আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

পার্বতীপুরে সাড়া ফেলেছে পুতুল রানীর কেঁচো সার

প্রকাশিত:বুধবার ১২ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন দিনাজপুরের পার্বতীপুরের শ্রীমতি পুতুল রানী। শুধু পুতুল রানী নন, শিক্ষা পোদ্দার, সোনা রানী রায়সহ আশপাশের অনেকেই এ সার উৎপাদনে মনোযোগী হচ্ছেন। বর্তমানে এই গ্রামের প্রায় ১৫-২০ জন উদ্যোক্তা বাণিজ্যিকভাবে জৈব সার উৎপাদন করছেন।

কেঁচো সার উৎপাদন করে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের বড়হরিপুর পোদ্দার পাড়া গ্রামের শ্রীমতি পুতুল রানী কৃষকদের কাছে এখন পরিচিত নাম। তার তৈরিকৃত কেঁচো সার দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পুতুল রানীকে দেখে গ্রামের অনেক যুবক ও নারীরা এখন ঝুঁকে পড়ছেন বিষমুক্ত কেঁচো বা জৈব সার উৎপাদনে।

উদ্যোক্তা পুতুল রানী বলেন, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ দিয়ে যাচ্ছি এই কেঁচো সার বিক্রি করে। প্রতি কেজি সার ১৫-২০ টাকায় বিক্রি করা যায়। পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ, ফুলবাড়ী, চিরিরবন্দর, গ্রাম বিকাশ, পানের বহরসহ স্থানীয় কৃষকরাই এসব সার কিনে নেয়।

২০১৮ সালে তিনি স্থানীয় উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে কেঁচো সার ও কুইক কম্পোস্ট সার তৈরির প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে পুতুল রানী বাড়ির আঙিনায় দুটি রিংয়ে কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করেন। স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে গত ৬ বছর আগে ২টি রিংয়ে ৩০টি কেঁচো দিয়ে সার তৈরি শুরু করেন। তার খামারের নাম দিয়েছেন বড়হরিপুর সিআইজি মহিলা ফসল সমবায় সমিতি লিমিটেড

শ্রীমতি পুতুল রানী বলেন, কৃষি অফিসের পরামর্শে কেঁচো সার তৈরি শুরু করি। কেঁচো সার তৈরিতে ৩৫-৪০ দিনের মতো সময় লাগে। গোবরের মধ্যে কেঁচো ডিম দেয় এবং সেখান থেকেই কেঁচো জন্মে ৭ থেকে ৮টা। বর্তমানে কেঁচোর পরিমাণ প্রায় ৩০ লাখের উপরে। এখন কেঁচোর পরিমাণ বেশি হওয়ায় সময়ও কম লাগে।

তিনি বলেন, নেট (জাল) দিয়ে চালাই (ঝেড়ে) করে কেঁচো পৃথক করা হয়। প্রতিটি রিং থেকে প্রায় ৪০ কেজি কেঁচো সার হয়। আর প্রতিমাসে ৬০টি রিং থেকে ২০০০-২৪০০ কেজি সার হয়ে থাকে। প্রতি কেজি সার ১৫ টাকা দরে বিক্রি করে খরচ বাদে প্রতি মাসে প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা পেয়ে থাকে। এ ছাড়া প্রতি কেজি কেঁচো ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

পুতুল রানীর স্বামী কৃষক প্রভাষ রায় বলেন, আমরা দুই বিঘা জমি বর্গা নিয়ে সেই ক্ষেতে মরিচ, সরিষা, আলু, পোটল, শিম, কপি ও করলা উৎপাদন করি। এই সবজি উৎপাদনে এই সার ব্যবহার করি। এ বছর এক বিঘা জমির মরিচ বিক্রি করেছি ১ লাখ টাকা, আলু ৫০ হাজার টাকা, পোটল ৬০ হাজার টাকা, কপি ৫০ হাজার টাকা, শিম ১০ হাজার ও করলা ৩০ হাজার টাকা। এ থেকে বছরে আয় হয় ১ থেকে দেড় লাখ টাকা।

পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি বিভাগ গত রবিবার বিকেলে পুতুল রানীর কাছ থেকে ৩ হাজার ৭০০ কেজি কেঁচো সার কিনেছেন। গত মার্চ মাসে তিনি ৩৩ হাজার টাকার কেঁচো সার বিক্রি করেছেন।

পুতুল রানী বলেন, ইঁদুর, টিকটিকি ও আরশোলা যাতে কেঁচোকে খেয়ে নিতে না পারে এজন্য প্রতিটি রিং চট, ছালা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখি। নিয়মিত রিংয়ে রাখা গোবর উল্টে দেওয়াসহ আনুষঙ্গিক কাজে আমার স্বামী, ছেলে ও মেয়ে সহযোগিতা করে। এ কাজ করতে গিয়ে প্রথমে একটু ভয় হতো। ঠিকমতো খাবারও খেতে পারতাম না। কিন্ত এখন সে ধরনের সমস্যা আর নেই।

বড়হরিপুর পোদ্দার পাড়া গ্রামের ষষ্ঠি কুমার বাধন পোদ্দার বলেন, এ বছর কেঁচো সার দিয়ে ধান ও মরিচের আবাদ করেছি। ফলনও অনেক ভালো হয়েছে।

পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাকিবুজ্জামান বলেন, আমরা কৃষকদের রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে কম্পোস্ট সারের ব্যবহার বাড়াতে পরামর্শ দিয়ে থাকি। বর্তমানে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির মধ্যে কেঁচো সার উৎকৃষ্ট। এ সার জমিতে ব্যবহার করলে মাটি তার প্রাণ ফিরে পায়। উপজেলায় এনএটিপি প্রকল্পের আওতায় পুতুল রানীকে ১৬টি রিং, সেড, ৪ কেজি কেঁচো সার দিয়ে তৈরির কৌশল শেখানো হয়।


আরও খবর



জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি পলাশ খান, সম্পাদক শাওন বেপারী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে জাজিরায় অবস্থিত জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের নির্বাহী পরিষদ পুনঃগঠন ও মফস্বল সাংবাদিকতা বিষয়ক শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে উক্ত কমিটি ঘোষণা করা হয়।

দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি মো. পলাশ খানকে সভাপতি ও দৈনিক আজকের দর্পণের প্রতিনিধি শাওন বেপারীকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্যের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটির অন্যান্যরা হলেন - নির্বাহী সভাপতি জামাল মাদবর(দেশ২৪নিউজ), সহ-সভাপতি সাইদ আকন(দিন প্রতিদিন), মুহাম্মদ বরকত উল্লাহ্(বিডি স্টার টিভি ও ঢাকা ক্যানভাস) ও মানজারুল ইসলাম মিলন(দৈনিক মাতৃজগত), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম(দৈনিক কালবেলা), সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর মিয়া(দৈনিক খবরপত্র), দপ্তর সম্পাদক হানিফ বেপারী(দৈনিক দিনের কণ্ঠ), কোষাধ্যক্ষ রাসেদুল ইসলাম রিয়াদ(বাংলাদেশ সমাচার), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাকিল আহমেদ(আমাদের মাতৃভূমি), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাজিব মিয়া(আজকের দৈনিক)।

উক্ত কমিটির নির্বাহী সদস্যরা হলেন, মাহমুদুল হাসান, শাহিন আলম, দেলোয়ার মুন্সি, মেহেদি হাসান, আমিনুল ইসলাম বাবু এবং সদস্য জাফর আহমেদ, মো: মাহবুব আলম, মনির হোসেন ও শফিকুজ্জামান রুবেল।

জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন স্বপন খানের সভাপতিত্বে ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বুলেটের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি অনল কুমার দে।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী শিকদার, জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম লুনা, জাজিরা পৌরসভা মেয়র ইদ্রিস মিয়া, সহকারী কমিশনার(ভুমি) মো: আরিফুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদুল হাসান।


আরও খবর



ফারাক্কা বাঁধ মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফারাক্কা বাঁধ মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগামীকাল ১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস’ উপলক্ষে আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৬ মে ফারাক্কা দিবস’ আমাদের জাতীয় আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ থেকে ৪৮ বছর আগে অবিসংবাদিত মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে সারাদেশ থেকে লাখো জনতা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গা নদীর পানি আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক মিছিল লংমার্চে অংশ নেয়। ভারতে গঙ্গা নদীর ফারাক্কা পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ করে অভিন্ন নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার শুরু করা হয়। যার ফলে বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল আজ প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। ওই এলাকায় পানিসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে। জীববৈচিত্র ও পরিবেশগত মানকে বিবেচনা না করে এবং প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ভারতকে কয়েক দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। কিন্তু সেই বাঁধ অব্যাহতভাবে আজ পর্যন্ত চালু আছে। এই বাঁধ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, তৎকালীন আওয়ামী সরকারের কারণে এ দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত। এই বঞ্চনা ও দেশের প্রকৃতির বিপর্যয়ে জনদুর্দশারআশংকায় প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানী জনগণকে সাথে নিয়ে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক মিছিল করে ভারত সরকারের নিকট প্রতিবাদ করেন এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিকট বিষয়টি তুলে ধরেন। তখন থেকে ব্যাপক মানববিপর্যয় সৃষ্টিকারী ফারাক্কা বাঁধের বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিসরে আলোচিত হতে থাকে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি মনে করি আজও ফারাক্কা দিবসের তাৎপর্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। আন্তর্জাতিক আইন—কানুন ও কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীতে একের পর এক বাঁধ নির্মাণে নদীর ধারাকে বাধাগ্রস্ত করে একতরফা নিজেদের অনুকুলে পানি প্রত্যাহার বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ নিষ্ফলা উষর ভূমি হয়ে উঠার আলামত ইতোমধ্যেই ফুটে উঠেছে।’


আরও খবর



৬৯ হাজার রোহিঙ্গা পাসপোর্ট নবায়নে সৌদির তাগিদ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যাওয়া ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিকের পাসপোর্ট নবায়ন করতে তাগিদ দিয়েছে সৌদি সরকার বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর নিকুঞ্জে হোটেল লা মেরিডিয়ানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সৌদি আরবের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা নাগরিকদের পাসপোর্ট নবায়নের বিষয়ে সাংবাদিকদের সৌদি সরকারের তাগিদের কথা জানান। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ১৯৭৪ সালের দিকে সৌদি আরবে যাওয়া ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পাসপোর্ট নবায়ন করবে বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের একটি চুক্তি হয়েছিল। কারণ, ১৯৭৪ সালের পর ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে দেশটিতে যায়। নিয়ম অনুযায়ী তাদের ওই দেশে কেউ কাগজপত্র ছাড়া থাকতে পারে না। সৌদি আরবে অবস্থান করা ৬৯ হাজার রোহিঙ্গার বাংলাদেশি পাসপোর্টের নবায়ন নেই। আমাদের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ওই সব রোহিঙ্গাদের তারা বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না। আমরা রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়ন করে দিব। এ বিষয়ে আমরা স্লো যাচ্ছি কেন কিংবা আমাদের কোনো অসুবিধা আছে কি-না সেটা দেখার জন্য তারা এসেছিলেন। এছাড়াও সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমাদের উভয় দেশের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আলাপ হয়েছে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব কিন্তু ৬৯ হাজার রোহিঙ্গার কাউকে ফেরত পাঠাবে না। আবার তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বও দেবে না। তবে কীভাবে থাকবে? সেজন্য তাদের কিছু ডকুমেন্টস প্রয়োজন। সে সববিষয়ে সরাসরি কথা বলতে তারা এসেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, সৌদিতে থাকা ৬৯ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে দেশটিতে গিয়েছিল। সুতরাং আমরা শুধু তাদের পাসপোর্ট রিনিউ করে দিব। তাদের নাম-ঠিকানা পাসপোর্টে যেমন আছে তেমনি থাকবে।

সৌদি আরবের প্রতিনিধিদল উভয় দেশের মধ্যে বন্দী বিনিময় চুক্তির বিষয়ে প্রস্তাব করেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সৌদি যদি এই চুক্তি করে তবে ভাল হবে। বাংলাদেশ থেকে তাদের সিকিউরিটি গার্ডের জন্য আনসার পাঠানোর কথা বলেছি। এ বিষয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবেন।


আরও খবর



ইরাকি জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরাকি জনপ্রিয় টিকটক তারকা ওম ফাহাদকে গত রাতে বাগদাদের পূর্বাঞ্চলীয় জাইউনা জেলায় নিজ বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। টিকটকে তার হাজার হাজার অনুসারি রয়েছে। খবর আল জাজিরা

নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, শুক্রবার রাতে কালো পোশাক ও হেলমেট পরা একদল লোক মোটরবাইকে করে এসে কিছুটা পথ হেটে একটি কালো রংয়ের এসইউভি গাড়িতে গুলি চালায়। ওই গাড়িতেই টিকটক তারকা ওম ফাহাদ বসে ছিলেন।

ইরাকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাকে হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওম ফাহাদের প্রকৃত নাম গুফরান সায়াদি, টিকটকে তার অর্ধ মিলিয়ন অনুসারি রয়েছে। পপ মিউজিকের সঙ্গে নেচে ভিডিও তৈরি করে সেগুলো টিকটিকে শেয়ার করতেন তিনি। তার তৈরি ভিডিওতে শালীনতা নষ্ট করে এমন বক্তব্য এবং জনসাধারণের নৈতিকতা ভঙ্গের দায়ে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। যদিও তার ভিডিওগুরো ১০ লাখের অধিক ভিউ হয়েছে।

ওই সময়ে পাঁচ কনটেন্ট ক্রিয়েটরকেও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়। ওম ফাহাদের ওই ধরনের অশালীন ভিডিও তৈরি ইরাকি সমাজ এবং পারিবারিক সংস্কৃতিতে কতটা প্রভাব পড়ে তা জানার জন্য ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় একটি কদন্ত কমিটি গঠন করে।

ওম ফাহাদের মতো ইনফ্লুয়েঞ্জারকে হত্যার মতো ঘটনা এটাই প্রথম নয়, দেশটিতে অনলাইনে মুক্তমত প্রকাশের ক্ষেত্রে ব্যাপক কঠোরতা রয়েছে। এটি দিন দিন বাড়ছে। এর আগেও ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ২৩ বছর বয়সী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া ২০২৮ সালে ২২ বছর বয়সী মডেল ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েঞ্জার তারা ফারেজকেও বন্দুকধারীরা হত্যা করে।

ইরাকে অনার কিলিং (সম্মান রক্ষার্থে হত্যা) এর মতোও ঘটনা রয়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে ২২ বছর বয়সী ইউটিউবার তিবা আল আলীকে তার বাবা শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।


আরও খবর



সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল গতকাল মঙ্গলবার। তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে হুট করে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নবনির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাসের সভাপতি রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু।

মানববন্ধনে অবিলম্বে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা। এর সঙ্গে জড়িত অভিনেতা জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বো-কে সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ অন্যান্য শাস্তির দাবিও জানান।

বক্তরা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদেরকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?

এদিকে ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

১০ জনের তদন্ত কমিটিতে আছেন সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না।


আরও খবর