আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

অস্ত্রের গবেষণাগারে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় রাশিয়ার আগ্রাসন। এরপর থেকেই সামরিক সহায়তা হিসেবে দেশটিতে শত শত কোটি ডলারের অস্ত্র, গোলাবারুদ পাঠিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এখন বলছে, এক বছরে ইউক্রেনের যুদ্ধের ময়দান পরিণত হয়েছে অস্ত্রের গবেষণাগারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মার্কিন সমরাস্ত্রের সঙ্গে নিজস্ব উদ্ভাবনী কৌশলও প্রয়োগ করছে ইউক্রেনের বাহিনী। সেগুলো মুগ্ধ করছে পশ্চিমা কর্তাব্যক্তিদের।

যেমন- অভিনব এক সফটওয়্যার তৈরি করেছে ইউক্রেন। সে সফটওয়্যারটি আশপাশে বিদ্যমান কম্পিউটার, ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোনকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। রিয়েলটাইমে খুঁজে দেয় শত্রুপক্ষকে। এখন গোটা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এর সুফল ভোগ করছে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তারা খুঁজে বের করছে শত্রুদের। মার্কিন কর্মকর্তারাও বলছেন, সফটওয়্যারটিকে কাজে লাগিয়ে রুশ লক্ষ্যে সুনিপুণভাবে আঘাত হানতে পারছে ইউক্রেনের সেনারা।  শুধু এই সফটওয়্যার নয়। আরও অনেক কিছু নিজেদের প্রয়োজন মাফিক তৈরি করে নিয়েছে ইউক্রেনের সেনারা। এ রকম সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- ছোট প্লাস্টিক ড্রোন। যা মাথার ওপর শব্দ করে উড়ে বেড়ায় এবং রাশিয়ার ওপর গ্রেনেড ফেলে আসে। 

এ ছাড়াও ভারী যন্ত্রাংশ মেরামতে সেনারা যুদ্ধক্ষেত্রে বসেই বাড়তি যন্ত্রাংশ তৈরি করে নিচ্ছে থ্রিডি প্রিন্টারের সহায়তায়। তারা সাধারণ পিকআপ ট্রাককে পরিণত করেছে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বাহনে। এমনকি মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে পুরোনো সোভিয়েত যুদ্ধবিমান মিগ-২৯ এর সঙ্গে জুড়ে নেওয়া যায়, সে উপায়ও বের করেছেন ইউক্রেনীয় প্রকৌশলীরা। এরই বদৌলতে যুদ্ধের ৯ মাস পরেও আকাশে দাপটের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের বাহিনী। জলেও থেমে নেই ইউক্রেন। সেখানেও নিজস্ব জাহাজ-ধংসকারী অস্ত্র নেপচুন তৈরি করে নিয়েছে দেশটির বাহিনী। এই অস্ত্রগুলো রাশিয়ার রণতরিতে প্রায় দুইশ মাইল দূর থেকে আঘাত হানতে পারে। ইউক্রেনের এই অভিনব প্রচেষ্টা মার্কিন কর্মকর্তাদের আকৃষ্ট করেছে। তারা কিয়েভের এ সক্ষমতাকে দেখছেন যুদ্ধক্ষেত্রের ম্যাকগাইভার সমাধান হিসেবে। এগুলো একদিক থেকে ইউক্রেনকে যুদ্ধক্ষেত্রে সহায়তা করছে। আরেক দিক থেকে পশ্চিমা অস্ত্রসম্ভারের যে ফাঁকফোকর আছে, তা ঘুচিয়ে দিচ্ছে।

মার্কিন কর্মকর্তা এবং বিশ্লেষকরা এখন বলছেন, ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রের গবেষণাগারে পরিণত হয়েছে। যেখানে সস্তা এবং কার্যকরী সমাধানের নমুনা দেখা যাচ্ছে হরহামেশাই। সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের আন্তর্জাতিক সুরক্ষা কর্মসূচির পরিচালক সেথ জোনস বলছেন, তাদের উদ্ভাবন অবিশ্বাস্যভাবে আকর্ষণীয়।  

আরও একটি দিক থেকে পুরো বিষয়টি মনোযোগ কাড়ছে বিশেষজ্ঞদের। তা হলো- ইউক্রেনের বদৌলতেই প্রথমবারের মতো অনেক অস্ত্র হাতেনাতে ব্যবহার হতে দেখা যাচ্ছে। অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতিও ধরা পড়ছে। পশ্চিমা গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র এ প্রসঙ্গে বলেন, এটি বাস্তব বিশ্বের যুদ্ধপরীক্ষা।  ইউক্রেন যুদ্ধের বরাতে নিজেদের বিভিন্ন অস্ত্র ও ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রচুর তথ্য-উপাত্ত পাচ্ছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। এসব তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে অনেক কিছুই নতুন আলোতে দেখছে তারা। যেমন- ইউক্রেনকে সুইচব্লেড ৩০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যার মূল কাজ- শত্রুর রাডার ব্যবস্থায় আঘাত হানা। কিন্তু পরে দেখা গেল, যতটা ভাবা হয়েছিল, ততটা কার্যকরী নয় এটি।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম১৪২ রকেট লঞ্চার বা হিমারস ইউক্রেনের সফলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এসব অস্ত্র ব্যাপকভাবে ব্যবহারে কী পরিমাণ সারাইয়ের প্রয়োজন পড়ে, সে সম্পর্কে পোক্ত একটি ধারণা পেয়েছেন মার্কিন কর্তাব্যক্তিরা।  যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলছেন, ইউক্রেন নিজেদের স্বল্পসংখ্যক হিমারস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে যেভাবে রুশ সেনাদের ওপর ধ্বংসলীলা চালিয়েছে, তা নিয়ে সামরিক নেতারা বছরের পর বছর গবেষণা করবেন।

ঠিক একইভাবে এম৭৭৭ হাওয়িটজারের কার্যকারিতা সম্পর্কেও ভালো ধারণা পেয়েছেন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা। স্বল্প সময়ের মধ্যে বেশি গোলা ছুড়ে ফেললে নিজের রাইফেলিং ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে অস্ত্রটি।  ইউক্রেন যুদ্ধকে কাজে লাগিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা ঠিকাদাররাও। তারা এ সুযোগে নিজেদের অস্ত্র নিয়ে গবেষণা করছেন। পাশাপাশি চলছে সেগুলোর প্রচারণাও। অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিএই সিস্টেমস বলছে, রাশিয়ার সেনাদের সফলভাবে কামিকাজে ড্রোনের ব্যবহার তাদেরকে নতুন ঘরানার সাজোয়াঁ যান তৈরির ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছে। যা সেনাদেরকে মাথার ওপরের এ ধরনের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে পারবে।


আরও খবর



উদ্ধার হয়েছে লাইনচ্যুত যমুনা এক্সপ্রেস

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনগামী যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুতের ঘটনায় ৩ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটির উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে সকাল ৮টা ৫ মিনিটে ঢাকার কারওয়ান বাজারে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। ফলে ঢাকার কমলাপুরের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল আপাতত এক লাইনে সামলাতে হচ্ছিল।

মাসুদ সারওয়ার বলেন, লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেনটির উদ্ধার কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: যমুনা এক্সপ্রেস

আরও খবর



বাংলাদেশি জাহাজ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ৮ জলদস্যু গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ৮ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুক্তিপণ পাওয়ার পর শনিবার (১৩ এপ্রিল) ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেয় দস্যুরা।

সোমালিয়ার সংবাদমাধ্যম গ্যারোয়ে অনলাইন জানিয়েছে, জাহাজটি মুক্তি পাওয়ার পরপরই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পুন্টল্যান্ডের পূর্ব উপকূল থেকে দস্যুদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুন্টল্যান্ডের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের জিম্মির সঙ্গে জড়িত এই ৮ দস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের কোনো অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে কি না সে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি।

এদিকে, ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দুই দস্যু জানিয়েছে, দুই দিন আগে মুক্তিপণ হিসেবে তাদের ৫০ লাখ ডলার দেওয়া হয়। এই অর্থগুলো নকল কি না পরবর্তীতে সেটি যাচাই-বাছাই করে তারা। এরপর নিজেদের মধ্যে অর্থগুলো ভাগ করে তারা জাহাজ থেকে চলে যায়।

মুক্তিপণের মাধ্যমে জাহাজ ছাড়িয়ে নেওয়ার বিষয়টি দস্যুদের আরও জাহাজ ছিনতাইয়ে উদ্বুদ্ধ করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পুন্টল্যান্ডের এক পুলিশ কর্মকর্তা।

গত তিন মাস ধরে ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দস্যুরা সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-শাবাবের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সোমালিয়ার সরকার। দস্যুতা বন্ধ করতে জলদস্যুদের গ্রেপ্তার এবং তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। গত ১৭ এপ্রিল সোমালি দস্যুদের কাছ থেকে এমভি রুয়েন নামের একটি জাহাজ উদ্ধার করে ভারতীয় নৌবাহিনী। জাহাজটি উদ্ধারে তারা কমান্ডো অভিযান পরিচালনা করে।

বাংলাদেশি জাহাজটিও মুক্ত করতে ভারতীয় নৌবাহিনী সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু নাবিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এতে সম্মতি দেয়নি বাংলাদেশ সরকার। এর বদলে আলোচনার মাধ্যমে নাবিকদের ফিরিয়ে আনার পথ অনুসরণ করা হয়। এতে করে সব নাবিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কয়লা নিয়ে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালি দস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। এটির মালিক কবির রি রোলিং মিলস। ওই সময় জাহাজটিতে ২৩ নাবিক ছিলেন।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে ডিবিতে ডাকা হয়েছে: হারুন

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান গ্রেফতার মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। শনিবার (৪ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তার স্ত্রীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।

তিনি বলেন, নিজের বাবাকে পিটিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে মিল্টন সমাদ্দার সাইকোতে পরিণত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে সেসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তার উত্থান কীভাবে হলো, তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা কীভাবে হলেন, তার অর্থের উৎস কীভাবে আসে, কীভাবে সে দরিদ্র মানুষকে সংগ্রহ করতো এবং কেনই বা তাদেরকে টর্চার সেলে এনে পেটাতেন সবকিছুর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মিল্টন কীভাবে অর্থ উপার্জন করতেন এবং কারা তাকে সহয়তা করতেন তাদেরকেও শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

মিল্টন সমাদ্দারের তিন-চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। সেসব অ্যাকাউন্টে কারা টাকা পাঠাতেন তদন্ত করে জানানো হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ। গত বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা-মিরপুর বিভাগ।

পরে রাতে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। সেসব মামলায় আদালতে সোপর্দ করলে মিল্টনকে তিন দিনের রিমান্ড দেন আদালত।

সম্প্রতি কিছুদিন ধরে মিল্টনের বিরুদ্ধে নানা প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মিল্টন ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরই মধ্যে তার সঙ্গে কাজ করা এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকজন তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন।


আরও খবর



পুলিশের মধ্যস্থতায় সড়ক ছাড়লেন পোশাক শ্রমিকরা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনানীতে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিয়েছেন শ্রমিকরা। মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য তারা অপেক্ষা করছেন। এর আগে বিনা নোটিশে সৈনিক ক্লাবের সামনে গার্মেন্টস বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা।

পরে সকাল ১১টার পর পুলিশের মধ্যস্থতায় সড়ক ছেড়ে দেন শ্রমিকরা। তারা মালিকপক্ষের সঙ্গে সমঝোতার জন্য অপেক্ষা করছেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, বিনা নোটিশে নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ কারণে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এদিকে সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিলেও এর প্রভাব পড়েছে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় সব সড়কে। এই সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

পুলিশ বলছে, গাড়ির চাপ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলে সড়কে যানজট থাকবে না।

এ বিষয়ে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাহান হক বলেন, নেপারেল গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ করেন শ্রমিকরা। তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এখন সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে। যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে।

তিনি বলেন, আমরা গার্মেন্টসটির মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আসবে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বনানী সড়ক অবরোধের কারণে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর সড়ক পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে যারা এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন তাদের ভোগান্তি আরও বেশি।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিটস্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র দাবদাহ পুড়ছে সারাদেশ। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা ও পাবনায় হিটস্ট্রোকে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

আজ শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলেও দাবি করছে দপ্তরটি।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ঠাকুরপুর গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোকে জাকির হোসেন (৩৩) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃত জাকির হোসেন দামুড়হুদার কুড়ালগাছি ইউনিয়নের ঠাকুরপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তিনি ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী ছিলেন।

তাছাড়া আজ শনিবার পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা পাবনা জেলায় চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এদিন তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন একজন। শনিবার দুপুরে পাবনা শহরের রুপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন তিনি। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত সুকুমার দাস (৬০) পাবনার শহরের শালগাড়িয়া জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।


আরও খবর