আজঃ বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে যেতে চাই বহুদূর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী

Image

বর্তমানে দেশের মুদ্রিত সংবাদপত্র এক কঠিন সময় পার করছে। কারণ ছাপার কাগজ ও ছাপার সামগ্রীর দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে পত্রিকা চালানো অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন অনেক বড় বড় পত্রিকারও সার্কুলেশন কমিয়ে ফেলেছে। আমাদেরও কমাতে হচ্ছে। কারণ কাগজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে, বেড়েছে প্লেটসহ অন্যান্য সামগ্রীরও দাম। এমন পেক্ষাপটে পত্রিকারও মূল্য বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়, কারণ তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে মুদ্রিত সংবাদপত্রের পাঠক কমে গেছে বিপুলভাবে। অথচ পাঠকই সংবাদপত্রের প্রাণ ও মূল চালিকাশক্তি।

অনলাইন নিউজপোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ তাৎক্ষণিকভাবে মুছে ফেলা যায়। কিন্তু ছাপা সংবাদ মুছে ফেলার সুযোগ নেই। কারণ প্রিন্ট ইজ প্রুফ (ছাপাই প্রমাণ)। এ জন্যই আমি আশাবাদী, যতোই প্রতিকূলতা আসুক না কেন প্রিন্ট পত্রিকা টিকে থাকবে। ভবিষ্যতে অতীত হবে না ছাপা কাগজ।

সংবাদপত্র সাধারণ মানুষের কথা বলে, সমাজের কথা বলে, দেশের কথা বলে। দেশ পরিচালনায় সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরে, সমালোচনা করে সরকারকে সঠিক পথনির্দেশনা দেয়। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবাদপত্র সমাজকে সজাগ করে, সম্ভাবনার কথা বলে। সমাজ প্রগতির কথা বলে, সমাজকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। এ কারণে সংবাদপত্রকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। সেই দর্পণে সমাজের সঠিক চিত্র প্রতিফলিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। সংবাদপত্র পরিচ্ছন্নভাবে পরিচালনা করা সমাজের সঠিক প্রতিবিম্ব ও প্রতিফলনের চিত্র তুলে ধরার পূর্বশর্ত। তাই সংবাদপত্রকে সমাজের অন্যকোনো বিষয়ের সাথে তুলনা করা চলে না। এ কারণে সংবাদপত্র ও সাংবাদিককে চলতে হয় বন্ধুর পথে, অতিক্রম করতে হয় অনেক দুর্গম পথ। এভাবেই সংবাদপত্র হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক।

আর সেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করে হাঁটি হাঁটি পা পা করে আমরা পেরিয়ে এসেছি অনেকটা পথ। আজ (২২ সেপ্টেম্বর) আজকের দর্পণের জন্মদিন। ৯ বছর আগে ‘সত্যের খোঁজে প্রতিদিন’ স্লোগান নিয়ে আমার বড়ভাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপির সম্পাদনা ও প্রকাশনায় আজকের দর্পণ-এর যাত্রা শুরু করেছিলেন। অদম্য মনোবল আর প্রচণ্ড সাহস নিয়ে শুরু হয়েছিল আজকের দর্পণের পথচলা। নানা বাধাবিপত্তি ডিঙিয়ে নয়টি বছর পেরিয়ে দশ বছরে পর্দার্পণ করলো আজকের দর্পণ।

এরই মধ্যে পাঠকের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে পত্রিকাটি। ব্যাপক জনপ্রিয় না হলেও পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে ‘আজকের দর্পণ’ এ আমার আত্মবিশ্বাস। পত্রিকাটির জন্ম আমার হাতে না হলেও আজ এটি আমার সন্তানের মতো। এ কাগজটি প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে প্রিয়পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের ভূমিকাই বেশি।

একমাত্র পাঠকের ভালোবাসায়, বিজ্ঞাপনদাতাদের সহযোগিতায়, হকার ও এজেন্টদের আন্তরিকতায় কোনো বড় গ্রুপের অর্থলগ্নি ছাড়াই পথ চলছে ‘আজকের দর্পণ’। এ আমাদের এক অন্যরকম শক্তি। এ কারণেই ‘আজকের দর্পণ’ কারো মুখাপেক্ষী নয়। ‘আজকের দর্পণ’ এমন একটি জাতীয় দৈনিক যেটা দেশের কথা বলবে, দেশের মানুষের কথা বলবে। এ দেশের আপামর মানুষের কণ্ঠই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ‘আজকের দর্পণ’ পত্রিকায়। এ জায়গা থেকে আমরা একটুও সরে আসিনি, একচুল পরিমাণও ছাড় দেইনি। দেশপ্রেম প্রশ্নে একচুলও আপস করিনা আমরা। ‘আজকের দর্পণ’ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে দেশের মানুষের কাছেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোনো দল বা গোষ্ঠীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়, দায়বদ্ধও নয়। তাই ‘আজকের দর্পণ’ সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে দ্বিধা করে না। এর ব্যত্যয় ঘটবে না কখনো।

প্রিয় পাঠক, আপনাদের সাথে নিয়েই আমাদের এ পথচলা। আমাদের এ পথচলায় আমরা সবসময় আপনাদের পাশে পেয়েছি। আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। আপনাদের অবদানের কথা আমরা সবসময়ই কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। আপনাদের ভালোবাসায় ‘আজকের দর্পণ’ অসম সাহস ও ধৈর্য নিয়ে এগোবেই।

সম্প্রতি আজকের দর্পণ-এর ই-পেপার ও অনলাইন পোর্টাল আরো আপগ্রেড করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে পত্রিকাটিকে আরো পাঠকপ্রিয় কাগজে পরিণত করা হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা  ও শুভানুধ্যায়ীদের সমর্থন ও সহযোগিতা। আশা করি, আপনাদের পরামর্শ ও সহযোগিতার হাত আগের মতো প্রসারিত থাকবে।

পরিশেষে আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রিয়পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন। সবাই সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন। যতোই সংকট থাকুক, প্রতিকূলতা আসুক, নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে আমরা যেতে চাই বহুদূর।


সম্পাদক ও প্রকাশক, আজকের দর্পণ


আরও খবর
জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটে অস্থির ইউকে এবং ইইউ

বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩




জাপানে সমুদ্রের বুকে নতুন দ্বীপের সন্ধান

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জাপানে জেগে উঠেছে আরেকটি নতুন দ্বীপ। হাজার হাজার চিত্তাকর্ষক দ্বীপ থাকার পরও আরেকটি নতুন দ্বীপ পেল দেশটি। সাগরের নিচে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এই দ্বীপের জন্ম হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অক্টোবরে জাপানের ইয়োটো দ্বীপের কাছে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে প্রচুর পরিমাণে লাভা জমা হয়ে এই ছোট দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছে। পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ওগাসাওয়ারা দ্বীপের অংশ ইয়োটো দ্বীপ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের মেরিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সের তোলা ছবিতে এই দ্বীপ দেখা গেছে। তখন দ্বীপের ওপরে ছাইয়ের কালো মেঘ দেখা যায়। এখন ওগাসাওয়ারা দ্বীপাঞ্চলের একটি অংশ হয়েছে এই নতুন দ্বীপ।

জাপানের আবহাওয়া দপ্তর (জেএমএ) জানিয়েছে, সমুদ্রের নিচে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে তৈরি হওয়া নতুন দ্বীপের এখনো নাম ঠিক করা হয়নি।

ভৌগোলিক দিক বিবেচনায় জাপানে দ্বীপ সৃষ্টি হওয়া নতুন কোনো ঘটনা নয়। মাঝে মধ্যেই নতুন দ্বীপের সৃষ্টি হয় আবার ডুবেও যায়।

আগ্নেয়গিরির প্রকোপ এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে তিন লাখ ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সব দ্বীপ গণনা করা সহজ নয়। তবে ডিজিটাল ম্যাপিং ব্যবহার করে দ্বীপ গণনা করে জাপান। ফেব্রুয়ারিতে এমন গণনায় সাত হাজার নতুন দ্বীপ আবিষ্কার করেছে দেশটি, যা পূর্বের দ্বীপ সংখ্যার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

সেই জরিপে সব মিলিয়ে ১৪ হাজার ১২৫টি দ্বীপের সন্ধান পেয়েছে জাপান। তার আগে মাত্র সাত হাজার ২৭৩টি দ্বীপের কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব ব্যবসায়ীদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা। এজন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। সম্প্রতি কমিশনে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়, খোলাবাজারে ডলারের দাম বাড়ার কারণে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো দরকার।

এ বিষয়ে কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দাম বাড়ানোর আবেদনটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পর্যালোচনা শেষে কোম্পানিগুলোকে নিয়ে বৈঠক করবে কমিশন।

চিঠিতে বলা হয়, দেশের বাজারে ডলারের মূল্য বেড়েছে। ভোজ্যতেল আমদানিতে ডলার কনভারসন মূল্য বর্তমানে ১২২ টাকা থেকে ১২৪ টাকা। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর এলসি খোলায় প্রতি মার্কিন ডলারে ১১১ টাকার বেশি নেওয়ার সুযোগ নেই।

ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন বলছে, সবশেষ যখন ভোজ্যতেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়, তখন কনভারসন মূল্য ধরা হয়েছিল ১১১ টাকা।

জানা গেছে, খোলাবাজারে মূলত ৭-১০ দিন ধরে ডলার কনভারসন রেট উঠেছে ১২২-১২৪ টাকায়। কিন্তু এ অল্প সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো এলসি করে কোনো পণ্য দেশে আনতে পারেনি। কারণ অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করে দেশে আনতে এক মাসের বেশি সময় দরকার। অথচ কোম্পানিগুলো অজুহাত তুলে এখনই মূল্য সমন্বয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে।

অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম মোল্লা সই করা চিঠিটি ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর দেওয়া হয়।

এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর ভোজ্যতেলের দাম কমায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরমধ্যে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে ১৬৯ টাকা করা হয়। পাম অয়েলের দাম ৪ টাকা কমিয়ে ১২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


আরও খবর
চার মাসে রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৪.৩৬ শতাংশ

মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩




গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়তে পারে: বাইডেন

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় চলছে চারদিনের যুদ্ধবিরতি। আর এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশাবাদ প্রকাশ করেন। বর্তমানে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের নানটুকেট দ্বীপে ছুটি কাটাচ্ছেন বাইডেন। সেখানেই আয়োজন করা হয়েছিল এই সংবাদ সম্মেলনের।

আরও পড়ুন>> মোসাদকে যেভাবে কাজে লাগাতে চান নেতানিয়াহু

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক তৎপরতায় গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়েছে। আমি সকালই ওই অঞ্চলের অনেক নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে এ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি এবং আশা করছি, এই বিরতির মেয়াদ আরও বাড়বে।

প্রেসিডেন্ট বলেন, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ঠিক কতদিন বাড়বে তা আমি জানি না। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আরব বিশ্ব যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, এই যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ হ্রাস করতে যেভাবে বিভিন্ন দিক থেকে চাপ প্রয়োগ করছে, তাতে আশা করা যায় যে শিগগিরই সেখানে যাবতীয় সংঘাতের অবসান আমরা ঘটাতে পারব। সূত্র-দ্য গার্ডিয়ান


আরও খবর



আমতলীতে ধানের ক্ষেতে পোকার আক্রমণে কৃষক দিশেহারা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আমতলী উপজেলার ধান ক্ষেতে মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পরেছেন। পোকা দমনে কৃষকরা ক্ষেতে বিভিন্ন প্রকারের কীট নাশক প্রয়োগ করছেন। কিন্তু এতে কাজে আসছে না। দ্রুত এ পোকা দমন করতে না পারলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্ক রয়েছে বলে জানান কৃষকরা।

জানাগেছে, এ বছর আমতলী উপজেলায় ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর আমনের ধানের জমি চাষাবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। এ লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে। গত আশ্বিন মাসের শেষের দিকে কৃষকরা জমি চাষাবাদ শেষে বীজ বপন করেছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে দেরীতে চাষাবাদ করায় বীজের বৃদ্ধি তেমন ভালো হয়নি। কিন্তু এর মধ্যে গত ১৫ দিন ধরে ক্ষেতে মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষকরা এ পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষায় বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। কিন্তু তাতে তেমন কাজে আসছে না। এতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পরেছেন।

এ পোকা দমন করতে না পারলে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হওয়ার আশংঙ্কা করছেন তারা। এদিকে এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কীটনাশক ব্যবসায়ীরা বেশী দামে কীটনাশক বিক্রি করছে। কিন্তু কীটনাশক ব্যবসায়ীরা বেশী দামে কীটনাশক বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কোম্পানীর দামেই বিক্রি করছি।

কৃষকরা বলেন, মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকায় ধান ক্ষেতের ব্যপক ক্ষতি করছে। এ প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করছি। কিন্তু কাজে আসছে না। পোতা দমন করতে না পারলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

বুধবার আমতলী উপজেলার চাওড়া, কুকুয়া ও হলদিয়া ও আঠারোগাচিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ক্ষেতে মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষকরা পোকা দমনে ফসলের ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করছেন।

মধ্য চন্দ্র গ্রামের কৃষক জাকির মাতুব্বর ও কুকুয়ার কৃষক আব্দুর রব বলেন, মাজরা ও পাতা মোড়ানো পোকার ধানের ক্ষেত খেয়ে ফেলছে। এ পোকা দমনে কীটনাশক প্রয়োগ করছি।

পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের কৃষক সোহেল রানা বলেন, ধান ক্ষেত মাজরা পোকা ও পাতা মোড়ানো পোকায় খেয়ে শেষ করে দিয়েছে। কীটনাশক ব্যবহার করেও পোকা দমনো যাচ্ছে না।

কাউনিয়া গ্রামের কৃষক জিয়া উদ্দিন জুয়েল ও নজরুল ইসলাম বলেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে এ বছর শেষের দিকে জমিতে বীজ বপন করেছি। তাতে বীজের বৃদ্ধি কম হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পোকার আক্রমণে বীজের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তারা আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা বেশী দামে কীটনাশক বিক্রি করছে।

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ঈছা বলেন, মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ কাজ করছেন। পোকা দমনে রাইডার প্লাস ও এসিপ্রিড প্লাস প্রতি লিটার পানিতে ০.৩ গ্রাম হারে মিশ্রণ করে স্প্রে করতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা


আরও খবর



আগামীকাল হবিগঞ্জ জেলা মুক্ত দিবস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে হবিগঞ্জ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। মুক্ত হয় হবিগঞ্জ জেলা। ৫ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে এবং ৬ ডিসেম্বর ভোর রাতে পাকিস্তানি সেনাসহ রাজাকাররা শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়।

৬ ডিসেম্বর ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা প্রথম হবিগঞ্জ শহরে প্রবেশ করে অস্ত্র উচিয়ে হবিগঞ্জকে মুক্ত ঘোষণা করে থানা কম্পাউন্ডে বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন। শহরবাসী বাংলার দামাল মুক্তিযোদ্ধাদের অভিবাদন জানায়। তারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মুক্ত হবিগঞ্জ শহরের রাস্তায় নেমে এসে বিজয়ের উল্লাস প্রকাশ করে। ১৯৭১ সালে সারা দেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়।

সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা, কিশোরগঞ্জ মহকুমা, আখাউড়া-ভৈরব রেললাইন থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার অংশবিশেষ নিয়ে ছিল ৩ নম্বর সেক্টর। এই সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন মেজর শফিউল্লাহ। তার নেতৃত্বে হবিগঞ্জের সীমান্ত এলাকার দুর্গম অঞ্চলগুলোতে পাকিস্তানিদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ডিসেম্বরের শুরুতে মুক্তিবাহিনী জেলা শহরের কাছাকাছি এসে পৌঁছায়।

হবিগঞ্জ মুক্ত দিবস উপলক্ষে সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সকাল ১০টার দিকে আনন্দর‌্যালি ও আলোচনা সভা। এতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত থাকবেন।


আরও খবর