মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ কাজে লাগাবে। সমুদ্র এলাকায় আমরা সার্বভৌমত্ব পেয়েছি, সেখানে বিপুল সংখ্যক মাছ রয়েছে। তাই, মৎস্য সম্পদ আহরণে আমাদের কর্মযজ্ঞ এগিয়ে নিতে হবে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের চিংড়ি খাতের রূপান্তরে সেফ অ্যাকুয়া ফার্মিং ফর ইকনোমিক অ্যান্ড ট্রেড ইমপ্রুভমেন্ট (সেফটি) প্রকল্পের সমাপনি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সহায়তায় উইনরক ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১০০ বছর মেয়াদি ডেল্টা প্ল্যান করেছে। প্ল্যানের বড় একটি অংশজুড়ে আছে মৎস্য খাত, সমুদ্র ও জলাশয়। যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ। আমরা মৎস্য খাতে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। যাতে একসঙ্গে উন্নয়ন করতে পারি। সেফটি প্রকল্পের কার্যক্রম বাংলাদেশের চিংড়ি খাতে ব্যাপক সহযোগিতা দিয়েছে। এতে মাঠ পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের উৎপাদন দ্বিগুণের বেশি হচ্ছে। প্রকল্পের সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে আমাদের আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে। অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে এ খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ খাতের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বের ৫০টির অধিক দেশে বাংলাদেশের মাছ রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশের রপ্তানিকৃত মাছের স্বাদ ও গুণগতমান প্রশংসা অর্জন করছে। সরকারের পাশাপাশি এ খাতে বেসরকারি উদ্যোক্তা, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক এবং বিভিন্ন সংগঠন এক সঙ্গে কাজ করায় এ কৃতিত্ব অর্জন সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, যুক্তরাষ্ট্র কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) আন্তর্জাতিক কর্মসূচি বিশেষজ্ঞ ভিক্টোরিয়া বেকার এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক।