বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক ভিডিওবার্তায় র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আপনারা জানেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষা করতে র্যাব ফোর্সেস সার্বিকভাবে নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, দেশব্যাপী নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়নের তিন শতাধিক টহল সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি আমরা আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রেখেছি। কেউ যদি কোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতার পরিকল্পনা করে তাকে সাথে সাথে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব ফোর্সের স্পেশাল টিম ও স্ট্রাইকিং রিজার্ভ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এভাবে যেকোনো সহিংসতা ও নাশকতা রোধে র্যাব ফোর্সেস সার্বক্ষণিক মাঠে নিয়োজিত থাকবে। আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দুষ্কৃতকারীরা, সন্ত্রাসীরা নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা এই ধরনের কাজ করেছে সিসিটিভি ফুটেজ ও গণমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে র্যাব।
সাইবার ওয়ার্ল্ডে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে আমরা সাইবার ওয়ার্ল্ডে নজরদারি বৃদ্ধি করেছি। বিভিন্ন সময়ে আমরা দেখেছি সাইবার ওয়ার্ল্ডে অনেকেই বিভিন্ন উসকানিমূলক পোস্ট দিচ্ছে। ভয়ভীতি দেখাতে বিভিন্ন ভিডিও এডিট করে জনমনে আতংক সৃষ্টির লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন ভিডিও তৈরি করে শেয়ার করছে। এই স্বার্থান্বেষী মহল ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে র্যাব।
রোববার (২৯ অক্টোবর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আগামী ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর এ কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
রিজভী বলেন, সারাদেশে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী কারাগারে বন্দি। অনেকেই গুম খুন হয়েছেন। আমাদের নেত্রী, গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়া মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। বিদেশে তাকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না। তাকে সুচিকিৎসা বঞ্চিত করা হয়েছে। তার মুক্তির জন্য, দেশের সীমাহীন বঞ্চনা, অব্যাহত দুর্নীতি লুটপাট, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেফতার, নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে তল্লাশির নামে ভাঙচুরের প্রতিবাদে ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। রেলপথ, নৌপথ, রাজপথ সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
এদিকে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পরেরদিন সোমবার জামায়াতে ইসলামীও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর এই কর্মসূচি পালন করবে তারা।