আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

অবাঞ্ছিত ঘোষণার পর শাবি ভিসির বাসভবন ঘেরাও

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবিতে তার বাসভবন ঘেরাও করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করেই দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী বিকেল সোয়া চারটার দিকে তার বাসভবন ঘেরাও করে।

এদিকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভিসির বাসভবনসহ ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছ। সেই সঙ্গে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আর শিক্ষার্থীরা এ সময় ভিসির বাসভবনের সামনে ফুল নিয়ে আসেন পুলিশকে দিতে। তারা ফুল নিয়ে পুলিশকে চলে যেতে বলেন এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা না দেওয়ার আহ্বান জানান।

এ সময় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা (ডিসি) মোহাম্মদ আজবাহার আলী শেখ বলেন, 'আমরা প্রশাসনের নির্দেশে এখানে শান্তিপূর্ণভাবে দায়িত্ব পালন করছি। শিক্ষার্থীরা শান্তি থাকলে আমরাও শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করব। আমরা অহেতুক শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হতে চাই না'।

এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি আন্দোলনের অংশ হিসেবে সব প্রশাসনিক ভবন এবং একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তারা।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুর পৌঁনে তিনটার দিকে প্রশাসনিক ভবন-১, প্রশাসনিক ভবন-২, একাডেমিক ভবন বি এবং একাডেমিক ভবন ডিতে তালা দেওয়া হয়। এর আগে প্রথম ছাত্রীহল, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল, ছেলেদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং সৈয়দ মুজতবা আলী হলে তালা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে তারা বলেন, যে কোন পরিস্থিতিতে আমরা হল ও ক্যাম্পাস ছাড়ব না। যতক্ষণ না স্বৈরচার উপাচার্য পদত্যাগ করতেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলনের মাঠে থাকব। পাশাপাশি ভিসির পদত্যাগের জন্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য মো. আব্দুল হামিদ বরাবর স্মারক লিপি দেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে উপাচার্যের পাশাপাশি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় প্রক্টর ড. আলমগীর কবীর, ছাত্র উপদেষ্টা ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদেরও পদত্যাগ চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা।


আরও খবর



মুক্তিপণের বিষয়ে কথা না বলতে অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে : জাহাজের মালিকপক্ষ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নানা উৎকণ্ঠার পর অবশেষে মুক্ত হয়েছেন সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিক। বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের একটি বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

এদিকে উদ্ধারের পরপরই জাহাজ মুক্ত করতে দস্যুদের কত টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে এবং কীভাবে এসব টাকা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন ওঠে। এ বিষয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় কেএসআরএমের কর্পোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয় মালিকপক্ষকে।

এ বিষয়ে কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, আমি উদ্ধার প্রক্রিয়া হ্যান্ডেলিংয়ের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে মনোনীত প্রতিনিধি। আমাদের সঙ্গে ওদের কনফারেন্সিয়াল অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে মুক্তিপণের বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। সেই অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী আমি আপনাদের সঙ্গে কিছু শেয়ার করতে পারব না। কারণ এটা আমি সই করেছি। উদ্ধার প্রক্রিয়ায় আমরা আমেরিকান নিয়ম মেনেছি এবং ইউকে (যুক্তরাজ্য) ও সোমালিয়ার নিয়ম মেনেছি। ফাইনালি কেনিয়ার নিয়মও মেনেছি। সবার সঙ্গে আমাদের অ্যাগ্রিমেন্ট করা আছে এ বিষয়ে আলোচনা না করার জন্য। তবে আমি আবার বলি, আমরা সবকিছু আইন মেনে করেছি।

তবে এ বিষয়ে জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর উড়োজাহাজ থেকে ডলারভর্তি ৩টি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে ওঠে দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে তারা আশেপাশে কেউ আটক করছে কি না সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজটি থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর



বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় এক নারীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত অভিযানে রুমা উপজেলা সদরের কাছাকাছি গির্জাপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন, গির্জাপাড়ার তরুণী লালরিন ত্লোয়াং বম (২০), যুবক ভাননুয়াম বম (৩৭) ও ভানলাং থাং বম (৪৫)।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, গ্রেপ্তার তিনজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিবিধির তথ্য প্রদানকারী এবং ব্যাংক ডাকাতিতে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

ব্যাংক ডাকাতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপপরিদর্শক মদন মিয়া আসামিদের আদালতে পাঠানোর প্রতিবেদনে বলেছেন, ওই তিনজনকে যৌথ অভিযানে সেনাবাহিনী আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাঁদের সবার বাড়ি গির্জাপাড়ায়। তিনজনকেই ব্যাংক ডাকাতি, পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা চলমান সমন্বিত অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিবিধি কেএনএফের কাছে আদান-প্রদান করেন বলে স্বীকার করেছেন। তা ছাড়া রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ ও পুলিশ-আনসারের অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহ রয়েছে।

গত ২ এপ্রিল রাতে রুমার সোনালী ব্যাংক ও পরেরদিন দুপুরে থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায় কেএনএফ। রুমার সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটের চেষ্টা করলে টাকা নিতে না পেরে ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে। এ সময় পাহারায় থাকা পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় কেএনএফ। তবে ৩ এপ্রিল থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালিয়ে ১০ লক্ষাধিক টাকা লুট করে নেয় পাহাড়ের এই সশস্ত্র গোষ্ঠী। এ ঘটনার পর থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনী সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করছে।


আরও খবর



শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ভেতরে বাস, প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালে বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ভেতরে ঢুকে যায়।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী নামে সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র একজন ইঞ্জিনিয়ার নিহত হয়েছেন। তিনি সিদ্দিকী সিভিল অ্যাভিয়েশনের জ্যেষ্ঠ উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস জানান, সকাল ১০টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিভিল অ্যাভিয়েশনের জ্যেষ্ঠ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলটিকে বাসটি চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর জড়িত বাসচালক, হেলপার পালিয়ে গেছে। তবে বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর



দু’দিন ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্র ও শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। এই অবস্থায় স্বস্তির খবর দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী দুদিন দেশের বেশকিছু অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার (৩ দিন) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙামাটিতে, ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় রোববার সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে সামান্য বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বর্তমানে রংপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে, আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে এই সময়ে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া একই সময় পর্যন্ত সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

অন্যদিকে, বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তবে এই সময়েও বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এই সময়ে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর, দূষিত শহরের তালিকায় সপ্তম

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ে নেই স্বস্তির খবর। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থাতে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তবে সবচেয়ে বেশি দূষণ থাইল্যাণ্ডের চিয়াং মাই শহরের বাতাস।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৩ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর বায়ু হিসেবে বিবেচিত। ২৬২ স্কোর নিয়ে বায়ু দূষণের র্শীষে রয়েছে থাইল্যাণ্ডের চিয়াং মাই শহর। ২১১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ভারতের দিল্লি শহর। এছাড়া ২০৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।


আরও খবর