ার
পরে আগামী জুলাই মাসে আমাদের সেতুতে রেললাইন বসানোর অনুমতি দেবে।
টেকনিক্যাল সমস্যার
কারণে এত দিন সেতুতে রেললাইন বসানোর অনুমতি পাওয়া যায়নি’ উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘জুরাইন এলাকায়
পরিষেবা স্থানান্তর এবং টিটিপাড়ায় আন্ডারপাস নির্মাণকাজের জন্য সব মিলিয়ে একটু দেরি
হয়েছে।
পদ্মা মূল সেতুর ঠিকাদার চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড।