আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটে অস্থির ইউকে এবং ইইউ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

রায়হান আহমেদ তপাদার

ব্রিটেনসহ ইউরোপীয় দেশগুলোতে বিক্ষোভ ও ধর্মঘটের খবরে সরগরম আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। বেতন বৃদ্ধি ও খাদ্যপণ্যের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্যারিসের রাস্তায় নেমেছিল হাজার হাজার মানুষ। বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় ফ্রান্সে আঞ্চলিক ট্রেন চলাচল প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। কয়েক দশকের মধ্যে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির ক্ষোভকে পুঁজি করে তেল শোধনাগারে শুরু হওয়া বিক্ষোভকে অন্যান্য খাতে প্রসারিত করতে চাচ্ছে। ধর্মঘট প্রাথমিকভাবে সরকারি খাতকে প্রভাবিত করেছে। উন্নত বিশ্বের অন্যতম নেতৃস্থানীয় দেশ ব্রিটেনে বর্তমানে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে, তা চরম রূপ নেবে চলতি বছর। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চলতি বছর আক্ষরিক অর্থেই ডুবতে যাচ্ছে দেশটির অর্থনীতি। আইএমএফ বলছে, করোনা মহামারীর ধকল কাটিয়ে ২০২৩ সালেই ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি এমন যে ধারণাটি আগে প্রচলিত ছিল ব্রিটেনে, বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে তার কোনো সাদৃশ্য নেই; বরং চলতি বছর ব্রিটেনের অর্থনীতির সংকোচন ঘটবে দশমিক ৬ শতাংশ। মাত্র এক বছরের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম ধনী হিসেবে পরিচিত একটি দেশের অর্থনীতির এই পরিমাণ সংকোচনকে বিরল বলে উল্লেখ করেছে আইএমএফ। তবে সংস্থাটি আরও বলছে, ব্যাপক চাপে থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে সঠিক পথে আছে ব্রিটেনের অর্থনীতি।

ব্রিটেনের অর্থনীতিবিদদের একাংশের ভাষ্য, বর্তমানে যে অর্থনৈতিক দুর্যোগ শুরু হয়েছে, তার মূল কারণ করোনা মহামারী নয়, বরং ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের সরে যাওয়া, যা পরিচিতি পেয়েছে ব্রেক্সিট নামে।

আইএমএফের সাম্প্রতিক বিবৃতিতে যদিও ব্রিটেনের অর্থনৈতিক চাপের জন্য সরাসরি ব্রেক্সিটকে দায়ী করা হয়নি, তবে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে একের পর এক নিষেধজ্ঞা জারি করায় চলতি ২০২৩ সাল থেকে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক চাপের মুখে পড়বে রাশিয়া কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি এমন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।

পূর্বাভাস বলছে, রাশিয়া কোনো বড় অর্থনৈতিক চাপে পড়বে না, বরং বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে ব্যাপক চাপের মধ্যে পড়বে যুক্তরাজ্য এবং চলতি বছর দেশটির অর্থনীতি ডুবতে চলেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রমবর্ধমান দাম আর বর্তমান বেতন কাঠামো এই দুইয়ের মধ্যে তাল মেলাতে না পেরে ব্রিটেনের নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান স্মরণকালের সবচেয়ে বড় পতনের মুখে পড়েছে।

প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে দায়ী করা হচ্ছে। এই যুদ্ধের কারণে ইউরোপজুড়ে ভোক্তামূল্য ও অর্থনীতিকে চাপে ফেলছে। অঞ্চলটি ঘর উষ্ণ রাখা এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। করোনা মহামারীর দ্ইু বছর ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক বছরের প্রভাবে ব্রিটেনে মুদ্রাস্ফীতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এবং তার প্রভাবে প্রতিদিনই বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। বর্তামনে যুক্তরাজ্যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি গত ৪০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে; কিন্তু রেলকর্মীদের বেতন এক পয়সাও বাড়েনি। ব্রিটেনে রেল ধর্মঘট গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রেল ধর্মঘটের সম্মুখীন হয়েছে ব্রিটেন।

গত এক বছর ধরেই শ্রমিক অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে ব্রিটেনে। এতে পরিবহন শ্রমিক থেকে শুরু করে আইনজীবীরাও যোগ দিয়েছেন। এতে ১৪টি অপারেটরস ও রেল নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই বছর ব্রিটেন ব্যাপক ধর্মঘটের মুখোমুখি হয়, যেখানে আইনজীবীদের সঙ্গে পরিবহন ও ডাককর্মীরা জড়িত হন। কারণ ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে মজুরি হ্রাস করা হয়েছে। অপরদিকে রাজকীয় ডাক কর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী কমিউনিকেশন অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন রয়্যাল মেইল সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরের শুরুতে ধর্মঘট করেছে। বেতন ও অপারেশনাল পরিবর্তন নিয়ে কয়েক মাস ব্যর্থ আলোচনার পরে তারা আরও ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে। তারা গত বছর থেকে বেতনভাতাসহ আরও বিভিন্ন যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মঘট করে আসছেন।

এদিকে নার্স ও রেলওয়ে কর্মীদের পর এবার যুক্তরাজ্যে ধর্মঘট করছেন দেশের শিক্ষকরাও। শিক্ষকদের সংগঠন ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়ন ইতিমধ্যে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধর্মঘট চলছে যুক্তরাজ্যে। ১৯ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ধর্মঘট শুরু হয়। ব্রিটেনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ হাসপাতাল এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের সমস্ত স্বাস্থ্য বোর্ড ধর্মঘটে অংশ নেয়। এছাড়া, ওয়েলসের নার্সরাও এই ধর্মঘটে অংশ নেন। অপরদিকে দেশটির রেলকর্মীরাও বেতনভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছেন। চলতি বছরের শুরুতেই তারা ধর্মঘটের ডাক দেন। বিষয়টি সমাধানে সরকার ও রেলওয়ে কর্মীদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে এর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হচ্ছে শিক্ষকদের ধর্মঘট। সব মিলিয়ে বলা যায় ব্রিটেনের সার্বিক পরিস্থিতি ভালোর দিক থেকে মন্দের দিকেই এগুচ্ছে।

কয়েক দশকের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে যুক্তরাজ্য। জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহে হিমশিম খাওয়া নাগরিকদের জন্য কিছু করা নিয়ে চাপে ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো করোনার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারেনি। এর মধ্যে ধর্মঘটে ব্যবসায় আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শ্রমিক ইউনিয়নগুলো বলছে, রেলকর্মীদের ধর্মঘটের মধ্য দিয়ে অন্যান্য পেশার মানুষজনও রাস্তায় নেমে আসছেন। শিক্ষক, স্বাস্থ্যকর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী এমনকি আইনজীবীরাও আন্দোলন শুরু করেছেন। কারণ দেশে মূল্যস্ফীতি এখন ১০ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে। জীবনযাত্রার অতিরিক্ত ব্যয় নির্বাহে হিমশিম খাচ্ছে মানুষজন। তবে উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, কবে, কখন এই মন্দার প্রভাব কাটিয়ে স্বাভাবিক হবে তা কেউ-ই বলতে পারছেন না।

লেখক : গবেষক ও কলাম লেখক


আরও খবর
নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে যেতে চাই বহুদূর

বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বিয়ে না দেওয়ায় মাকে গলা কেটে হত্যা করলেন ছেলে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চাঁদপুর প্রতিনিধি

Image

বিয়ে না দেওয়ায় চাঁদপুরে মা রানু বেগমকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে রাসেল খানের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রানু বেগম ওই গ্রামের আতর খানের স্ত্রী।

নিহতের স্বামী আতর খান বলেন, আমার ৩ মেয়ে ও ২ ছেলের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। গত কয়েকদিন যাবত তাকে বিয়ে করানোর জন্য আমাদেরকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। সে আমাকেও মেরেছে। স্থানীয় একটি মাদরাসায় রান্নার কাজ করি। আমার ছেলে দুপুর ২ টা ৪৯ মিনিটে আমাকে ফোন দিয়ে বলে তার মাকে কে যেন ঘরে জবাই করে রাখছে। তখন আমি নিশ্চিত হয়েছি, আমার স্ত্রী তার সন্তানের হাতেই খুন হয়েছে। ফোন কেটে সাথে সাথে আমি বাড়িতে এসে দেখি আমার স্ত্রী রানু বেগমের মরদেহ বিছানয় পড়ে আছে। আমার ছেলে রাসেল পালিয়ে গেছে। পরে আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে খবর দেয়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হোসাইন আহমেদ রাজন শেখ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। আমি জানতে পেরেছি, নিহতের ৫ সন্তানের মধ্যে রাসেল সবার ছোট। গত কয়েকদিন যাবত সে তাঁর বাবা-মাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে তাকে বিয়ে করানোর জন্য। যদি তাকে বিয়ে না করায়, সে বাবা-মাকে খুন করে ফেলবে।


আরও খবর



বগুড়ায় বহুতল মার্কেটে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বগুড়া শহরের বহুতল বাণিজ্যিক বিপণিবিতান মেরিনা নদী বাংলা কমপ্লেক্সে আগুন লেগেছে। মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) দুপুরে শহরের সাতমাথার কাছে এম এ খান লেনে অবস্থিত ভবনটির ছয়তলায় এ আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ করছে।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।


আরও খবর



গাজার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ধ্বংস হয়ে যাওয়া গাজার ধ্বংসস্তূপ অপসারণে লাগবে অন্তত ১৪ বছর বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের (ইউএনএমএএস) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার একথা জানান। জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে পেহর লোধাম্মার বলেছেন, যুদ্ধের ফলে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ ওই অঞ্চলে পড়ে আছে।

তিনি বলেন, গাজায় পাওয়া অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। তারপরও ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে পরিষ্কার করতে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‌‌আমরা জানি, সাধারণত স্থল বাহিনীর ছোড়া গোলাবারুদের অন্তত ১০ শতাংশ অবিস্ফোরিত ও বিকল অবস্থায় থেকে যায়। আমরা ১০০টি ট্রাক ব্যবহার করে ১৪ বছর ধরে পরিষ্কার কাজ চালানোর কথা বলছি।

হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার জবাবে গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; যাদের মধ্যে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।

ধ্বংসস্তূপে দাড়িয়ে গাজার বেশিরভাগ বেসামরিক মানুষ এখন গৃহহীন, ক্ষুধার্ত এবং রোগাক্রান্ত। সূত্র: রয়টার্স


আরও খবর



সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল গতকাল মঙ্গলবার। তাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে হুট করে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনার প্রতিবাদে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিনোদন সাংবাদিকসহ নানা বিটে কর্মরত সাংবাদিকরা।

ছিলেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজের নবনির্বাচিত অন্যতম সভাপতি সাজ্জাদ আলম তপু, সোহেল হায়দার, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব, বাচসাসের সভাপতি রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবু।

মানববন্ধনে অবিলম্বে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তারা। এর সঙ্গে জড়িত অভিনেতা জয় চৌধুরী, শিবা শানু ও আলেকজান্ডার বো-কে সমিতির সদস্যপদ বাতিলসহ অন্যান্য শাস্তির দাবিও জানান।

বক্তরা বলেন, সাংবাদিকরা নানা ক্ষেত্রে আজ নির্যাতিত। তারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানাভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। চলচ্চিত্রে যারা অভিনয় করে তাদেরকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তারা যখন মাস্তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, তখন তারা সমাজে কী বার্তা দেন?

এদিকে ঘটনার তদন্তের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে পাঁচ জন করে রাখা হয়েছে। আর উপদেষ্টা হিসেবে আছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান।

১০ জনের তদন্ত কমিটিতে আছেন সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, আবুল কালাম এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল ও রত্না।


আরও খবর



ঈদের আগে মায়ের মুক্তি চেয়ে চেম্বার আদালতে ৪ বছরের নুরী

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গত ২৮ অক্টোবরের হামলাকে কেন্দ্র করে বাবা হামিদ ভূঁইয়ার পরিবর্তে গ্রেপ্তার চার বছরের ছোট্ট নূরজাহান নূরীর মা হাফসা আক্তার পুতুলের জামিন চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ৬ মার্চ বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ হাফসা আক্তারকে জামিন দিলেও ১০ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের আদালত তার জামিন স্থগিত করে দেন।

সম্প্রতি মায়ের মুক্তির জন্য মানববন্ধন করে বেশ আলোচনায় আসে নুরী। গত ৪ মার্চ বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চে ছোট্ট নুরীর মা হাফসা আক্তার পুতুলের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

শুনানিতে হাইকোর্ট জানতে চান, এই মহিলা আসামি হিসেবে এত গুরুত্বপূর্ণ কেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ বলেন, মাই লর্ড সিসিটিভি ফুটেজ আছে, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও আছে। পরে হাইকোর্ট সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান এবং ফুটেজ উপস্থাপন করতে বলেন।

গত ২৯ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রচারিত বাবা ঘরে আসুক, কারাগার থেকে ফিরুক মা শীর্ষক এক সংবাদে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির কর্মী আবদুল হামিদ ভূঁইয়া পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মা হাফসা আক্তার নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।

তবে ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে ডিএমপি বলে, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হাফসা আক্তার পুতুল ও তার স্বামী আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া সম্পর্কে ২৯ নভেম্বর পত্রিকাটিতে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, তা সঠিক নয়। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হাফসা আক্তার পুতুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।


আরও খবর