আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

নবাবগঞ্জে হাট কাঁপাবে ফরিদ ও নার্গিস দম্পতির বাহাদুর

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের চর শৈল্লা এলাকার ফরিদ ফকির ও নার্গিস দম্পতি দরিদ্রতাকে পিছনে ফেলে পরম যত্নে লালন পালন করছে বাহাদুরকে। এই বাহাদুর প্রায় ৮০০ কেজি ওজনের একটি ষাঁড়ের নাম।

যেখানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চড়া দামে সংসার চালানো হিমশিম, সেখানে ষাড়টির খাবারের পিছনে খরচ করছেন দৈনিক তিন থেকে চারশত টাকা। আসন্ন কোরবানির ঈদে এই দম্পতি বিক্রি করতে চান তাদের এই বাহাদুরকে।

ফরিদ ফকিরের স্ত্রী নার্গিস আক্তার সংসারের কাজ শেষে প্রতিনিয়ত যত্ন্ন নিয়ে থাকেন বাহাদুরের। খাবারের পাশাপাশি গোসলেও সহযোগীতা করে থাকেন তিনি। কোরবানির ঈদে বাহাদুরকে বিক্রি করে সংসারের দারিদ্রতা কিছুটা হলেও ঘোচাতে চান এই দম্পতি।

কোনো ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য খাদ্য ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ দানাদার খাদ্য ছোলা, গম, ভূষি, খুদ ও বিভিন্ন ধরনের কঁচাা ঘাস খাদ্য হিসেবে দেয়া হচ্ছে বাহাদুরকে। বাহাদুরের দাম হাঁকাচ্ছেন ৮ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন>> জমে উঠেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহৎ পশুর হাট শার্শার সাতমাইল

এলাকাবাসীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, ফরিদ ও তার স্ত্রী তাদের অভাবের সংসারেও কয়েক বছর ধরে ষাঁড়টিকে যত্নে করে লালন পালন করছে। ষাঁড়টি দেখতেও বেশ বড় হয়েছে। এই ষাঁড়টি বিক্রি করে দারিদ্র পরিবারটি ভালো দাম পাবে বলেও আমরা আশা করছি।

বহাদুরের মালিক ফরিদ ফকির দৈনিক আজকের দর্পণকে বলেন, অনেক আদর যত্নে সন্তানের মত করে বাহাদুরকে বড় করেছি। ফরিদ আবেগাপ্লুত হয়ে আরো বলেন, আমি গরীব মানুষ হওয়ার পরেও বাহাদুরের যত্নের কোনো অভাব রাখিনি। বাহাদুরের প্রতি পরিবারের সদস্যদের মতো মায়া জন্মেছে আমার। আমার স্ত্রীও বাহাদুরের অনেক যত্ন করে। নিয়ম করে খাবার খাওয়ায়।

ফরিদের স্ত্রী নার্গিস আক্তার বলেন, নিজের সন্তানদের মতোই যত্ন করে লালন পালন করেছি এই ষাঁড়টিকে। শখ করে আমরা নাম রেখেছি বাহাদুর। এই বার বাহাদুরকে বিক্রি করতে হাটে উঠাবো। তবে বাড়িতে থেকেই বিক্রি করতে পারলে বেশি ভালো হবে।


আরও খবর



পদ্মা সেতুতে একদিনে প্রায় ৫ কোটি টাকা টোল আদায়ের রেকর্ড

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

একদিনে টোল আদায়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়েছে পদ্মা সেতু। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের এই নতুন রেকর্ড তৈরি হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পাড়ি দিয়েছে ৪৫ হাজার ২০৪টি যানবাহন। এতে টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৬৭ হাজার ৫০ টাকা। যা একদিনে টোল আদায়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিরুল হায়দার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রায় গতকাল যানবাহনের ঢল থাকলেও আজ অনেকটাই চাপশূন্য ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও পদ্মা সেতুর মাওয়া টোলপ্লাজা। ঈদযাত্রার শেষ দিনে বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে এই পথে যানবাহনের ক্রমাগত উপস্থিতি থাকলেও নেই কোনো জট কিংবা গাড়ির সারি। এতে অনেকটাই ভোগান্তিহীন স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এদিন সেতুর মাওয়া প্রান্ত হয়ে ৩০ হাজার ৩৩০টি ও জাজিরা প্রান্ত হয়ে ১৪ হাজার ৮৭৪টি যানবাহন সেতু পাড়ি দেয়। এতে মাওয়া প্রান্তে ইটিসিএস, ক্রেডিটসহ আয় হয় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫০ টাকা আর জাজিরা প্রান্তে আয় হয় ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৭ হাজার ৪০০ টাকা।

এর আগে পদ্মা সেতুর সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছিল গতবছর ২০২৩ সালের ২৭ জুন। সেদিন সেতু দিয়ে ৪৩ হাজার ১৩৭টি যানবাহন পারাপার হয়। টোল আদায় হয় ৪ কোটি ৬০ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকা। যা বর্তমানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেতু তৃতীয় সর্বোচ্চ টোল আদায়ের পরিমাণ ৪ কোটি ১৯ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫০ টাকা। যা আদায় হয়েছিল গত বছরের ৮ জুলাই।

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে আরও জানা যায়, এ পর্যন্ত সেতুতে মোট টোল আদায় হয়েছে ১৪৫৩ কোটি ১৪ লাখ ১২ হাজার ৮০০ টাকা। মোট যানবাহন পারাপার হয়েছে ১ কোটি ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৬৬২টি।

দেখা যায়, মাওয়া টোলপ্লাজায় ৭টি বুথের মধ্যে ৬টি দিয়ে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহন পাড়ি দিচ্ছে সেতু। মোটরসাইকেলের জন্য রয়েছে অপর একটি নির্ধারিত টোলবুথ। টোলপ্লাজায় আসা মোটরসাইকেল পর্যায়ক্রমে সারিবদ্ধভাবে টোল প্রদান করে সেতুতে উঠছে। তবে মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট ছাড়া উঠতে দেওয়া হচ্ছে না সেতুতে। গাড়ির উপস্থিতি তেমন না থাকায় টোল প্রদানে খুব একটা অপেক্ষা করতে হচ্ছে না কাউকে।


আরও খবর



গরমে যে নিয়মে ডিম খেলে শরীর সুস্থ থাকে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। গরমে শরীর না ঘামলেও অনুভূত হচ্ছে অসহনীয় তাপ; যেন শরীর জ্বালাপোড়া করে পুড়ে যাচ্ছে! অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। গরমে শরীর সুস্থ রাখা জরুরি। শরীর সুস্থ রাখতে গরমে চিকিৎসকেরা হালকা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন । মাংসও ঘন ঘন খেতে বারণ করেন। পরিমাণেও রাশ টানার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বরং সবজি দিয়ে পাতলা মাছের ঝোল কিংবা ডাল খেতে বলেন। তবে ডিমের বিষয়টি আলাদা।

ডিম শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। চনমনে রাখে। প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। তাই বলে গরমে ইচ্ছেমতো ডিম খেয়ে যাওয়া কি ঠিক? পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে ডিম খাওয়া যাবে না, এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। ডিম খেলে হজমের গোলমাল হওয়ার কোনও কারণ নেই। ভাল করে সেদ্ধ করে নিলে সালমোনেলা ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণেরও ভয় নেই। গরমের সঙ্গে ডিমের কোনও বিরোধ নেই।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের জন্য চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। বেশিরভাগ পুষ্টিকর উপাদান প্রাকৃতিকভাবে যেসব খাবারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার মধ্যে অন্যতম হলো ডিম। যেমন- ডিমে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-টুয়েলভ্। এছাড়াও ডিমে আছে লুটেইন ও যিয়াস্যানথিন নাম দুটি প্রয়োজনীয় উপাদান যা বৃদ্ধ বয়সে চোখের ক্ষতি ঠেকাতে সাহায্য করে।

পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে ডিম খেলে যে ক্ষতির কোনও কারণ নেই কিন্তু কী খাচ্ছি, তার চেয়েও কতটা খাচ্ছি, সে দিকে নজর রাখা জরুরি। গরমে ডিম খাওয়ার পরিমাণে কতটা রাশ টানা জরুরি? আসলে পরিমাণটা অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত কিংবা অক্লান্ত শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাদের পর্যাপ্ত প্রোটিন খাওয়া জরুরি সে ক্ষেত্রে। সেই প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে দিনে দু-তিনটি ডিম খান অনেকেই। কিন্তু অনেকের আবার শারীরিক পরিশ্রম কম। শরীরচর্চাও করেন না। সে ক্ষেত্রে দিনে একটির বেশি ডিম না খাওয়াই ভাল। বয়স, উচ্চতা, শারীরিক পরিশ্রমের পরিমাণ এবং আরও বেশ কয়েকটি বিষয় জড়িয়ে থাকে ডিম খাওয়ার সঙ্গে।

গরমে হালকা খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে, গরমের খাদ্যতালিকায় রাখতেই পারেন ডিমকে। ডিম হল সুপারফুড। পুষ্টিগুণে ভরপুর। প্রোটিন, ভিটামিন ডি, বি, জিংক ও ক্যালসিয়ামে ভরপুর ডিম।

স্বাস্থ্যে একাধিক উপকারিতা প্রদান করে ডিম। এমনকি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যকেও ভালো রাখে। হজমের সমস্যা না থাকলে প্রতিদিনই ডিম খাওয়া যায়। কিন্তু একটার বেশি ডিম খেলে এই গরমে কি শারীরিক সমস্যা বাড়বে?

অনেকের ধারণা, গরমকালে ডিম খাওয়া উচিত নয়, এতে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। এটা শুধু ধারণা মাত্র। ডিমের মধ্যে ভালো কোলেস্টেরল রয়েছে, যা আদতে হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু গরমে ভারী খাবার একটু এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

এমনকি পেট গরম হতে পারে ভেবে অনেকে ডিম খাওয়াও কমিয়ে দিয়েছেন। গরমে ডিম খাওয়া মানা নয়। তবে পরিমাণের দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। গরমে দিনে দুটির বেশি ডিম খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কারও হজমশক্তি খুব ভাল হলেও বেশি ডিম খাওয়া ঠিক হবে না। ডিম দিয়ে কী বানাচ্ছেন সেটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। ডিম দিয়ে অনেক মুখরোচক খাবার তৈরি করা যায়। জেনে নিন গরমে যে নিয়মে ডিম খেলে শরীর সুস্থ থাকে

ডিম সেদ্ধ করুন এমন ভাবে, যাতে ডিমের সাদাটি সিদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অথচ কুসুমটি নরম তুলতুলে থাকে। এই ভাবে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এই ভাবে সেদ্ধ করলে ডিমের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক জীবাণুও মরে যায়। টোস্ট আর ডিম পোচ জুটির বাঙালি বাড়িতেও কম জনপ্রিয়তা নেই। এই গরমে ডিম খেতে হলে পোচ বানিয়ে খাওয়াই ভাল। পেটের গোলমাল হওয়ার ভয় নেই। শরীরও শক্তি পায়। শারীরিক কোনও অস্বস্তি হয় না।

অনেকেই হাফ বয়েল ডিমে আঁশটে গন্ধ পান। তাদের জন্য পুরো সেদ্ধ ডিমই সেরা। মিনিট পাঁচেক পানিতে ফুটিয়ে নিলেই ডিম সিদ্ধ তৈরি। চটজলদি খাবার হিসাবে ডিম সেদ্ধর বিকল্প নেই। লবণ আর মরিচ দিয়েই খেয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়াও সেদ্ধ ডিম দিয়ে বানাতে পারেন এগ সালাদ কিংবা এগ স্যান্ডউইচ।

গরমকালে ডিম খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে। এতে মুখরোচক খাবার খাওয়া থেকেও দূরে থাকতে পারবেন। এতে সহজেই ওজন কমবে। আর দেহে পুষ্টির ঘাটতিও পূরণ হবে। তাই স্বাস্থ্যের কোনও গন্ডগোল না থাকলে প্রতিদিন একটি করে ডিম খেতে পারেন।


আরও খবর



অবশেষে চট্টগ্রামে নামল বৃষ্টি, মানুষের স্বস্তির নিশ্বাস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

দীর্ঘ দাবদাহে পুড়তে থাকা চট্টগ্রাম নগরবাসী অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা পেয়েছেন। বুধবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে নগরীর বিভিন্ন জায়গায়।

রাত থেকে শুরু হয় বাতাস, বিদ্যুৎ চমকানো আর বজ্রপাত। বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফুটতে ফুটতে বাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি হতে দেখা গেছে। বৃষ্টির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কেউ কেউ সৃষ্টিকর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ আবদুল বারেক বলেন, চট্টগ্রামে বুধবার মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর মধ্যে কক্সবাজার অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে। কক্সবাজারে ২ মিলিমিটার, টেকনাফে ৩ মিলিমিটার এবং কুতুবদিয়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



২৬ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এলো ১৬৮ কোটি ডলার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৪৬ লাখ ডলার। রোববার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত মার্চ মাসের প্রথম ২৬ দিনে এসেছিল ১৬২ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। সে হিসাবে চলতি মাসে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানায়, এপ্রিলের ২০ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ৬ থেকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর ১ থেকে ৫ এপ্রিল দেশে এসেছে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

গত মার্চ মাসে দেশে এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।


আরও খবর



৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ফিলিপাইন

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিপাইনে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা ১৬ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

দেশটির ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি (পিআইভিএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি স্থল ছিল মধ্যাঞ্চলীয় লেইতে প্রদেশের উপকূলীয় শহর দুলাংয়ের উপকূল থেকে ৩২ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে সমুদ্রের তলদেশের ৮ কিলোমিটার গভীরে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ভূগর্ভস্থ টেকটোনিক প্লেটের অবস্থান পরিবর্তনের কারণে আগামীতে আরও ভূমিকম্প হতে পারে।

লেইত প্রদেশের দুলাং শহরের পলিশ অফিসার হ্যারল্ড গিগান্টো বলেন, ভূমিকম্পের সময় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে শপিং মল থেকে বাইরে বের হয়ে আসেন।

প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগরের আগ্নেয় মেখলা (রিং অব ফায়ার) অঞ্চলের টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থান হওয়ার কারণে ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে।


আরও খবর