দু’বছরও বয়স হয়নি মেয়ের। তাকে ঘরে রেখে সাফল্যের
পিছনে ছুটে বেড়ানো কঠিন কাজ বলেই মনে করেন শ্রিয়া সরণ। সম্প্রতি ‘দৃশ্যম ২’-এ অভিনয়ের জন্য প্রশংসা পেয়েছেন। তবে
সেই কাজের পিছনেও যে কত বড় আত্মত্যাগ রয়েছে জানালেন অভিনেত্রী।
অন্তঃসত্ত্বা
হওয়ার পর কাউকে কিচ্ছু জানাননি শ্রিয়া। সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, তার পরই মা হওয়ার কথা
ঘোষণা করেছেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিনেত্রী জানান, তখন কাজের দরকার ছিল। গর্ভে
সন্তান রয়েছে জানলে ইন্ডাস্ট্রি তাঁকে কাজ দিত না।
এখন সে সব অধ্যায়
প্রকাশ্যে আনতে দ্বিধা করেন না শ্রিয়া। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বললেন, অনেক রকম ভয়
কাজ করে। যে কারণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর আমি কাউকে জানাইনি। নিজের সময় কাটাতে চেয়েছিলাম।
ব্যক্তিগত রাখতে চেয়েছিলাম সেই পর্ব। রাধাকে গর্ভে ধারণ করার শেষ ৬ মাস আমাকে মোটা
দেখিয়েছে। তা নিয়ে লোকের সন্দেহ হোক, চর্চা হোক আমার কিছু আসে যায়নি। কারণ, আমার কাছে
একমাত্র গুরুত্ব ছিল আমার সন্তান। কিন্তু আর একটা বড় কারণ— কাজ। যেই বলতাম আমি অন্তঃসত্ত্বা, ধরেই
নেওয়া হত, এখন কাজে ফিরতে অনেক দেরি।
শ্রিয়া আরও জানান,
পর্দায় চেহারা ঠিক রাখার চাপ তাড়া করে বেড়ায় অভিনেতাদের। নির্দিষ্ট মাপকাঠি অনুযায়ী
চেহারা ধরে না রাখলে মেয়েদের তো খুবই মুশকিল। কিন্তু সন্তান প্রসবের পর যত্নের প্রয়োজন
হয়। শ্রিয়া বলে চলেন, নারীরা সংসার সামলালে পুরুষরা যেমন কাজে যেতে পারেন, তেমনই নারীদের
কাজে ফেরার জন্যও পরিবারের সহযোগিতা জরুরি। সব ঝড়ঝাপটা কাটিয়ে আবার ছবি করতে পেরেছেন
শ্রিয়া, পরিবার পাশে ছিল বলেই।
মেয়ে রাধা যখন
প্রথম বার ‘মা’ বলে উঠেছে, বাড়িতেই
ছিলেন না শ্রিয়া। ছুটে আসেন শুনেই। কিন্তু তখন শিশুকন্যা একদম চুপ। সেই আক্ষেপ ভুলতে
পারেন না এখনও। কিন্তু পরে ন্যানির মুখে শোনেন, মেয়ে বসে বসে টিভিতে মায়ের ছবি দেখে।
আনন্দে হেসে ওঠে। এতেই বুক ভরে যায় শ্রিয়ার।
অন্য দিকে, তাঁর
স্বামী আন্দ্রেই কোসচিভও নিজের কাজের জগতে ব্যস্ত। রাশিয়ান এই টেনিস খেলোয়াড় কিন্তু
ব্যবসাও সামলান। দু’টিতে যখন একসঙ্গে
হন, কথা হয় সব কিছু নিয়েই। সব জল্পনা, কটূক্তি হেসে উড়িয়ে দেন দু’জনে।