বিএনপি ও জামাতের ডাকা সর্বাত্মক অবরোধে পিরোজপুরে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। মঙ্গলবার জেলার অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক রুটে বাস চলাচল করেছে। পিরোজপুর কেন্দ্রীয় বাসষ্ট্যান্ড থেকে খুলনা-বরিশালসহ বিভিন্ন জেলায়ও বাস চলাচল ছিল স্বাভাবিক। পিরোজপুরের হুলারহাট লঞ্চঘাট থেকে বিকেলে যথারীতি লঞ্চ ছেড়ে গেছে ঢাকার উদ্দেশ্যে।
এদিকে, অবরোধের বিরুদ্ধে দিনভর সড়কে সক্রিয় ছিল জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় তারা মিছিল-সমাবেশ করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিলো কড়া অবস্থানে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে নাশকতা ঠেকাতে পিরোজপুরে বিভিন্ন স্থানসহ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। এতে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ, মৎস্যেজীবী লীগ, যুবলীগ, শ্রমীকলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান ফুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোপাল বসু, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মো. কামরুজ্জামান খান শামীম, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক সিকদার চাঁন, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিক ও সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের জেলা ও উপজেলা, কলেজ শাখা ও পৌর ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এর নির্দেশে পিরোজপুর-১ আসনের তিনটি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেয়।