অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে পি কে হালদারের দুই বান্ধবীসহ চারজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চেয়েছেন। তবে এ মামলায় পি কে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পায়নি।
বুধবার (২৬ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে আগামী ২ আগস্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেছেন। এ ধাপ শেষ হলেই আদালত রায়ের জন্য দিন ধার্য করবেন।
এদিন কারাগারে থাকা পিকে হালদারের দুই বান্ধবীসহ চার আসামি অবন্তিকা বড়াল ও অনিন্দিতা মৃধা, শংখ বেপারী ও সুকুমার মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ ছাড়া গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন।
পলাতক আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। এ মামলায় ১০৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। এ ছাড়া ওই অর্থ আড়াল করতে বিদেশে পাচার করে মানি লন্ডারিং আইনেও অপরাধ করেন তিনি। মামলাটি তদন্ত শেষে ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন। ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।