শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে
পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বুধবার (২২ মে) বিকালে হামলায় আহত সাংবাদিকদের
পক্ষে জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি মো. পলাশ খান বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ ১০-১৫
জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে জাজিরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে গত ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে
ভোট গ্রহণের দিন সকাল ১১টার দিকে জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের ফরাজী দারুস সুন্নাহ
হাফিজিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটারদের প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে এমন অভিযোগ
পেয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভিডিও ধারণ করেন বার্তা বাজারের প্রতিনিধি আশিকুর রহমান হৃদয়সহ
কয়েকজন সাংবাদিক। এসময় মোটরসাইকেল প্রতীকের ব্যাচ পরিহিত এক ব্যক্তি তাদের প্রথমে বাঁধা
দেয় এবং তাদের মারধর করে মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এমন তথ্য পেয়ে জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের
সভাপতি মো. পলাশ খানসহ প্রেসক্লাবের ১০ জন সদস্য সেখানে তথ্য সংগ্রহে যায়। এ সময় মোটরসাইকেল
প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজীর সমর্থকরা তাদের উপর চড়াও হয়।
একপর্যায়ে সাথে থাকা অন্য সাংবাদিকরা তাদের
ছাড়াতে গেলে কমপক্ষে ৩০-৪০ জন মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থক তাদের উপর লাঠিসোঁটা নিয়ে
হামলা চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন সাংবাদিক আহত হয়। এরমধ্যে প্রেসক্লাবের সভাপতি পলাশ
খানসহ ৫ সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়। এসময় হামলার শিকার সাংবাদিকদের সাথে থাকা মোবাইল,
ক্যামেরাসহ তথ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত সরঞ্জাম ছিনিয়ে নিয়ে যায় ও ভেঙ্গে ফেলে। পরে স্থানীয়রা
তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মামলার বাদী জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের
সভাপতি মো. পলাশ খান বলেন, “ভোট গ্রহণের তথ্য সংগ্রহে যাওয়ায় একদল
সন্ত্রাসী আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে আমাদের বেধড়ক মারধর করে ও আমাদের সাথে থাকা
মোবাইল ও ক্যামেরাসহ সকল সরঞ্জাম নিয়ে যায় ও ভেঙ্গে ফেলে। বিষয়টি নিয়ে আমি বাদী হয়ে
মামলা দায়ের করেছি। আশা করি প্রশাসন হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে।”
মামলার তথ্য নিশ্চিত করে জাজিরা থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, “পেশাগত দায়িত্ব
পালনের সময় সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় বুধবার বিকেলে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত
আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়মিত মামলা
রুজু করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।”